Russia-France Relation: ‘রাশিয়াকে অপমান করা উচিত নয়’, পুতিনের দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়ালেন ম্যাক্রোঁ?

Russia-Ukraine Conflict: শনিবার স্থানীয় এক সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় ম্যাক্রোঁ বলেন, "রাশিয়াকে অপমান করা উচিৎ নয়। কারণ যুদ্ধ যখন থামবে সেই সময় যাতে কূটনৈতিক আলোচনার রাস্তা খোলা থাকে।

Russia-France Relation: 'রাশিয়াকে অপমান করা উচিত নয়', পুতিনের দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়ালেন ম্যাক্রোঁ?
ছবি: ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 04, 2022 | 5:05 PM

প্যারিস: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia-Ukraine War) শুরুর পর থেকে গোটা বিশ্বে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে (Vladimir Putin) কোণঠাসা করার চেষ্টা হয়েছিল। আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্সের মতো বিশ্বের তাবড় শক্তিধর দেশগুলি এই তালিকায় ছিল। ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের বিরোধিতা করলেও দ্বিতীয়বারের জন্য নির্বাচিত ফ্রেঞ্চ প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর (Emmanuel Macron) গলায় এবার অন্য সুর। ফরাসি প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, তিনি রাশিয়াকে অপমান করার পক্ষপাতী নন কারণ যখন যুদ্ধ থেমে যাবে তখন যেন কূটনৈতিক সমস্যার সমধান খুঁজতে কোনও সমস্যা না হয়। ম্যাক্রোঁ জানিয়েছে, এই যুদ্ধ থামাতে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা নিতে আগ্রহী প্যারিস। ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকেই রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কথাবার্তা বজায় রাখার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু ফরাসি প্রেসিডেন্টের এই অবস্থানের সমালোচনা করেছিল ইউরোপের বেশ কিছু দেশ।

শনিবার স্থানীয় এক সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় ম্যাক্রোঁ বলেন, “রাশিয়াকে অপমান করা উচিৎ নয়। কারণ যুদ্ধ যখন থামবে সেই সময় যাতে কূটনৈতিক আলোচনার রাস্তা খোলা থাকে। ফ্রান্স মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করতে আগ্রহী।” রাশিয়ার আগ্রাসনের নিন্দা করলেও নিয়মতি পুতিনের সঙ্গে ম্যাক্রোঁর যোগাযোগ ছিল, এবং একাধিক বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে আলোচনাও হয়েছে। শুরু থেকে ফ্রান্স মস্কো এবং কিয়েভকে অস্ত্র ছেড়ে আলোচনার টেবিলে বসার আবেদন জানিয়েছিল। ফরাসি প্রেসিডেন্ট বলেন, “আমি পুতিনকে বলেছি, রুশ নাগরিক, ইতিহাস এবং নিজের জন্য তিনি ঐতিহাসিক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে চলেছেন।”

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ফ্রান্স, ইউক্রেনকে সামরিক ও অর্থনৈতিকভাবে সাহায্য করে এসেছে। ইউক্রেন চেয়েছিল ফরাসি প্রেসিডেন্ট অন্যান্য ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের দেশের মতো তাদের রাজনৈতিক সমর্থন দিতে সেদেশে আসুন, কিন্তু এখনও অবধি ম্যাক্রোঁ সেই পথে হাঁটেনি। উল্লেখ্য, ফেব্রুয়ারি মাসের ২৪ তারিখ অতর্কিতে ইউক্রেনে হানা দিয়েছিল রাশিয়া। রুশ আক্রমণের পর থেকে ইউক্রেনের বিধ্বস্ত অবস্থা। তবে এখনও অবধি রুশ সেনাকে থামিয়ে রাখতে পেরেছে ইউক্রেন। এখন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ কতদিন চলে, এটাই এখন দেখার।