Turkey Syria Earthquake: ভিডিয়ো: ১৭ ঘণ্টা ধ্বংসস্তূপের তলায়, ভাইকে আঁকড়ে রাখল ৭ বছরের দিদি

Brother-sister: প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের কাহিনি ফুটে উঠেছে সেই সব ছবি-ভিডিয়োয়। কোনও পরিবারে নিঃসন্তান হয়েছেন মা-বাবা। কোনও শিশু জন্মের পরই পরিবারহীন।

Turkey Syria Earthquake: ভিডিয়ো: ১৭ ঘণ্টা ধ্বংসস্তূপের তলায়, ভাইকে আঁকড়ে রাখল ৭ বছরের দিদি
ধ্বংসস্তূপের নীচে ভাই-বোন
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 09, 2023 | 12:27 PM

সিরিয়া: ভয়াবহ ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত তুরস্ক এবং সিরিয়া। কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া এই দুই দেশে মৃতের সংখ্যা ১৫ হাজার পেরিয়েছে। ভূমিকম্পের ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে এখন চলছে উদ্ধারকাজ। ইতিমধ্যেই এই দুই দেশের প্রচুর ছবি-ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের কাহিনি ফুটে উঠেছে সেই সব ছবি-ভিডিয়োয়। কোনও পরিবারে নিঃসন্তান হয়েছেন মা-বাবা। কোনও শিশু জন্মের পরই পরিবারহীন। কংক্রিটের ধ্বংসাবশেষের মধ্য থেকে উদ্ধারের ছবি দেখেও আঁতকে উঠছেন নেটিজেনরা। সে রকমই একটি ভিডিয়ো এবং ছবি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে দেখা যাচ্ছে, একটি বাচ্চা মেয়ে এবং তার ভাই আটকে রয়েছে ধ্বংসস্তূপের তলায়। সেখানে আটকে থাকা অবস্থাতেই ছোট্ট মেয়েটি নিজের ভাইকে এক হাত দিয়ে আঁকড়ে ধরে রয়েছে। এই ছবি চোখে জল এনেছে নেটিজেনদের। ওই বাচ্চা মেয়েটির সাহসিকতার প্রশংসাও শোনা গিয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেডরস আদামন ঘিব্রেয়িসাস ওই মেয়েটির একটি ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন টুইটারে। ইউনাইটেড নেশনসের প্রতিনিধি মহম্মদ সাফাও শেয়ার করেছেন ছবি। জানা গিয়েছে, ধ্বংসস্তূপের নীচে ওই ভাই-বোনের ছবিটি ভূমিকম্প বিধ্বস্ত সিরিয়ার। বাচ্চা মেয়েটির বয়স ৭ বছর। তার ভাইয়ের বয়স ৪ বছর। তাঁদের নাম অবশ্য জানা যায়নি। তাদের বাবা-মা বেঁচে আছেন কি না, সে ব্যাপারেও জানা যায়নি।

মহম্মদ সাফা সেই ছবি শেয়ার করে লিখেছেন, “৭ বছরের মেয়েটি নিজের হাত ছোট্ট ভাইয়ের উপর রেখেছে। ধ্বংসাবশেষ থেকে এ ভাবেই নিজের ভাইকে রক্ষা করছে সে। ১৭ ঘণ্টা এ ভাবেই ছিল বাচ্চা মেয়েটি। এ ছবি শেয়ার করুন। যাতে মৃত্যু হওয়ার আগে তাঁকে উদ্ধার করা যায়।” বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান লিখেছেন, “সাহসী মেয়ের জন্য অন্তহীন প্রশংসা।”

সিরিয়া এবং তুরস্কের সীমান্ত বিশ্বের ভূমিকম্প প্রবণ এলাকাগুলির মধ্যে অন্যতম। সোমবারে সেখানে হওয়া ভূমিকম্পে ১৫ হাজারেরও বেশি লোক মারা গিয়েছেন।