AC: এখনও দেখা নেই স্বস্তির বৃষ্টির, এসির চাহিদা তুঙ্গে দোকানে দোকানে, মোট বিক্রি কত জানেন?
AC: প্রতি বছর সাধারণত ১৫ জুনের মধ্যে উত্তর ভারতে পৌঁছায় বর্ষা। বর্ষার বৃষ্টিতে কিছুটা স্বস্তি মেলে তীব্র গরমের হাত থেকে। ইতিমধ্যেই কেরলে বর্ষা পা রাখলেও হাওয়া অফিস বলছে উত্তর ভারতে বর্ষা পৌঁছাতে কিছুটা বিলম্ব হতে পারে। তাই এখনই নিস্তার নেই গরমের হাত থেকে।
কলকাতা: কোথাও ৪৮ ডিগ্রি, তো কোথাও ৪৬ ডিগ্রি, রাজস্থান-দিল্লির পাশাপাশি চলতি মরসুমে গরমের দাপটে নিত্যনতুন রেকর্ড করেছে বাংলা। কালঘাম ছুটছে আম-আদমির। কোথাও কোথাও আবার তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের চৌকাঠে পৌঁছানোর উপক্রম। নিস্তার পেতে একমাত্র হাতিয়ার এয়ার কন্ডিশনার। তা কিনতেই বিগত কয়েক মাস ধরে মফঃস্বল থেকে শহর, সব স্টোরেই দেখা যাচ্ছে দেদার ভিড়। কোথাও শেষ হয়ে যাচ্ছে স্টক, কোথাও আবার হাতে এসি পেলেও কাজের চাপে তা ইন্সস্টল করতে লেগে যাচ্ছে দীর্ঘ সময়। কিন্তু, এবার গরমে দেশে মোট কত এসি বিক্রি হচ্ছে জানেন? শুনলে চোখ কপালে উঠে যেতে পারে অনেকেরই।
দেশের কনজিউমার ইলেকট্রনিক্স এবং হোম অ্যাপ্লায়েন্সেস প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলির যৌথ মঞ্চ ‘সিইএএমএ’-কে উদ্ধৃত করে একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে প্রচণ্ড গরমের কারণে এ বছর দেশে ১.৪ কোটি এসি বিক্রি হতে পারে। মে মাসেই এয়ার কন্ডিশনার বিক্রিতে বার্ষিক ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ বৃদ্ধি দেখা গিয়েছে। যেখানে এপ্রিল থেকে মে মাসের মধ্যে এসির বিক্রি বেড়েছে একশো শতাংশের বেশি।
এদিকে প্রতি বছর সাধারণত ১৫ জুনের মধ্যে উত্তর ভারতে পৌঁছায় বর্ষা। বর্ষার বৃষ্টিতে কিছুটা স্বস্তি মেলে তীব্র গরমের হাত থেকে। ইতিমধ্যেই কেরলে বর্ষা পা রাখলেও হাওয়া অফিস বলছে উত্তর ভারতে বর্ষা পৌঁছাতে কিছুটা বিলম্ব হতে পারে। পাকাপাকিভাবে বর্ষার বৃষ্টি শুরু হতে জুনের শেষ পর্যন্ত গড়িয়ে যেতে পারে সময়। তাই অস্বস্তিকর গরমের হাত থেকে এখনই যে রেহাই মিলবে না তা বলাই বাহুল্য। সে কারণে জুনেও গোটা মাসে দেশে এসি-র চাহিদা ভালই থাকবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।