Adani Group: ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০ লাখ টন হাইড্রোজেনের টার্গেট আদানি গোষ্ঠীর

Goutam Adani: গৌতম আদানি আরও জানিয়েছেন, এই তিনটি গিগা ফ্যাক্টরির মাধ্যমে দেশে ৩০ লাখ মেট্রিক টন হাইড্রোজেন উৎপাদন তরা সম্ভব হবে।

Adani Group: ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০ লাখ টন হাইড্রোজেনের টার্গেট আদানি গোষ্ঠীর
ছবি: ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 07, 2022 | 11:32 PM

নয়া দিল্লি: ভারতে তৈরি হতে চলেছে তিনটি গিগা ফ্যাক্টরি। ভারত-মার্কিন বিজ়নেস কাউন্সিলের গ্লোবাল লিডারশিপ পুরস্কার গ্রহণের সময়ে আদানি গোষ্ঠীর কর্ণধার গৌতম আদানি এই তিন গিগা ফ্যাক্টরি তৈরির পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছেন। এই তিনটি গিগা ফ্যাক্টরি আগামী দিনে দেশে ‘গ্রিন-এনার্জি ভ্য়ালু চেন’ তৈরি করবে বলে জানিয়েছেন তিনি। পলিসিলিকন, সোলার মডিউলস, হাওয়া কল (উইন্ড টারবাইন) এবং হাইড্রোজেন ইলেক্ট্রোলাইজ়ার প্রযুক্তির উপর কাজ করবে এই গিগা ফ্যাক্টরিগুলি। গৌতম আদানি আরও জানিয়েছেন, এই তিনটি গিগা ফ্যাক্টরির মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে দেশে ৩০ লাখ মেট্রিক টন হাইড্রোজেন উৎপাদন তরা সম্ভব হবে। বর্তমানে যে ২০ গিগাওয়াট অচিরাচরিত শক্তি উৎপাদিত হয়, তার সঙ্গে আরও ৪৫ গিগাওয়াট অচিরাচরিত শক্তিও এই তিন গিগা ফ্যাক্টরির মাধ্যমে পাওয়া যাবে বলে জানান তিনি।

গৌতম আদানি বলেন, “এই ভ্যালু চেনটি সম্পূর্ণরূপে দেশের কথা ভেবে তৈরি হবে আমাদের দেশের ভূ-রাজনৈতিক চাহিদার সাথে সামঞ্জস্য থাকবে। আমি বিশ্বাস করি যে মার্কিন কোম্পানিগুলি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে ইচ্ছুক, তাদের সাহায্য নিয়ে আমরা আমাদের লক্ষ্যের দিকে আরও দ্রুত এগোতে পারি। এর ফলে আমরা উভয় দেশই উপকৃত হব।” বিশিষ্ট শিল্পপতি আরও জানিয়েছেন, আদানি গোষ্ঠী সম্প্রতি জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত সমস্যার সমাধানের জন্য ৭০ বিলিয়ন ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় ৫৫ হাজার ৮০৩ কোটি ২৬ লাখ টাকা) ব্যয়ের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি বলেন, “মার্কিন জলবায়ু বিলটি আইনে পরিণত হওয়ার পর, আমাদের উভয় দেশকেই এর থেকে উপকৃত হওয়ার জন্য একটি পথ খুঁজে বের করতে হবে। সরকার তাদের কাজ করেছে। এখন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলির কাজ হল, পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে একটি পথ খুঁজে বের করা।”

এর পাশাপাশি দেশের সেমিকন্ডাক্টর শিল্পের কথাও তুলে ধরেন আদানি কর্ণধার। তাঁর মতে, বিশ্বে যত ইঞ্জিনিয়ার রয়েছেন, তাঁর সবথেকে বড় অংশ ভারতের, যাঁরা বিশেষ করে বিভিন্ন মার্কিন সংস্থাগুলিতে কর্মরত। এক্ষেত্রে তাঁদের কাজ বেশিরভাগটাই হয় ভারতের বাইরে। প্রযুক্তির আদান-প্রদানের দিক থেকে ভারত – মার্কিন পারস্পরিক সহযোগিতার কথা উল্লেখ করার পাশাপাশি ভারতকে আন্তর্জাতিক বাজারের উপর নির্ভরশীলতা কমানোর উপরেও জোর দেন তিনি।