সরকারি কর্মীরা কি শেয়ার বাজারে লগ্নি করতে পারেন? তাদের বিনিয়োগের নিয়ম কী, জেনে নিন
Rule for Govt employees to invest: সেন্ট্রাল সিভিল সার্ভিসেস (কন্ডাক্ট) রুলস, ১৯৬৪-এর ৩৫ (১) ধারা অনুযায়ী কোনওসরকারী কর্মী স্টক মার্কেট ট্রেডিং বা অন্য কোনও ধরনের আর্থিক ঝুঁকির ব্যবসায় লগ্নি করতে পারেন না। তবে, স্টক ব্রোকার, নিবন্ধিত সংস্থা, লাইসেন্স বা সার্টিফিকেটধারী ব্যক্তি বা এজেন্সির মাধ্যমে সরকারি কর্মীরা শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করতে পারেন।
নয়া দিল্লি: ২০১৯ সালে কেন্দ্র, সরকারি কর্মচারীদের স্টক মার্কেট এবং মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের সীমা বাড়িয়েছে। মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের আদেশ অনুসারে, এখন কর্মীরা তাঁদের ছয় মাসের মূল বেতনের সমান লগ্নি করতে পারেন। সেন্ট্রাল সিভিল সার্ভিসেস (কন্ডাক্ট) রুলস, ১৯৬৪-এর ৩৫ (১) ধারা অনুযায়ী কোনওসরকারী কর্মী স্টক মার্কেট ট্রেডিং বা অন্য কোনও ধরনের আর্থিক ঝুঁকির ব্যবসায় লগ্নি করতে পারেন না। তবে, স্টক ব্রোকার, নিবন্ধিত সংস্থা, লাইসেন্স বা সার্টিফিকেটধারী ব্যক্তি বা এজেন্সির মাধ্যমে সরকারি কর্মীরা শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করতে পারেন। অর্থাৎ সরকারি কর্মীরা শেয়ারবাজারে শুধুমাত্র বিনিয়োগ করতে পারবেন, ব্যবসা করতে পারবেন না।
সাম্প্রতিক এক বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, কোনও সরকারি কর্মী তাঁর মূল বেতনের ৬ গুণের বেশি শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করলে তাঁকে সেই বিষয়ে তাঁর বিভাগকে জানাতে হবে। ৩৫ (১) নিয়ম অনুযায়ী, আপনি যদি একজন সরকারী কর্মচারী হন, তাহলে আপনি বারবার শেয়ার কেনাবেচা করতে পারবেন না। কারণ তা ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগ বলে বিবেচনা করা হবে।
সরকারী কর্মচারীদের জন্য বিনিয়োগের বিকল্প কি?
এই অবস্থায় ব্যক্তিগত আর্থিক লক্ষ্যের উপর ভিত্তি করে সরকারি কর্মচারীরা নিম্নলিখিত বিনিয়োগ বিকল্পগুলিতে বিনিয়োগ করতে পারেন।
১. মিউচুয়াল ফান্ড
২. পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড (PPF)
৩. জাতীয় পেনশন স্কিম
৪. শেয়ারে দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ
৫. ব্যাঙ্ক আমানত