Demise of Agriculture Economist Abhijit Sen : দেশের কৃষি উন্নয়নে ‘উজ্জ্বল জ্যোতিষ্কের’ পতন! প্রয়াত বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ সেন
Agriculture Economist Abhijit Sen Obituary : সোমবার রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন দেশের বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ সেন। কৃষি অর্থনীতিবিদ হিসেবে অনেক সুনাম কুড়িয়েছিলেন তিনি।
৭২ বছর বয়সেই থেমে গেল জীবন। সোমবার রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন প্রখ্যাত কৃষি অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ সেন। গতকাল রাত ১১ টা নাগাদ হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু ততক্ষণে আর কিছু করার ছিল না বলে জানিয়েছেন তাঁর ভাই প্রণব সেন।
কৃষি অর্থনীতিবিদ হিসেবে সুনাম কুড়িয়েছিলেন অভিজিৎ সেন। ইউপিএ সরকারের জমানায় পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ছিলেন তিনি। এনডিএ সরকারেরও তাঁর অবদান ছিল। অটল বিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বাধীন প্রথম এনডিএ সরকারের জমানায় কৃষি ব্যয় ও মূল্য কমিশনের (Agricultural Costs & Prices) চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। ২০০০ সালের জুলাই মাসে জমা দেওয়া দীর্ঘমেয়াদী শস্য নীতি সংক্রান্ত উচ্চ স্তরের কমিটির রিপোর্ট বানিয়েছিলেন অভিজিৎ সেন। সিএসিপি-র এই রিপোর্টে সিএসিপিকে একটি ক্ষমতাপ্রাপ্ত সংবিধিবদ্ধ সংস্থা করার পরামর্শ দেওয়া হয়। পাশাপাশি উৎপাদনের ‘C2’ খরচের উপর নির্ভর করে ন্যূনতম সমর্থন মূল্য়ের নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়। এই রিপোর্টে উল্লিখিত সুপারিশ মোতাবেক ‘স্বামীনাথন সূত্র’ এর পথ প্রশস্ত করেছে।
এম এস স্বামীনাথনের নেতৃত্বাধীন কৃষকদের জাতীয় কমিশন ২০০৬ সালের এপ্রিল মাসে চূড়ান্ত রিপোর্ট দিয়েছে। সেই কমিশন সুপারিশ করেছে ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য ‘C2’ খরচের চেয়ে কমপক্ষে ৫০ শতাংশ বেশি হবে। এদিকে অভিজিৎ সেনের কমিটি অবশ্য প্রস্তাব করেছিল শুধুমাত্র উৎপাদকারী অঞ্চলের ‘C2’ খরচই বিবেচনা করা হবে। এই কমিটি একটি সর্বজনীন জনবন্টন ব্যবস্থার পক্ষপাতী ছিল। যেখানে এই কমিটি কেন্দ্রের তরফে চাল ও গমের জন্য অভিন্ন কেন্দ্রীয় ইস্যু মূল্যের পক্ষেও বলে। এর পাশাপাশি ‘দারিদ্রসীমার নীচে’ ও ‘দারিদ্র্যসীমার উপরে’ বিভাগগুলি সরিয়ে দেওয়ার কথাও বলা হয়। এই সুপারিশগুলি ইউপিএ সরকারের জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা আইন, ২০১৩ এ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর অধীনেই বর্তমানে দেশের জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশেরও বেশি জনগণকে কেজি প্রতি ২ টাকা ও ৩ টাকা দামে গম ও চাল সরবরাহ করা হয়।
নীতি নির্ধারণ ছাড়াও অভিজিৎ সেনের শিক্ষাগত দিকও খুব উজ্জ্বল ছিল। ১৯৮১ সালের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে পিএইচডি করেন তিনি। তাঁর থিসিসের বিষয় ছিল ‘অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য কৃষি প্রতিবন্ধকতা : ভারতের ক্ষেত্রে’। ১৯৮৫ সালে জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএনইউ) অর্থনীতি ও পরিকল্পনা কেন্দ্রে যোগ দেন।