Onion price: পেঁয়াজের দামে লাগাম টানতে বড় পদক্ষেপ, হোলিতেই যেন বড় ‘উপহার’ সরকারের
Onion price: ২০২৩ সালের ৮ ডিসেম্বর দেশে পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল সরকার। যদিও সরকারের এই সিদ্ধান্তে বিক্ষোভ মাথাচাড়া দিয়েছিল মহারাষ্ট্র-সহ অন্যান্য পেঁয়াজ উৎপাদনকারী রাজ্যে। যদিও তারপরেও সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেনি সরকার।
নয়া দিল্লি: কখনও বাড়ছে কখনও কমছে। তবে যখন বাড়ছে তখন আবার দামের ঝাঁঝে একেবারে চোখে জল এসে যাচ্ছে আম-আদমির। সোজা কথায়, পেঁয়াজের দাম নিয়ে মাথা ব্যথার অন্ত নেই। এবার দেশে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনা তৈরি করে ফেলেছে সরকার। দোলের আগে দামের গ্রাফে লাগাম টানতেই করা হচ্ছে নতুন পদক্ষেপ। সরকারের সিদ্ধান্ত, দেশের পেঁয়াজ দেশেই থাকবে। অর্থাৎ সারা বছর দেশের অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের ঘাটতি ঠেকাতেই এই উদ্যোগ। একইসঙ্গে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার পেঁয়াজের রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞাও জারি থাকছে। ৩১ মার্চের পরেও এই নিষেধাজ্ঞা চলবে। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত এই নির্দেশ জারি থাকবে।
ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ ফরেন ট্রেড (ডিজিএফটি) এর তরফে এ বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। ডিজিএফটি মূলত বৈদেশিক বাণিজ্যের বিষয়গুলি দেখভাল করে থাকে। ২২ মার্চ তাদের তরফে ওই বিজ্ঞপ্তিটি দেওয়া হয়েছে। তাতেই পেঁয়াজ রফতানির ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা যে বাড়ছে তা স্পষ্ট ভাষায় বলা হয়েছে। এই ডিজিএফটি আদপে বাণিজ্য মন্ত্রকের অধীনে কাজ করে থাকে। দেশে আমদানি ও রফতানি সংক্রান্ত সমস্ত বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে।
২০২৩ সালের ৮ ডিসেম্বর দেশে পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল সরকার। যদিও সরকারের এই সিদ্ধান্তে বিক্ষোভ মাথাচাড়া দিয়েছিল মহারাষ্ট্র-সহ অন্যান্য পেঁয়াজ উৎপাদনকারী রাজ্যে। যদিও তারপরেও সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেনি সরকার। রফতানির উপর নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখার সিদ্ধান্ত জারি রেখেছে। রবি মরসুমে পেঁয়াজ উৎপাদন মোটের উপর ২.২৭ কোটি টন। বিশেষ ক্ষেত্রে শুধুমাত্র অনুমতি সাপেক্ষে বন্ধু দেশগুলিতে পেঁয়াজ পাঠানো যেতে পারে বলে জানাচ্ছে সরকার। ন্যাশনাল কো-অপারেটিভ এক্সপোর্ট লিমিটেডের (এনসিইএল) মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) এবং বাংলাদেশে ৬৪,৪০০ টন পেঁয়াজ রফতানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। তবে দিনের শেষে দেশের মানুষের কথা ভেবে ভারী মাত্রায় রফতানি যে করা যাবে না তা বারবার বলা হচ্ছে।