Uganda: শতাধিক সন্তানের পর পরিবার পরিকল্পনা; স্ত্রীদের গর্ভনিরোধক বড়ি খেতে বললেন মুসা
Uganda Man with 102 children and 568 grandchildren: ১২ জন স্ত্রী, ১০২ জন ছেলে-মেয়ে আর ৫৬৮ জন নাতি-নাতনি। আর পেরে উঠছেন না মুসা হাসাহ্যা।
কাম্পালা: ১২ জন স্ত্রী, ১০২ জন ছেলে-মেয়ে আর ৫৬৮ জন নাতি-নাতনি। আর পেরে উঠছেন না মুসা হাসাহ্যা। অবশেষে ৬৭ বছর বয়সে এসে পরিবার পরিকল্পনার পথে হাঁটছেন তিনি। ১২ জন স্ত্রীর মধ্যে যাঁরা এখনও সন্তান প্রসব করতে পারেন, তাঁদেরকে তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, গর্ভনিরোধক বড়ি ব্যবহার করতে হবে। তাঁর আর ছেলে-মেয়ের খরচ বহন করার মতো টাকাপয়সা নেই। উগান্ডার এই ব্যক্তি বলেছেন, “আমার আর সম্পদ নেই। তাই আমি আর সন্তান চাই না। সেই প্রেক্ষিতে আমি আমার স্ত্রীদের পরিবার পরিকল্পনা করার পরামর্শ দিয়েছি। বিশেষ করে যারা সন্তানের জন্ম দেওয়ার বয়সে রয়েছে, তাদের।”
উগান্ডার বুগিসা প্রদেশে এক বিশাল বাড়িতে বসবাস করেন মুসা ও তাঁর বিশাল পরিবার। ১২ জন স্ত্রীর প্রত্যেকের জন্য আলাদা আলাদা বেডরুমের ব্যবস্থা রয়েছে সেই বাড়িতে। মুসার দাবি, ১০২ জন ছেলে-মেয়ে এবং ৫৬৮ জন নাতি-নাতনির প্রত্যেককে তিনি আলাদা আলাদা করে চিনতে পারেন ঠিকই, কিন্তু তাদের নাম মনে রাখতে পারেন না তিনি। নিজে ১২ জন স্ত্রীকে বিবাহ করলেও, বর্তমানে মুসার উপলব্ধি চারজনের বেশি স্ত্রীকে বিয়ে করা ঠিক নয়। তিনি জানিয়েছেন, যারা এর বেশি বিয়ে করতে চান, তাদের তিনি নিরুৎসাহ করেন। কারণ ‘পরিস্থিতি মোটেই ভালো নয়’।
Musa Hasahya, the man believed to be Butaleja district’s most polygamous man has cried out for help saying his big family has become a ‘big burden’. https://t.co/vHonASTOGT | #VisionUpdates pic.twitter.com/CAxGfeFFj8
— The New Vision (@newvisionwire) November 22, 2022
মুসার প্রথম স্ত্রীর নাম হানিফা। ১৯৭১ সালে মাত্র ১৬ বছর বয়সে হানিফাকে বিয়ে করেছিলেন মুসা। দুই বছর পর জন্ম নিয়েছিল তাঁদের প্রথম কন্যা। তারপর থেকে মুসার পরিবার সংখ্যায় শুধুই বেড়েছে। তিনিই গ্রামের প্রধান। একজন সফল ব্যবসায়ীও বটে। কাজেই তার অর্থের অভাব ছিল না। মুসা জানিয়েছেন, “আমি ভালোই রোজগার করতাম বলে আমি আমার পরিবার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। আরও মহিলাকে বিয়ে করেছিলাম।” তিনি জানিয়েছেন এতগুলি বিয়ে করলেও, তাঁর সকল স্ত্রী এবং ছেলে-মেয়ে যাতে সমান সুযোগ-সুবিধা পায়, সেটা তিনি সবসময় নিশ্চিত করেছিলেন। তবে এখন তিনি তাঁর পরিবারের শিশুদের পড়াশোনার খরচ চালাতে পারছেন না। তাই, তিনি এই বিষয়ে সরকারের সাহায্য চাইছেন।