Omicron Variant: ওমিক্রনে রেহাই পাচ্ছে ফুসফুস! কী প্রমাণ এল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হাতে?
Omicron Variant: ইতিমধ্য়েই বিশ্বজুড়ে কয়েক লক্ষ মানুষ ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন। তবে ওমিক্রন যে মানুষকে খুব বেশি অসুস্থ করছে না, তার প্রমাণ রয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে।
স্টকহোম: বিশ্ব জুড়ে এখন আতঙ্কের একটাই নাম, ওমিক্রন। প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন করোনার এই অতি সংক্রামক ভ্যারিয়েন্টে। বারবার সতর্ক হওয়ার বার্তা দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় যে ব্যাপক প্রভাব পড়তে পারে, এমন আশঙ্কাও প্রকাশ করেছেন অনেকেই। তবে এরই মধ্যে আশার কথা শোনাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ওমিক্রনের আঘাত যে খুব একটা ভয়ঙ্কর নয়, সেই প্রমাণ এল হু- এর হাতে।
নতুন ভ্যারিয়েন্টকে চিনে নিতে প্রতিনিয়ত গবেষণা চলছে বিশ্ব জুড়ে। ওমিক্রনের প্রভাব কতটা ক্ষতিকর হতে পারে, তা নিয়ে নিরন্তর গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও প্রতিনিয়ত সেই সব তথ্য সংগ্রহ করে চলেছে। আর এবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হাতে এল এমন একাধিক তথ্য যা থেকে স্পষ্ট যে, ওমিক্রনের প্রভাব তেমন ভয়াবহ নয়।
ফুসফুসে আক্রমণ নয়
হু জানাচ্ছে, ওমিক্রন সাধারণত শ্বাসনালীর ওপরের দিকের অংশে প্রভাব ফেলে। অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় উপসর্গ অনেকটাই মৃদু। মৃত্যুর হারও অনেক কম বলেই মনে করা হচ্ছে। হু- এর এক কর্তা আবদি মাহমুদ জানিয়েছেন, তথ্য ও প্রমাণ দেখে বোঝা যাচ্ছে, ওমিক্রন অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টের মতো ফুসফুসের ক্ষতি করে না। এটি কেবলমাত্র শ্বাসনালীর ওপরের দিকের অংশে আক্রমণ করে। ফলে, নিউমোনিয়া হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে অনেক কম। তিনি বলেন, ‘এটা সত্যিই একটা ভালো খবর, তবে আরও অনেক বেশি প্রমাণের প্রয়োজন রয়েছে।’
তবে ওমিক্রনকে অবহেলা নয়
তবে উপসর্গ মৃদু বলে উপেক্ষা করা উচিৎ নয় ওমিক্রনকে। কারণ, আরও শক্তিশালী ভ্যারিয়েন্টের উৎপত্তির সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। ইউরোপে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সিনিয়র এমার্জেন্সি অফিসার ক্যাথেরিন স্মলউড সেই সম্ভাবনা নিয়েই উদ্বেগ প্রকাশ করেন। একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “যত ওমিক্রন সংক্রমণ ছড়াচ্ছে, ততই এর সংক্রমণ ক্ষমতা বাড়ছে। যত পরিবর্তন আসবে, ততই নতুন ভ্য়ারিয়েন্ট তৈরি হওয়ার সম্ভাবনাও বাড়ছে। ওমিক্রনও ভয়ঙ্কর, প্রাণঘাতী…হয়তো ডেল্টার তুলনায় এর ক্ষমতা একটু কম, তবে কে বলতে পারে যে পরবর্তী ভ্যারিয়েন্ট কতটা শক্তিশালী হবে।”
তিনি জানান, ব্যক্তি নিরিখে ওমিক্রন সংক্রমণে গুরুতর অসুস্থ হওয়া বা হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকলেও, অতিরিক্ত সংক্রমণের কারণে ডেল্টা বা অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় অনেক বেশি বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে ওমিক্রন।
অভিযোজনের ফলেই হারাচ্ছে ক্ষমতা
গত ২৪ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ মিলেছিল। সেই সময় জানা গিয়েছিল যে, করোনার এই নতুন ভ্যারিয়েন্ট কমপক্ষে ৩০ থেকে ৫০ বার অভিযোজিত হয়েছে। গবেষকরা আরও অভিযোজনের আশঙ্কা প্রকাশ করলেও, বিগত কয়েক সপ্তাহের প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, সংক্রমণের বিপুল বিস্তার ও অভিযোজনের ফলে ভাইরাস গুরুতর অসুস্থতা সৃষ্টি করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে।
আরও পড়ুন : Kolkata Safe Home: কলকাতায় কোভিড ‘সুনামি’, আবারও শহরে চালু ৩টি সেফ হোম