Russia-Ukraine Conflict: ‘রাশিয়ার সঙ্গে কথা বলা ভীষণ কঠিন’, তবে কি হাল ছেড়ে দিচ্ছে ইউক্রেন?
Russia-Ukraine Conflict: শুক্রবার ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা বলেন, "রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় রফাসূত্র খুঁজে পাওয়া ভীষণ কঠিন। তবে ইউক্রেনের প্রতিনিধিরাও কঠোর অবস্থান নিয়েছেন এবং নিজেদের দাবি থেকে সরবেন না বলেই জানিয়েছেন।"
কিয়েভ: একমাস কেটে গিয়েছে, এখনও থামেনি রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ (Russia-Ukraine War)। পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আগেই আলোচনার মাধ্যমে বিরোধ মিটিয়ে ফেলতে উদ্যোগী ইউক্রেন (Ukraine)। ইতিমধ্যেই কয়েক দফা বৈঠকও হয়েছে দুই দেশের মধ্যে, কিন্তু তাতে আখেরে লাভ হয়নি খুব একটা। শুক্রবার ইউক্রেনের তরফে জানানো হয় যে, রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা করা ভীষণই কঠিন। যুদ্ধের এক মাস কেটে যাওয়ার পরও রাশিয়া যেমন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে, তেমনভাবেই ইউক্রেনও নিজেদের দাবি থেকে এক চুল সরতে নারাজ বলেই জানানো হয়।
শুক্রবার ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা বলেন, “রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় রফাসূত্র খুঁজে পাওয়া ভীষণ কঠিন। তবে ইউক্রেনের প্রতিনিধিরাও কঠোর অবস্থান নিয়েছেন এবং নিজেদের দাবি থেকে সরবেন না বলেই জানিয়েছেন। আমাদের প্রথম দাবিই হল যুদ্ধবিরতি, নিরাপত্তার গ্য়ারান্টি ও ইউক্রেনের আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষা করা।”
তিনি জানান যে, গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে এখনও একমত হওয়া যায়নি। রাশিয়ান নয়, ইউক্রেনের একমাত্র ভাষা ইউক্রেনীয় ভাষাই হবে বলেও জানান বিদেশমন্ত্রী। এক্ষেত্রে বলে রাখা উচিত, দীর্ঘ বছর ধরেই রাশিয়ার তরফে দাবি করা হয়েছে প্রতিবেশী দেশ ইউক্রেনে রুশ ভাষায় যারা কথা বলেন, তাদের বৈষ্যমের শিকার হতে হচ্ছে। ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করার অন্যতম কারণ এটি বলেও দাবি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গতকালই তুরস্কের নেতা রিসেপ তায়িপ এরডোগান জানান, কিয়েভ ও মস্কো চারটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ঐক্যমত হয়েছে, এরমধ্যে অন্যতম হল ভাষা বিভেদ। তবে ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রী কুলেবা বিকেলেই সেই দাবিকে উড়িয়ে দেন। এদিকে, রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের যুদ্ধ থামাতে তুরস্ক যে কূটনৈতিক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে এবং রাজনৈতিক ও মানবিক সাহায্য করেছে, তার জন্য ধন্যবাদ জানানো হয়েছে ইউক্রেনের তরফে।