Donald Trump: ভূতের মুখে রাম নাম! ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে এ কী বলে দিলেন ট্রাম্প

Donald Trump: তথ্য বলছে, আমেরিকাতে উচ্চশিক্ষার জন্য প্রতি বছর সারা দুনিয়া থেকে প্রায় ১০ লাখ পড়ুয়া যায়। এদের মধ্যে ২৫ শতাংশ, মানে আড়াই লাখই ভারতীয়। ফলে ট্রাম্পের আশ্বাস বাস্তবায়িত হলে, ভারতের লাভই সবচেয়ে বেশি।

Donald Trump: ভূতের মুখে রাম নাম! ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে এ কী বলে দিলেন ট্রাম্প
ডোনাল্ড ট্রাম্প।Image Credit source: AFP
Follow Us:
| Updated on: Jun 27, 2024 | 11:28 PM

কলকাতা: শুনে মনে হতে পারে ভূতের মুখে রাম নাম। তবে তলিয়ে দেখলে কিন্তু নিখাদ ব্যবসায়ী বুদ্ধি আর ভোটের অঙ্কটা চোখে পড়তে পারে। তবে যাইহোক তাতে লাভ ভারতীয়দের। তাই বেড়াল সাদা না কালো তা ভেবে খুব একটা লাভ নেই বলেই মনে হয়। ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিবাসীদের আমেরিকায় থাকতে দিতে চান না। প্রেসিডেন্ট থাকার সময় তাঁর নিষেধাজ্ঞায় থমকে গিয়েছিল গ্রিন কার্ড দেওয়ার প্রসেস। পরে জো বাইডেন এসে সেইসমস্ত আবার চালু করেন। গ্রিন কার্ড হল আদপে ভোটাধিকার ছাড়া মার্কিন নাগরিকত্ব। একবার পেয়ে গেলে বারবার ভিসার ঝামেলা নেই। তাই এর চাহিদাও প্রচুর।

তথ্য বলছে, আমেরিকায় মোটামুটি বছরে সাড়ে ৩ লাখের মতো গ্রিন কার্ড ইস্যু করা হয়। তবে প্রতিটি দেশের জন্য মাত্র ৭ শতাংশ গ্রিন কার্ড বরাদ্দ থাকে। সমীক্ষা বলছে এখন যাঁরা আবেদন করছেন, তাঁদের সবার কার্ড পেতে লেগে যাবে ১৩৪ বছর। ফলে প্রায় ৪ লাখ মানুষের আর জীবদ্দশায় গ্রিন কার্ড পাওয়া হবে না। এঁদের মধ্যে আবার ৯০ শতাংশই ভারতীয়। অবস্থা যখন এইরকম তখন ডোনাল্ড ট্রাম্প ভোটের আগে একটা ইন্টারভিউতে বলেছেন, তিনি ক্ষমতায় এলে এমন ব্যবস্থা করবেন যে আমেরিকায় যারা পড়াশোনা করতে যাবেন তাঁরা ডিগ্রির সঙ্গেই হাতে পেয়ে যাবেন গ্রিন কার্ড। 

তথ্য বলছে, আমেরিকাতে উচ্চশিক্ষার জন্য প্রতি বছর সারা দুনিয়া থেকে প্রায় ১০ লাখ পড়ুয়া যায়। এদের মধ্যে ২৫ শতাংশ, মানে আড়াই লাখই ভারতীয়। ফলে ট্রাম্পের আশ্বাস বাস্তবায়িত হলে, ভারতের লাভই সবচেয়ে বেশি। এবার প্রশ্ন হল, ভোটের আগে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্টের মুখে হঠাত্‍ কেন একথা শোনা গেল? একটা দিক হল, প্রবাসী-অনাবাসী ও ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের একাংশ আমেরিকায় বেশ প্রভাবশালী। তাঁরা ওদেশে ভোটও দেন। ভারতীয়দের বেশি সংখ্যায় গ্রিন কার্ড পেতে দেখলে তাঁরা খুশিই হবেন। অন্যটা, নিখাদ ব্যবসায়ী বুদ্ধি বলেই মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। 

বিদেশি পড়ুয়ারা প্রতি বছর মার্কিন অর্থনীতিতে প্রায় ৪ হাজার কোটি ডলার যোগ করেন। এখন গ্রিন কার্ডের আশায় যদি তাঁরা আরও বেশি করে মার্কিন মুলুকে পাড়ি দেন। তাহলে লাভ হবে আমেরিকারই। অন্যদিকে আবার গ্রিন কার্ড না পাওয়ায় প্রতি বছর আমেরিকায় পড়াশোনা শেষ করে বহু পড়ুয়াকে দেশে ফিরে আসতে হয়। তাঁরা নিজেদের দেশে চাকরি করে কোটি কোটি টাকা আয় করেন। যা তাঁদের দেশের অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটায়। কিন্তু আমেরিকার কোনও লাভ হয় না। হার্ভার্ড, এমআইটির মতো আমেরিকার সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে পড়াশোনা করেও অনেক বিদেশি পড়ুয়াকে নিজেদের দেশে ফিরে আসতে হয়। তাঁরা গ্রিন কার্ড পেয়ে আমেরিকাতেই চাকরি করলে ওদেশের লাভ। ফলে ট্রাম্প যা বলার তা ভেবেচিন্তেই বলেছেন বলে মত বিশ্লেষকদের।