UN on Russia-Ukraine Conflict: পুতিন-জ়েলেনস্কিকে চিঠি রাষ্ট্রসঙ্ঘের, যুদ্ধ থামাতে এবার কি মুখোমুখি আসবেন তারা?
Russia-Ukraine Conflict: ক্রেমলিনের তরফে জানানো হয়েছে, শান্তি আলোচনার জন্য রাশিয়ার তরফে যে যে দাবিগুলি রাখা হয়েছে, তা স্পষ্ট ও বিস্তারিতভাবে একটি নথি হিসাবে কিয়েভে পাঠানো হয়েছে। যদিও ইউক্রেনের অর্থমন্ত্রী এই ধরনের কোনও নথি পাওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন।
জেনেভা: যুদ্ধ থামানোর আর্জি জানানো হচ্ছে দীর্ঘদিন ধরেই, তবুও পিছু হটতে নারাজ রাশিয়া (Russia)। প্রায় দুই মাস কেটে গেলেও এখনও যুদ্ধ থামার নাম নেই রাশিয়া ও ইউক্রেনের (Ukraine) মধ্যে। এদিকে, এই যুদ্ধের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে আন্তর্জাতিক বাজারে। হু হু করে চড়ছে তেল থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম। বিশ্ববাসীকে এই সঙ্কটময় পরিস্থিতি থেকে উদ্ধার করতে এবার রাশিয়া ইউক্রেনকে মুখোমুখি আলোচনায় বসার পরামর্শ দিলেন রাষ্ট্রসঙ্ঘের সেক্রেটারি জেনারেল অ্যান্তেনিও গাতেরাস (Antonio Guterres)। বুধবারই তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জ়েলেনস্কিকে চিঠি লিখে যুদ্ধ পরিস্থিতি ও দ্রুত ইউক্রেনে শান্তি ফেরানোর জন্য আলোচনার কথা বলেন।
রাষ্ট্রসঙ্ঘের সেক্রেটারি জেনারেলের মুখপাত্র স্টেফানি দুজারিক জানান, রাশিয়া ও ইউক্রেনের স্থায়ী সদস্যদের হাতে ওই চিঠি তুলে দেওয়া হয়েছে। ওই চিঠিতে রাষ্ট্রসঙ্ঘের সচিব দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানকেই চিঠি স্বীকার করার কথা বলেছেন এবং মস্কো ও কিয়েভে তাঁকে স্বাগত জানানোর কথা বলেছেন। আন্তেনিও গাতেরাস চিঠিতে বলেছেন, “এই কঠিন ও সঙ্কটময় সময়ে দাঁড়িয়ে ইউক্রেনে দ্রুত শান্তি ফেরাতে এবং আগামিদিনে রাষ্ট্রসঙ্ঘ ও আন্তর্জাতিক আইন মেনে কীভাবে বহুত্ববাদ বজায় রাখা যায়, তা নিয়ে আলোচনা করতে চাই।”
ক্রেমলিনের তরফে জানানো হয়েছে, শান্তি আলোচনার জন্য রাশিয়ার তরফে যে যে দাবিগুলি রাখা হয়েছে, তা স্পষ্ট ও বিস্তারিতভাবে একটি নথি হিসাবে কিয়েভে পাঠানো হয়েছে। যদিও ইউক্রেনের অর্থমন্ত্রী এই ধরনের কোনও নথি পাওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশেই রুশ সেনা ইউক্রেনের উপরে সামরিক অভিযান শুরু করে। ইতিমধ্যেই ৫৬ দিনে পা রেখেছে এই যুদ্ধ। দুই দেশের লড়াইয়ে প্রাণ হারিয়েছেন হাজার বা লক্ষাধিক মানুষ। ঘরছাড়া হয়েছেন ৫০ লক্ষেরও বেশি মানুষ। যুদ্ধের কিছুদিন পরই রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে বেশ কয়েক দফায় যুদ্ধ থামানো ও ইউক্রেনে শান্তি ফেরানো নিয়ে আলোচনা হলেও, এখনও অবধি মুখোমুখি বৈঠকে বসেননি রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। ইউক্রেনের তরফে এই আলোচনার প্রস্তাব একাধিকবার দেওয়া হলেও, তার সদুত্তর মেলেনি রাশিয়ার কাছ থেকে। এবার রাষ্ট্রসঙ্ঘের তরফেও দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানকে আলোচনায় বসতে বলা হল।