‘করোনার উৎপত্তিস্থল না জানলে কোভিড-২৬ বা ৩২ হওয়াও অসম্ভব নয়’, পরোক্ষে চিনকেই দোষারোপ মার্কিন বিশেষজ্ঞদের
টেক্সাস চিলড্রেন হসপিটাল সেন্টার ফর ভ্যাকসিন ডেভেলপমেন্টের সহকারি ডিরেক্টর পিটার হোটেজ় বলেন, "কীভাবে সংক্রমণ ছড়িয়েছে, তা জানতে না পারা সমগ্র বিশ্বকে ভবিষ্যতে আরও বড় কোনও সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার মুখেই ঠেলে দিচ্ছে।"
ওয়াশিংটন: করোনাভাইরাসের উৎপত্তি নিয়ে আরও জোরাল হচ্ছে বিতর্ক। বিভিন্ন মার্কিন সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে পশু-পাখির বাজার নয়, বরং উহানের ল্যাব থেকেই করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার সপক্ষে সওয়াল করা হচ্ছে। রবিবার আমেরিকার রোগ বিশেষজ্ঞ দুটি ভিন্ন সাক্ষাৎকারে বলেন, “করোনাভািরাসের উৎপত্তিস্থল খুঁজতে চিন সরকারের উচিত এই মুহূর্তে সমগ্র বিশ্বকে সহযোগিতা করা এবং আগামিদিনে আরও ভয়ঙ্কর কোনও মহামারী পরিস্থিতি যাতে সৃষ্টি না হয়, সেই বিষয়টি নিশ্চিত করা।”
টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থা ফাইজ়ারের বোর্ড সদস্য় তথা ট্রাম্প প্রশাসনে খাদ্য ও ওষুধ বিভাগের প্রাক্তন কমিশনার স্কট গটলিব বলেন, “সার্স-কোভি-২ যে চিনের উহান ল্যাব থেকে ছড়িয়ে পড়েছিল, সেই তত্ত্বের সপক্ষেই তথ্য জোরাল হচ্ছে। চিন এই তত্ত্ব অস্বীকার করলেও এর বিরুদ্ধে কোনও তথ্য প্রমাণ দিতে পারেনি। এ দিকে, বন্যপ্রাণী থেকেল করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার তত্ত্বও এখনও প্রমাণ হয়নি।”
অন্যদিকে, টেক্সাস চিলড্রেন হসপিটাল সেন্টার ফর ভ্যাকসিন ডেভেলপমেন্টের সহকারি ডিরেক্টর পিটার হোটেজ় বলেন, “কীভাবে সংক্রমণ ছড়িয়েছে, তা জানতে না পারা সমগ্র বিশ্বকে ভবিষ্যতে আরও বড় কোনও সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার মুখেই ঠেলে দিচ্ছে। যদি আমরা কোভিড-১৯-র উৎপত্তি সম্পর্কে না জানতে পারি, তবে এরপর কোভিড-২৬ বা কোভিড-৩২ হওয়াও অসম্ভব নয়।” হোটেজ়ের মতে, করোনার উৎপত্তি নিয়ে সঠিকভাবে জানার জন্য চিনে দীর্ঘসময়ের জন্য গবেষণা করতে দেওয়া উচিত। মানুষ ও পশুদের রক্তের নমুনা পরীক্ষা করে আদৌই প্রাণী থেকে মানবদেহে করোনা সংক্রমণ সম্ভব কিনা, তা যাচাই করা প্রয়োজন বলেও দাবি করেন তিনি। কমপক্ষে ছয় মাস বা এক বছরের জন্য হুবেই প্রদেশে বিজ্ঞানী, মহামারী বিশেষজ্ঞ, ভাইরোলজিস্ট, বাদুর বিশেষজ্ঞদের গবেষণা করতে দেওয়ার দাবিও জানান তিনি।
প্রায় দেড় বছর আগে চিন থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের উৎপত্তি নিয়ে প্রথম থেকেই প্রশ্ন তুলেছিল ট্রাম্প প্রশাসন। সম্প্রতি একটি বিখ্যাত মার্কিন সংবাদ পত্রে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়, যেখানে বলা হয় যে চিনে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার কিছু দিন আগেই উহান ল্যাবের কয়েকজন গবেষক অসুস্থ হয়ে পড়েন। এই প্রতিবেদন প্রকাশের পরই বাইডেন প্রশাসন ৯০ দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে দাপাচ্ছে করোনার নাইজেরিয়ান স্ট্রেন