Ram Mandir: রাম নামেই নতুন দিশা, অযোধ্যায় ভক্তদের হাত দিয়েই প্রতি সেকেন্ডে খরচ হবে ১.২৬ লক্ষ কোটি
Ram Mandir: আধ্যাত্মিক পর্যটনের উত্থান ইতিমধ্যেই যোগী রাজ্যে পর্যটনের চেহারা পুরোপুরি বদলে দিয়েছে। রাম মন্দিরের কারণেই আশপাশের দর্শনীয় স্থানগুলিতেও পর্যটকদের যাতায়াত আরও বেড়ে গিয়েছে। ভিড় বেড়েছে বারাণসীতে।
অযোধ্যা: প্রাণ প্রতিষ্ঠার পর দিন থেকেই ভিড় উপচে পড়ছে অযোধ্য়ার রাম মন্দিরে (Ram Mandir)। ভিড় সামাল দিতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ। অযোধ্যায় যেভাবে ভক্তদের ভিড় দেখা যাচ্ছে তাতে অবাক গোটা বিশ্ব। দেশের বৃহত্তম ব্যাঙ্ক এসবিআইয়ের অনুমান, অযোধ্যায় ভক্তদের হাত দিয়েই প্রতি সেকেন্ডে খরচ হবে ১.২৬ লক্ষ কোটি টাকা। এসবিআই বলেছে, রাম মন্দিরের হাত ধরে উত্তর প্রদেশে পর্যটন শিল্প বৃদ্ধি পাবে। এমনকী চলতি বছরের শেষদিকে দেশি ও বিদেশি পর্যটকদের দ্বারা মোট খরচ ৪ লক্ষ কোটির গণ্ডি পেরিয়ে যেতে পারে। SBI Ecowrap-র অনুমান, পর্যটক সংখ্যার বিশাল বৃদ্ধির কারণে রাজ্য সরকার ২০ হাজার থেকে ২৫ হাজার কোটি টাকার বেশি আয় করতে পারে।
এসবিআই রিসার্চ রিপোর্ট অনুসারে, কেন্দ্রের প্রসাদ স্কিম রাজ্য সরকারের সঙ্গে সহযোগিতায় ভারতে আধ্যাত্মিক ভ্রমণ শিল্পের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে চলেছে। আধ্যাত্মিক পর্যটনের উত্থান ইতিমধ্যেই যোগী রাজ্যে পর্যটনের চেহারা পুরোপুরি বদলে দিয়েছে। রাম মন্দিরের কারণেই আশপাশের দর্শনীয় স্থানগুলিতেও পর্যটকদের যাতায়াত আরও বেড়ে গিয়েছে। ভিড় বেড়েছে বারাণসীতে। একই ছবি দেখা যাচ্ছে তাজমহলের ক্ষেত্রেও।
তথ্য বলছে, ২০২২ সালে ৩২ কোটি দেশীয় পর্যটক উত্তর প্রদেশে এসেছিলেন। যার মধ্যে ২.২১ কোটি পর্যটক অযোধ্যায় ছিলেন। সংখ্যার বিচারে যা ২০২১ সালের তুলনায় ২০০ শতাংশ বেশি। এসবিআই বলছে, এবারেই দেশীয় পর্যটকরা উত্তর প্রদেশে প্রায় ২.২ লক্ষ কোটি টাকা খরচ করেছেন। যেখানে বিদেশি পর্যটকদের খরচ হয়েছে ১০,০০০ কোটি টাকা। অঙ্কটা এই বছরের শেষ নাগাদ ৪ লক্ষ কোটির গণ্ডি ছাড়িয়ে যেতে পারে। মহামারীর আগে, আন্তর্জাতিক পর্যটনে ভারতের অংশীদারিত্ব ছিল মাত্র ২.০৬ শতাংশ। ভারত ছিল ১৪তম স্থানে। এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে, ভারত মাত্র ৭ শতাংশ শেয়ার নিয়ে ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে।