ঋণ মুকুব করতে নারাজ জিনপিং, চিন-পাকিস্তানের বন্ধুত্বে ফাটল!
ডিসেম্বর অবধি পাকিস্তানের ঋণ ছিল প্রায় ২৯,৪০০ কোটি ডলার (প্রায় ২২ লাখ কোটি টাকা), যা পাকিস্তানের জিডিপির ১০৯ শতাংশ।
জ্যোতির্ময় রায়: চিন ও পাকিস্তানের বন্ধুত্ব ধাক্কা খেল। ঋণ মাফ করার জন্য পাকিস্তানের একান্ত অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছে তার নিকটতম বন্ধু চিন। এর পরেও কি পাকিস্তান অসময়ের বন্ধু আর বন্ধু-মহাজনের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে পারবে! প্রশ্ন উঠছে।
পাকিস্তানের (Pakistan) নিকটতম বন্ধু চিন ঋণ ক্ষমা করতে চায়নি। পাকিস্তান এখন প্রায় দেউলিয়া হওয়ার পথে। প্রকৃতপক্ষে, পাকিস্তানের ইমরান খান সরকার ৩০০ কোটি ডলার (প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা) ঋণ মাফ করার জন্য চীনকে অনুরোধ করেছিলেন, যা প্রত্যাখ্যান করেছে জিনপিং সরকার। চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোরের অধীনে এই ঋণ পেয়েছিল পাকিস্তান।
একটি প্রতিবেদনে জানা গিয়েছে, পাকিস্তান সিপিসির আওতায় নির্মিত এনার্জি প্রকল্পের জন্য দেওয়া ঋণ মুকুব করতে এবং তার পুনর্গঠন করতে চিনকে অনুরোধ করে পাকিস্তান। কিন্তু চিনের প্রধানমন্ত্রী শি জিনপিং স্পষ্টভাবে তা প্রত্যাখ্যান করেছেন। ঋণের বোঝায় এখন পাকিস্তান জর্জরিত।
ডিসেম্বর অবধি পাকিস্তানের ঋণ ছিল প্রায় ২৯,৪০০ কোটি ডলার (প্রায় ২২ লাখ কোটি টাকা), যা পাকিস্তানের জিডিপির ১০৯ শতাংশ। বিশেষজ্ঞদের মতে, ২০২৩ সালের মধ্যে এই অনুপাত বৃদ্ধি হয়ে ২২০ শতাংশ পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে। আর সেই সময় ইমরানের সরকার তার ৫ বছর পূর্ণ করবে। ইমরান খান নির্বাচনে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে উনি এমন একটি পাকিস্তান তৈরি করবে, যে বিশ্বের দেশগুলি থেকে ঋণ ভিক্ষা করবে না। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে হচ্ছে উল্টোটা।