London: ‘যুদ্ধে’ জয়ী সৌদি বাদশার বিধবা স্ত্রী, এভাবেই ফিরে পেলেন কোটি-কোটি টাকার সম্পত্তি!

উত্তর লন্ডবের বিশপস অ্যাভিনিউ-কে বলা হয় 'বিলিওনেয়ার্স রো' বা 'বিলিওনেয়ার্স স্ট্রিট'। কারণ খুব সহজ, এই রাস্তায় মোট ৬৬টি বাড়ি রয়েছে। অধিকাংশরই মালিক কোটিপতি শিল্পপতিরা। এই তালিকায় রয়েছে ইস্পাত শিল্পের অন্যতম বড় নাম লক্ষ্মী মিত্তল, ব্রুনেইয়ের সুলতান তথা মিডিয়া মোগুল রিচার্ড ডেসমন্ডের মতো ব্যক্তিরা।

London: 'যুদ্ধে' জয়ী সৌদি বাদশার বিধবা স্ত্রী, এভাবেই ফিরে পেলেন কোটি-কোটি টাকার সম্পত্তি!
সৌদি আরবের প্রয়াত বাদশা ফাহদ বিন আবদুল আজিজ আল-সৌদImage Credit source: Twitter
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 27, 2023 | 8:11 AM

লন্ডন: বড় যুদ্ধ জিতলেন সৌদি আরবের প্রয়াত বাদশা ফাহদ বিন আবদুল আজিজ আল-সৌদের বিধবা স্ত্রী, আল জাওয়ারাহ বিনতে ইব্রাহিম আবদুল আজিজ আল ইব্রাহিম। লন্ডনের ‘দ্য বিশপ অ্যাভিনিউ’-এ অবস্থিত প্রাসাদ, ‘কেনস্টেড হলে’র মালিকানা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তাঁর আইনি লড়াই চলছিল ‘অ্যাস্টুরিয়ন ফাউন্ডেশনে’র সঙ্গে। ১৯৭৪ সালে এই প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেছিলেন প্রয়াত বাদশাই। ২০০৫-এ তাঁর মৃত্যুর পর, প্রাসাদটির মালিকানা নিয়ে ওই ফাউন্ডেশনের সঙ্গে বিরোধ বেধেছিল আল জাওয়ারাহ বিনতে ইব্রাহিম আবদুল আজিজ আল ইব্রাহিমের। সম্প্রতি, ব্রিটেনের এক আদালত প্রাসাদটির উপর অ্যাস্টুরিয়ন ফাউন্ডেশনের দাবি খারিজ করেছে। ফলে, উত্তর লন্ডনের এই প্রাসাদটির দখল ফের প্রয়াত সৌদি বাদশাহর বিধবা স্ত্রীর হাতেই ফিরে এল।

উত্তর লন্ডবের বিশপস অ্যাভিনিউ-কে বলা হয় ‘বিলিওনেয়ার্স রো’ বা ‘বিলিওনেয়ার্স স্ট্রিট’। কারণ খুব সহজ, এই রাস্তায় মোট ৬৬টি বাড়ি রয়েছে। অধিকাংশরই মালিক কোটিপতি শিল্পপতিরা। এই তালিকায় রয়েছে ইস্পাত শিল্পের অন্যতম বড় নাম লক্ষ্মী মিত্তল, ব্রুনেইয়ের সুলতান তথা মিডিয়া মোগুল রিচার্ড ডেসমন্ডের মতো ব্যক্তিরা। এবার এই তালিকায় নাম জুড়ল আল জাওয়ারাহ বিনতে ইব্রাহিম আবদুল আজিজ আল ইব্রাহিমেরও। মামলা চলাকালীন জানা গিয়েছিল, ‘কেনস্টেড হলে’র বর্তমান বাজার মূল্য, কয়েক কোটি পাউন্ড। ১ পাউন্ড মানে ভারতীয় মুদ্রায় ১০৬ টাকা। এর থেকেই বোঝা যায়, প্রাসাদটির মূল্য ঠিক কত।

জানা গিয়েছে, মৃত্যুর আগে তাঁর সম্পত্তির উত্তরাধিকার বিষয়ে তাঁর আইনি উপদেষ্টাকে কিছু নির্দেশ দিয়ে গিয়েছিলেন। ২০০১ সালেই কেনস্টেড হল-সহ বিদেশে থাকা তাঁর মোট চারটি সম্পত্তি তাঁর স্ত্রীর নামে হস্তান্তর করার নির্দেশ দিয়েছিলেন সৌদি বাদশা। কিন্তু, ২০০৫-এর অগস্টে তাঁর মৃত্যুর সময় পর্যন্ত সেই নির্দেশ কার্যকর করা হয়নি। বাদশার মৃত্যুর পর তাঁর সম্পত্তিগুলি ভাগ বাটোয়ারার জন্য একটি উত্তরাধিকারী পরিষদ তৈরি করা হয়েছিল। তারাই বাদশা ইচ্ছা অনুযায়ী, ২০০৬-এ সৌদি বাদশার জার্মান সম্পত্তি, ২০১১ সালে স্প্যানিশ সম্পত্তি এবং কেনস্টেড হল এবং ২০১২ সালে তাঁর ফরাসি সম্পত্তি হস্তান্তর করা হয় আল ইব্রাহিমকে। কিন্তু, অ্যাস্টুরিয়ন ফাউন্ডেশন এই হস্তান্তরকে চ্যালেঞ্জ করেছিল। শেষ পর্যন্ত প্রায় এক দশকের আইনি লড়াইয়ে শেষ বাজি মারলেন প্রয়াত সৌদি বাদশার বিধবা স্ত্রীই।