শেষবেলাতেও বেজিং বিরোধিতা! দুই চিনা প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন হোয়াইট হাউসে শেষ দিন পর্যন্ত চিন বিরোধিতা করে যাবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প (US president Donald Trump)। অক্ষরে অক্ষরে মিলে যাচ্ছে সে কথা।

শেষবেলাতেও বেজিং বিরোধিতা! দুই চিনা প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Dec 02, 2020 | 3:29 PM

TV9 বাংলা ডিজিটাল: বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন হোয়াইট হাউসে শেষ দিন পর্যন্ত চিন বিরোধিতা করে যাবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প (US president Donald Trump)। অক্ষরে অক্ষরে মিলে যাচ্ছে সে কথা। মসনদ ছাড়ার আগেও চিনকে ধাক্বা দিতে ছাড়ছেন না ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার আরও দুই চিনা প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করতে চলেছে আমেরিকা। চিনা সামরিক প্রতিষ্ঠান সন্দেহে চিপ নির্মাতা সংস্থা সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং ইন্টারন্যাশনাল করপোরেশন (SMIC) ও জ্বালানি তেল উৎপাদনকারী সংস্থা চায়না ন্যাশনাল অফশোর অয়েল করপোরেশনকে (CNOC) কালো তালিকাভুক্ত করতে পারেন ট্রাম্প। এমনই খবর প্রকাশিত হয়েছে সে দেশের সংবাদ মাধ্যমে।

যদি আমেরিকা এই দুই সংস্থাকে কালো তালিকাভুক্ত করে তাহলে আমেরিকায় মোট কালো তালিকায় থাকবে ৩৫ টি চিনা সংস্থা। সিএওওসি ও এসএমআইসি ছাড়াও কালো তালিকাভুক্ত হতে পারে চায়না কনস্ট্রাকশান টেকনোলজি কোম্পানি লিমিটেড (CCT) ও চায়না ইন্টারন্যাশনাল ইঞ্জিনিয়ারিং কনসাল্টিং কর্পোরেশন (CICC)। তবে চিনের সঙ্গে সামরিক যোগ থাকার সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে এসএমআইসি। তাদের দাবি সেই সংস্থা সম্পূর্ণ বেসামরিক। বিবৃতি দিয়ে তারা জানিয়েছে, “চিনের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে তাদের কোনও যোগাযোগ নেই।”

আমেরিকার এই পদক্ষেপ নিয়ে শোরগোল হতেই প্রতিক্রিয়া এসেছে বেজিং থেকে। চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র হুয়া চুইনং জানিয়েছেন, চিন আশাবাদী যে আমেরিকা কোনও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এমন বৈষম্যমূলক কাজ করবে না। ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন চরমে উঠেছে চিন-আমেরিকা তরজা। বারবার বেজিংকে নিশানা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। করোনাভাইরাস ছড়ানোর দায় সরাসরি চিনের উপর চাপিয়েছেন ট্রাম্প।

আরও পড়ুন: এখানে জলেই ‘জীবন’ ফিরে পান দুঃস্থরা, জানকবুল লড়াইয়ে রোগীদের পাশে বাংলাদেশের ‘জীবনতরী’

সম্প্রতি হোয়াইট হাউস থেকে প্রকাশিত ৭০ পাতার বিবৃতিতে ধরে ধরে প্রত্যেক ইস্যুতে চিনকে ‘টার্গেট’ করেছিল আমেরিকা। সেখানে লাদাখ সংঘর্ষের দায়ও চাপানো হয়েছিল বেজিংয়ের উপর। কয়েক দিন আগে টিকটক নিষিদ্ধ করতে উঠে পড়ে লেগেছিলেন ট্রাম্প। বাইডেন এলে কি চিন-আমেরিকা সম্পর্কে উন্নতি আসবে? এই উত্তরের জন্য অপেক্ষা করতে হলেও ট্রাম্প যে চিন বিরোধিতা দিয়েই প্রশাসনিক পদ ছাড়বেন, তা কার্যত নিশ্চিত।