ট্রাম্প-হাওয়া শেষ হতেই জলবায়ু সম্মেলনে ডাক পেলেন বাইডেন
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর অফিসের বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, "তাঁরা দুই দেশের দীর্ঘকালীন সুসম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে কথা বলেছেন। ব্যবসা, নিরাপত্তা, নাটোর মাধ্যমে সম্পর্কের উন্নতি হবে।"
TV9 বাংলা ডিজিটাল: মার্কিন নির্বাচনে ম্যাজিক ফিগার পেয়েছেন জো বাইডেন (Joe Biden)। স্বাভাবিক ভাবেই দেশের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হবেন তিনিই। ইতিমধ্যেই কয়েকটি দেশ ছাড়া সমগ্র বিশ্ব শুভেচ্ছা জানিয়েছে বাইডেন ও কমলা হ্যারিসকে। এবার রাষ্ট্রসঙ্ঘের আগামী বছরের জলবায়ু সংক্রান্ত সভায় স্কটল্যান্ডে মার্কিন হবু প্রেসিডেন্টকে আমন্ত্রণ করলেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
আগামী বছর স্কটল্যান্ডে রাষ্ট্রসঙ্ঘে জলবায়ু সংক্রান্ত যে সম্মেলন হবে তার নাম কপ২৬। সেখানেই ডাক পেলেন জো। মার্কিন নির্বাচনের পর প্রথম জো বাইডেনের সঙ্গে কথা বললেন বরিস জনসন। দুজনের মধ্যে কথা হওয়ার পর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর অফিসের বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, “তাঁরা দুই দেশের দীর্ঘকালীন সুসম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে কথা বলেছেন। ব্যবসা, নিরাপত্তা, নাটোর মাধ্যমে সম্পর্কের উন্নতি হবে।”
বিবৃতিতে এও বলা হয়েছে, “ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী জো বাইডেনকে রাষ্ট্রসঙ্ঘের জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত কপ২৬ সভায় আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। যা আগামী বছর ব্রিটেনের গ্লাসগোয় হবে। এছাড়া ব্রিটেন আয়োজিত ২০২১ এর জি৭ সম্মেলনে দুজন একে অপরের সঙ্গে দেখা করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।”
somewhat unbelievably, there really is a hidden message congratulating Trump just about visible underneath the graphic Boris Johnson tweeted congratulating Biden on his win. I have no idea why Downing Street just didn’t start a new image, or why they are so bad at Photoshop pic.twitter.com/RLY0SV0680
— Matthew Champion (@matthewchampion) November 10, 2020
এর আগে টুইট করে জো বাইডেনকে নির্বাচন জেতার শুভেচ্ছা জানিয়ে ছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু সেখানেও সৃষ্টি হয়েছিল চরম বিতর্ক। ডাউনিং স্ট্রিটের টুইটে অস্পষ্ট ভাবে দেখা যাচ্ছিল ‘ট্রাম্প’ ও “দ্বিতীয় দফা” এই দুই শব্দ। যদিও এটাকে যান্ত্রিক গোলযোগ বলেই চালিয়ে ছিলেন বরিস জনসন।
আরও পড়ুন: টেকনিক্যাল রিসেশন: একই বছরের পরপর দুটি ত্রৈমাসিকে জিডিপি সংকুচিত হওয়ার আশঙ্কা
ট্রাম্প প্যারিসের জলবায়ু সংক্রান্ত চুক্তি থেকে সরে এসেছিলেন। আর নির্বাচনী প্রচারে বারবার জলবায়ুকে গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেছেন জো ও কমলা জুটি। তাঁরা ক্ষমতায় এলে আমেরিকাকে ফের প্যারিস জলবায়ু চুক্তির অন্তর্গত করবেন বলেও জানিয়ে ছিল ডেমোক্র্যাটরা। স্বভাবতই জলবায়ু সম্মেলনে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে উৎসাহিত না হওয়ার কোনও কারণ দেখছে না ডেমোক্র্যাট শিবির।