Bangladesh: মানবিকতার খাতিরে আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল, রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার আর্জি হাসিনার

Bangladesh ভার্চুয়াল বৈঠকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, ২০১৭ সাল থেকে অত্যাচারের ফলে দলে দলে রোহিঙ্গারা পালিয়ে বাংলাদেশে চলে আসতে থাকেন। এর পর থেকেই এই সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য ধারাবাহিক ভাবে রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ পরিষদে সওয়াল করে বাংলাদেশ।

Bangladesh: মানবিকতার খাতিরে আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল, রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার আর্জি হাসিনার
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 23, 2021 | 5:54 PM

নিউইয়র্ক: রোহিঙ্গাদের (Rohingya) অতি দ্রুত নিজেদের দেশে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে সরব হলেন বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (PM Sheikh Hasina) । নিউইয়র্কে (New York) আয়োজিত রাষ্ট্রপুঞ্জের (United Nations) সাধারণ পরিষদের অধিবেশন চলাকালীন চলাকালীন এক উচ্চপর্যায়ের আলোচনায় এই বিষয়ে জোরালো সওয়াল করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। তাঁর মতে “রোহিঙ্গা ইস্যুতে সমগ্র বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলির নিষ্ক্রিয়তা বাংলাদেশ যথেষ্ট হতাশ বলেই জানিয়েছেন হাসিনা। কিন্তু অনেক প্রতিকূলতার মধ্যেও শুধুমাত্র মানবিকতার খাতিরে রোহিঙ্গদের আশ্রয় দিয়েছিল বাংলাদেশ।”

আগামীকাল, ২৪ সেপ্টেম্বর, রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর। বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগে আয়োজিত হাই-লেভেল সাইড ইভেন্ট অন ফরসিবলি ডিসপ্লেস মায়ানমার ন্যাশনালস (রোহিঙ্গা) ক্রাইসিস: ইম্পারেটিভ ফর আ সাসটেইনেবল সলিউশন শীর্ষক ভার্চুয়াল বৈঠকে রোহিঙ্গাদের বিষয়ে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। হাসিনা বলেন “রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে যথেষ্ট উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই এই ব্য়াপারে সকলের একত্রিত হয়ে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহন করা প্রয়োজন। আমি অত্যন্ত জোরের সঙ্গে বলতে চাই রোহিঙ্গদের বিষয়ে আমরা যা কিছু করেছি তা মানবতার খাতিরে ও সম্পূর্ণরূপে অস্থায়ী ভিত্তিতে। তাঁরা কখনই বাংলাদেশের নাগরিক নন। রোহিঙ্গারা মায়ানমারের নাগরিক, তাঁরা তাঁদের জন্মভূমি মায়ানমারে (Mayanmar) ফিরে যেতে চান এবং এই বিষয়ে আন্তর্জাতির স্তর থেকে পদক্ষেপ করা প্রয়োজন ”

আরও পড়ুন Afghanistan Crisis: শিক্ষার অধিকার থেকে মহিলাদের বঞ্চিত করা ইসলাম বিরুদ্ধ, তালবানকে বার্তা ইমরানের

এই ভার্চুয়াল বৈঠকে রোহিঙ্গাদের নিজেদের দেশে ফেরাতে আন্তর্জাতিক স্তর থেকে প্রয়োজনীয় যাবতীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলেই মন্তব্য করেন মুজিব (Bangabandhu Mujibar Rehman) কন্যা। এর পাশাপাশি সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের ওপর হওয়া অন্যায় ও নিপীড়নের জন্য যাঁরা দায়ী, তাঁদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক স্তর থেকে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে জোরালো সওয়াল করেন হাসিনা।

ভার্চুয়াল বৈঠকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, ২০১৭ সাল থেকে অত্যাচারের ফলে দলে দলে রোহিঙ্গারা পালিয়ে বাংলাদেশে চলে আসতে থাকেন। এর পর থেকেই এই সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য ধারাবাহিক ভাবে রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ পরিষদে সওয়াল করে বাংলাদেশ। এবং তিনি জানান এই বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার প্রতিনিয়ত মায়ানমারের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছে।

“ভারত (India), চিনের (China) মতো শক্তিধর দেশগুলিকে আমরা এই বিষয়ে বারবার অবহিত করেছি। বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমরা রাষ্ট্রপুঞ্জ সহ, সব আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে নজর আকর্ষণের চেষ্টা করেছি। তবে খুবই দুঃখজনকভাবে এখনও অবধি এই সমস্যার স্থায়ী কোনও সমাধান হয়নি। দীর্ঘ তার বছর ধরে অধীর আগ্রহে বাংলাদেশ এই গৃহহীন মানুষগুলোর নিজ বাসস্থানে ফিরে যাওয়ার অপেক্ষা করছে. কিন্তু এখনও অবধি একজন রোহিঙ্গাও নিজেদের দেশ ফিরতে পারেননি। রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে আমরা এখনও আশাবাদী।” জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এখন রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক স্তর থেকে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয় কিনা সেদিকেই তাকিয়ে সংশ্লিষ্ট মহল।

আরও পড়ুন  Madhya Pradesh: বদলা নেওয়ার ছক কষেছিল আগেই, ধর্ষণে বাধা দেওয়ায় তরুণীর চোখে অ্যাসিড ঢেলে দিল ২ যুবক!