পড়ুয়াদের ফোন নম্বর কেনা, অভিভাবকদের ব্ল্যাকমেইল! বিস্ফোরক অভিযোগ Byju’s-র বিরুদ্ধে
Allegation against Byju's: করোনাকালের আগে থেকেই ভারতে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল বাইজুস প্ল্যাটফর্ম। অনলাইনে বিভিন্ন কোর্স পড়ানো হত। কিন্তু বিগত কয়েক মাস ধরেই চরম আর্থিক সঙ্কটের মুখে পড়েছে সংস্থা।
নয়া দিল্লি: বিস্ফোরক অভিযোগ এডুটেক সংস্থা বাইজুস (Byju’s) সংস্থার বিরুদ্ধে। সংস্থার বিরুদ্ধে উঠল তথ্য কেনাবেচার অভিযোগ। পরিস্থিতি এতটাই জটিল হয়ে উঠেছে যে সরকারকে এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার অনুরোধ জানানো হয়েছে। ন্যাশনাল কমিশন ফর প্রোটেকশন অব চাইল্ড রাইটসের (National Commission For Protection of Child Rights) তরফে জানানো হয়েছে, বাইজুস ফাস্ট জেনারেশন লার্নার অর্থাৎ যাদের পরিবারের প্রথম প্রজন্ম শিক্ষিত হচ্ছে, তাদের অভিভাবকদের জোর করা হচ্ছে বিভিন্ন কোর্স কিনতে। একইভাবে গ্রাহক বা অ্যাপ ব্যবহারকারীদের মোবাইল নম্বরও কিনে নিচ্ছে। প়ডুয়াদের জোর করে কোর্স বিক্রি ও পড়ুয়াদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ।
সংবাদসংস্থা এএনআই-কে এনসিপিসিআর-র চেয়ারপার্সন প্রিয়াঙ্ক কানুনগো বলেন, বাইজুস অ্য়াপ ব্যবহারকারী পড়ুয়া ও তাদের অভিভাবকের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। শীঘ্রই সরকারকে এই বিষয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে। কমিশনের তরফে বাইজুসের সিইও বাইজু রবীন্দ্রনকেও সমন পাঠানো হয়েছে। আগামী ২৩ ডিসেম্বর তাঁকে কমিশনে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে।
এনসিপিসিআর-র চেয়ারপার্সন প্রিয়াঙ্ক কানুনগো বলেন, “আমরা সম্প্রতিই জানতে পারি বাইজুস শিশুদের ও তাঁর অভিভাবকদের ফোন নম্বর কিনে নিচ্ছে। এরপর তাদের নিয়মিত ফোন করে বিরক্ত করা হচ্ছে। শিশুদের ভবিষ্য়ত নষ্ট হয়ে যাবে, এমন হুমকিও দেওয়া হচ্ছে। বাইজুস মূলত প্রথম প্রজন্মের পড়ুয়াদেরই নিশানা বানাচ্ছে। আমরা এর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছি এবং শীঘ্রই কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে রিপোর্ট জমা দেব।”
এদিকে, বাইজুস সংস্থার তরফে ন্যাশনাল কমিশন ফর প্রোটেকশন অব চাইল্ড রাইটসের অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। সংস্থার তরফে বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, “পড়ুয়াদের ডেটাবেস কিনে নেওয়ার যে অভিযোগ উঠছে, তা সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করা হচ্ছে। আমরা স্পষ্টভাবে জানাতে চাই, আমরা কোনও ডেটাবেস কিনিনি।”
উল্লেখ্য, করোনাকালের আগে থেকেই ভারতে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল বাইজুস প্ল্যাটফর্ম। অনলাইনে বিভিন্ন কোর্স পড়ানো হত। কিন্তু বিগত কয়েক মাস ধরেই চরম আর্থিক সঙ্কটের মুখে পড়েছে সংস্থা। সম্প্রতি ৫ শতাংশ কর্মীও ছাঁটাই করা হয়। এরপরই সংস্থার বিরুদ্ধে উঠল তথ্য কেনাবেচার অভিযোগ।