রাজি রিপাবলিকানরাও, সেনেটে আসছে ট্রাম্পের ইমপিচমেন্ট বিল
হাউসে ট্রাম্পের ইমপিচমেন্টের সময় তাঁর বিরুদ্ধে গিয়ে ইমপিচমেন্টের পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন একাধিক রিপাবলিকান নেতাও।
ওয়াশিংটন: এক দফার ট্রাম্প পর্ব শেষ। মার্কিন মসনদে এখন বাইডেন (Joe Biden)। তবু বিশ্ব রাজনীতিতে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে (Donald Trump) নিয়ে আলোচনার শেষ নেই। মার্কিন ক্যাপিটলে ট্রাম্পপন্থীদের হামলার পর অভিযোগের আঙুল উঠেছিল ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। তখন থেকেই ট্রাম্পের ইমপিচমেন্টের কড়া সওয়াল করেছিলেন ডেমোক্র্যাটরা রাজনীতিবিদরা। বাইডেনের শপথ গ্রহণের আগেই হাউস থেকে ইমপিচড হতে হয়েছিল ডোনাল্ড ট্রাম্পকে।
সেনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ ডেমোক্র্যাট নেতা চাক সুমার তখনই জানিয়েছিলেন, সেনেটেও ট্রাম্পের ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব আসবে। তবে বাইডেনের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের পর এতদিন সেনেটে ইমপিচমেন্ট নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। তবে এ বার সেনেটের সদস্যরা ইমপিচমেন্ট প্রস্তাবের বিষয়ে সায় দিয়েছেন। যার ফলে আগামী মঙ্গলবার সেনেটে আসতে চলেছে ট্রাম্পের ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব।
হাউসে ট্রাম্পের ইমপিচমেন্টের সময় তাঁর বিরুদ্ধে গিয়ে ইমপিচমেন্টের পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন একাধিক রিপাবলিকান নেতাও। কমলা হ্যারিস ভাইস প্রেসিডেন্ট হওয়ায় সেনেটেও এখন সংখ্যাগরিষ্ঠ ডেমোক্র্যাটরা। তবে রিপাবলিকানরা যদি ইমপিচমেন্ট বিলে ভোটে না দেয় তাহলে ট্রাম্পের ইমপিচমেন্ট সম্ভব নয়। কারণ মার্কিন সংবিধানের নিয়ম অনুযায়ী, সেনেটে দুই-তৃতীয়াংশ সদস্য ভোট দিলেই প্রস্তাব পাশ সম্ভব।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে নির্বাচন সংক্রান্ত ভুল তথ্য ছড়ানো এবং ক্যাপিটল হামলায় উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। ট্রাম্প যদি দুই কক্ষ থেকে ইমপিচড হন, তাহলে তিনি ভবিষ্যতে কোনও সরকারি পদে আসীন হতে পারবেন না। সেনেটের রিপাবলিকান নেতাদের মতে, সম্পূর্ণ স্বচ্ছতার সঙ্গে ট্রাম্পের ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব নিয়ে বিতর্ক হবে।
আরও পড়ুন: প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে মোদীর প্রথম ফোনালাপ, কী কথা হল দু’জনের?
ক্যাপিটলে হামলার পর ট্রাম্পের পাশ থেকে সরে গিয়ে তাঁরই বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিলেন একাধিক রিপাবলিকান নেতা। তাই সেনেটে ট্রাম্পের বিরুদ্ধেও যদি কোনও রিপাবলিকান ভোট দেন, তাহলে অবাক হওয়ার বিষয় নেই বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। ইতিমধ্যেই ট্রাম্পের নতুন দল ‘প্যাট্রিয়টিক পার্টি’ গড়ার জল্পনা তুঙ্গে। মার-এ-লাগো রিসর্টে বসে সেই দলেরই নাকি কাজ করছেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট, এই তথ্যও প্রকাশিত হয়েছে সংবাদ মাধ্যমে। তাই রিপাবলিকানদের পূর্ণ সমর্থন যে ট্রাম্পের দিকেই যাবে, তা নিয়েই প্রশ্নচিহ্ন থেকেই যাচ্ছে।