Defense of India: অর্থ খাতের পর প্রতিরক্ষা খাতেও শীর্ষে ওঠার দৌড় ভারতের, ১৩৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার নিয়ে বড় পরিকল্পনা
Defense of India: ফাইটার এয়ারক্রাফট এবং হেলিকপ্টার সহ উন্নত প্রযুক্তির নানা সমরাস্ত্রের হাত ধরে আবার হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্সের (এইচএএল) শেয়ার ২৮ শতাংশের কাছাকাছি বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করা হচ্ছে। গত এক বছরে এইচএএল-এর শেয়ার ১৫৬ শতাংশ বেড়ে ৩৮৭৭ টাকা হয়েছে।
নয়া দিল্লি: বিশ্বের তাবড় তাবড় দেশকে পিছনে ফেলে এগিয়ে চলেছে ভারতের অর্থনীতি। ভারত বর্তমানে প্রতিটি সেক্টরে একেবারে শীর্ষস্থানে পৌঁছানোর লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে চলেছে। আইটি সেক্টর থেকে এফএমসিজি, সব ক্ষেত্রেই তড়তড়িয়ে এগিয়ে চলেছে ভারত। হচ্ছে রেকর্ড মাত্রার জিএসটি আদায়। পিছিয়ে নেই ভারতের ভারতের প্রতিরক্ষা সেক্টরও। ভারত সরকারের প্রতিরক্ষা বাজেট বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম প্রতিরক্ষা বাজেট। ‘ইন্ডিয়া ডিফেন্স’ নামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুসারে, প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম, উন্নত প্রযুক্তি এবং নানাবিধ পরিষেবার ক্রমবর্ধমান চাহিদার মধ্যে ভারত আগামী ৬ থেকে ৮ বছরের মধ্যে প্রতিরক্ষা খাতে ১৩৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের অর্ডার দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, বিমান, হেলিকপ্টার, মনুষবিহীন এরিয়াল ভেহিকল (ইউএভি), এভিওনিক্স এবং সম্পর্কিত সিস্টেমে বড় বিনিয়োগ আসতে চলেছে। ২০৩০ সালের মধ্যে প্রতিরক্ষা খাতের বাজেট ৩৭ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে। নৌবাহিনীর শক্তি বাড়াতেও একাধিক পরিকল্পনা রয়েছে। নৌবাহিনীর জাহাজ, সাবমেরিন, টহলদারি নৌকা এবং সামুদ্রিক নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য প্রায় এর জন্য প্রায় ৩৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্যাকেজ প্রয়োজন। অন্যদিকে ভারতের কামান থেকে ক্ষেপণাস্ত্রের ভাণ্ডারও আর বাড়তে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। ক্ষেপণাস্ত্র/আর্টিলারি/বন্দুকের জন্য বিনিয়োগ প্রায় ২১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছাবে বলে মনে করা হচ্ছে। সোজা কথায় দুই ক্ষেত্র মিলিয়ে অঙ্কটা প্রায় ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের কাছাকাছি।
ওই রিপোর্টেই প্রতিরক্ষা রফতানিতে মোট ২৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধির কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। নতুন গতির এই ধারা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। এদিকে ফাইটার এয়ারক্রাফট এবং হেলিকপ্টার সহ উন্নত প্রযুক্তির নানা সমরাস্ত্রের হাত ধরে আবার হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্সের (এইচএএল) শেয়ার ২৮ শতাংশের কাছাকাছি বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করা হচ্ছে। গত এক বছরে এইচএএল-এর শেয়ার ১৫৬ শতাংশ বেড়ে ৩৮৭৭ টাকা হয়েছে। অন্যদিকে ভারত ইলেকট্রনিক্সের শেয়ার এক বছরে ১০৯ শতাংশ বেড়ে ২২৭ টাকা হয়েছে। ওয়াকিবহাল মহলের একটা বড় অংশের ধারনা আগামীতে এটা আরও বাড়তে পারে।