Eid al-Adha: খরচ ১২ লাখ টাকা, মুসলিম সেজে ইদের দিন ১২৪টি ছাগলকে মুক্তি দিলেন বিবেক

Eid al-Adha: দিল্লির এক ২৯ বছর বয়সী চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট এবং তাঁর বন্ধুরাও ওইদিন দিল্লিতে ছাগল কিনতে বেরিয়েছিলেন। পুরোনো দিল্লির বিভিন্ন বাজারে ঘুরে তাঁরা ১২ লক্ষ টাকা খরচ করে ১২৪টি ছাগল কিনেছিলেন। তবে, বলি দেওয়ার জন্য নয়। বরং, ছাগলগুলিকে যাতে কেউ বলি দিতে না পারে, তাদের প্রাণ বাঁচাতেই ছাগলগুলিকে কিনেছিলেন তাঁরা।

Eid al-Adha: খরচ ১২ লাখ টাকা, মুসলিম সেজে ইদের দিন ১২৪টি ছাগলকে মুক্তি দিলেন বিবেক
বিবেকের বাড়িতে ১২৪টি ছাগলImage Credit source: Twitter
Follow Us:
| Updated on: Jun 19, 2024 | 8:02 PM

নয়া দিল্লি: গত সোমবার (১৭ জুন) ছিল ইদ উল আজহা বা কুরবানির ইদ। কুরবানির ইদে মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা ছাগল বা গবাদি পশু বলি দিয়ে থাকে। দিল্লির এক ২৯ বছর বয়সী চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট এবং তাঁর বন্ধুরাও ওইদিন দিল্লিতে ছাগল কিনতে বেরিয়েছিলেন। পুরোনো দিল্লির বিভিন্ন বাজারে ঘুরে তাঁরা ১২ লক্ষ টাকা খরচ করে ১২৪টি ছাগল কিনেছিলেন। তবে, বলি দেওয়ার জন্য নয়। বরং, ছাগলগুলিকে যাতে কেউ বলি দিতে না পারে, তাদের প্রাণ বাঁচাতেই ছাগলগুলিকে কিনেছিলেন তাঁরা। এখন উদ্ধার করা ছাগলগুলিকে উত্তর প্রদেশের বাঘপতের এক বকরাশালায় (ছাগল রাখার জায়গা) পাঠানো হবে।

এই উদ্যোগের মূল হোতা বিবেক জৈন। দিল্লির এই চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট জৈন ধর্মাবলম্বী। জৈন ধর্মের মূল বক্তব্যই হল, ‘নিজে বাঁচো এবং অপরকে বাঁচতে দাও’। এই দর্শনকে সামনে রেখেই বিবেক ঠিক করেছিলেন, ইদের দিন, নিজের সামর্থে যতগুলি সম্ভব ছাগলকে রক্ষা করবেন। তাঁর কাছে জমা যা টাকা-পয়সা ছিল, তাতে খুব বেশি হলে ৬-৭টি ছাগলকে বাঁচাতে পারতন তিনি। কিন্তু, বিবেকের পরিকল্পনা শুনে তাঁর বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজনও তাঁর এই উদ্যোগে সামিল হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। তাঁরা অর্থ সহায়তাও করতে চান। এরপর হোয়াটসঅ্য়াপের মাধ্যমে এবং মুখে মুখে তাঁদের এই পরিকল্পনার কথা আরও ছড়িয়ে পড়ে। অল্প সময়ের মধ্যেই বিবেক এবং তাঁর বন্ধুদের হাতে ১৭ লক্ষ টাকা এসে গিয়েছিল।

তহবিলের চিন্তা না থাকলেও, ইদের দিন অন্য চিন্তায় কপালে ভাঁজ পড়েছিল বিবেকদের। কীভাবে উদ্ধার করা হবে ছাগলগুলিকে। ইদের দিন, কুরবানির জন্য ছাগল কিনতে বের হন মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা। তাঁদের ধর্মীয় আবেগে যাতে কোনোভাবে আঘাত না লাগে, সেই বিষয়ে সতর্ক ছিলেন তাঁরা। তাঁরা মোট ৬টি দল তৈরি করেছিলেন। প্রতি দলে জৈন সম্প্রদায়ের দুজন করে ছিলেন। সকলে সাদা পায়জামা-পাঞ্জাবি পরে জামা মসজিদ, মতিয়া মহল, দরিয়াগঞ্জ এবং মিনা বাজার এলাকার সমস্ত বাজারে ঢুঁ মারতে শুরু করেছিলেন। প্রচুর দরাদরি করে বাজারগুলি থেকে মোট ১২৪টি ছাগল কিনে নেন তাঁরা। গড়ে একেকটি ছাগল কিনতে খরচ হয়েছে ১০,০০০ টাকা করে।

ছাগলগুলিকে প্রাথমিকভাবে চাঁদনি চকের কাছে ধর্মপুরের নয়া জৈন মন্দির ধর্মশালায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাদের খাবার ও জল দেওয়া হয়। বিবেক ও তাঁর বন্ধুরা মন্ত্রপাঠ করে ছাগলগুলিকে শান্ত করার চেষ্টা করেন। খবর পেয়ে, ভিড় জমান চাঁদনিচক এলাকার জৈন সম্প্রদায়ের আরও অনেকে। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ ছাগলগুলির দেখভালের জন্য সাহায্য়ও করেন। এই অর্থ এবং আগের তহবিলে বাকি থাকা অর্থ, দেওয়া হবে বাঘপতের বকরাশালাটিতে।