World Richest Nation: করোনাই কি বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেশ বানাল চিনকে? হার মানল আমেরিকা
China, USA, world economy, পরামর্শদাতা সংস্থা ম্যাককিনসে অ্যান্ড কোং (McKinsey & Co) এর সাম্প্রতিক রিপোর্টে এমনটাই জানা গিয়েছে। তাদের প্রকাশিত ব্যালেন্স শিটে দেখা গিয়েছে মোট আন্তর্জাতিক আয়ের ৬০ শতাংশ চিনের।
বেজিং: ২০১৯ সালে শেষের দিকে করোনার প্রথম আবির্ভাব হয়েছিল চিনের উহানে। তারপর ক্রমে সেখানে থেকেই সমগ্র বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে এই মারণ ভাইরাস। ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া সঙ্গে সঙ্গেই বাকি সব দেশের মত চিনও দেখছিল কঠোর থেকে কঠোরতম লকডাউন। ধাক্কা লেগেছিল অর্থনীতিতে। যখন এখনও অনেক দেশ মন্দার সঙ্গে লড়াই করে চলেছে, তখন সেই ধাক্কা কাটিয়ে উঠে অভূকপূর্ব উত্থান চিনের। শেষ দুই দশকে তিনগুণ বেড়েছে আন্তর্জাতিক সম্পদ! আমেরিকাকে (America) পিছনে ফেলে প্রথম স্থান নিশ্চিত করল চিন। পরামর্শদাতা সংস্থা ম্যাককিনসে অ্যান্ড কোং (McKinsey & Co) এর সাম্প্রতিক রিপোর্টে এমনটাই জানা গিয়েছে। তাদের প্রকাশিত ব্যালেন্স শিটে দেখা গিয়েছে মোট আন্তর্জাতিক আয়ের ৬০ শতাংশ চিনের। ম্যাককিনসে গ্লোবল ইন্সটিউটের (McKinsey global Institute) অন্যতম অংশীদার জ্যান মিসকে এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, “এই মূহুর্তে অতীতের সব রেকর্ড ছাপিয়ে সব থেকে বেশি সম্পদের অধিকারী।”
সম্পদের মোট পরিমাণ বেড়েছে ১০ শতাংশ
রিপোর্টে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রদেশে সম্পত্তির দাম নিঃশব্দে বেড়ে যাওয়ার কারণে এই তালিকায় তাঁরা পিছিয়ে পড়ছে। উভয় দেশই পৃথিবীর বৃহত্তম অর্থনীতি। দেশগুলিতে মোট সম্পদের দুই তৃতীয়াংশ পরিমাণের ১০ শতাংশ দেশের ধনী পরিবার গুলির হাতে রয়েছে। এবং ক্রমশই সেই সম্পদের পরিমাণ বাড়ছে। ওই সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশ্বের মোট সম্পদের ৬৮ শতাংশ রিয়েল এস্টেটের আকারে রয়েছে। আর্থিক সম্পদ গুলি এই মোট সম্পদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত নয়।
ক্ষতিকর দিক
ম্যাককিনসের মতে, বিগত দুই দশকে মোট সম্পদের পরিমাণের বৃ্দ্ধি মোট উৎপাদনের পরিমাণকে ছাপিয়ে গিয়েছে। এবং সুদের হার ক্রমে কমে যাওয়ার কারণে সম্পত্তির দাম তুলনামূলকভাবে বৃ্দ্ধি পেয়েছে। রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, আয়ের তুলনায় সম্পদের মোট মূল্য ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং দীর্ঘমেয়াদি ক্ষেত্রেও এই দাম বৃ্দ্ধিতে কোনও বদল হয়নি। যদিও মুদ্রাস্ফীতির মধ্যে এই মূল্য বৃ্দ্ধি নিয়ে যথেষ্ট প্রশ্ন রয়েছে।
রিয়েল এস্টেটে মূল্যবৃ্দ্ধির ফলে অনেকেই স্থাবর সম্পত্তি কেনার দিক থেকে পিছিয়ে আসতে পারেন, একফলে কোনও স্থাবর সম্পত্তির মালিকানা থেকে তারা বঞ্চিত থাকবেন। এরফলে আর্থিক সঙ্কটের ঝুঁকি বাড়তে পারে। ২০০৮ সালে আমেরিকাতে হঠাৎ করে রিয়েল এস্টেট শিল্পে মন্দা দেখা দিয়েছিল। মনে করে হচ্ছে সম্পদের পরিমাণ বৃদ্ধি পেলেও চিনও একই ধরনের সমস্যা পড়তে পারে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, সমস্যা সমাধানের কারণে ভেবে চিন্তে বিনিয়োগ করা প্রয়োজন এবং এর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে জিডিপি বৃ্দ্ধি করার দিকে নজর দিতে হবে।
আরও পড়ুন Kim Jong Un in Public: একমাসেরও বেশি সময় পর প্রকাশ্যে কিম, ঘুরে দেখলেন ‘মডেল সিটি’