Donald Trump On Bangladesh: বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বড় ধাক্কা, ইউনূসকে ভাতে মারল আমেরিকা!
US Reciprocal Tariffs: বাংলাদেশের উপর ৩৭ শতাংশ পারস্পরিক কর বসিয়েছে আমেরিকা। ট্রাম্পের এই ঘোষণায় বিরাট চাপে বাংলাদেশের অর্থনীতি। ভেঙে যাবে বাংলাদেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড?

গত ২ এপ্রিল পারস্পরিক শুল্ক ঘোষণা করছে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চিন, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, জাপান, ভারত সহ একাধিক দেশ এই শুল্কের তালিকায় পড়েছে। তবে এর মধ্যে আমাদের দেশ ভারত থেকে রফতানিকৃত ওষুধের উপর কোনও কর বসাননি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট।
জিডিপির তালিকায় উপরের দিকের দেশগুলোকে নিয়ে আলোচনার মাঝে এবার চাপে পড়েছে আমাদের প্রতিবেশী বাংলাদেশও। ট্রাম্পের ওই শুল্কের তালিকায় দেখা গিয়েছে আমেরিকা বাংলাদেশের উপর ৩৭ শতাংশ পারস্পরিক কর বসিয়েছে।
হোয়াইট হাউসের তরফে প্রকাশ করা শুল্কের তালিকা থেকে জানা গিয়েছে আমেরিকান পণ্যের উপর বাংলাদেশ ৭৪ শতাংশ কর নেয়। আর সেই কারণেই আমেরিকাও বাংলাদেশি আমদানির উপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করছে। যা হোয়াইট হাউস প্রকাশিত পারস্পরিক করের তালিকায় তৃতীয় সর্বোচ্চ। কম্বোডিয়ার উপর ৪৯ শতাংশ ও শ্রীলঙ্কার উপর ৪৪ শতাংশের পরই রয়েছে বাংলাদেশের উপর আরোপিত কর।
ট্রাম্পের এই ঘোষণায় বিরাট চাপে বাংলাদেশের অর্থনীতি। কারণ, সে দেশের অর্থনীতির অনেকটাই নির্ভর করে বস্ত্রবয়ন শিল্পে উৎপাদিত পণ্য বিদেশে রফতানি করে। আর আমেরিকার সে দিক থেকে দেখলে বাংলাদেশের অন্যতম বড় বাজার। তা ছাড়াও আমেরিকান পোশাক সংস্থাগুলোও বাংলাদেশের কারখানায় তাদের পণ্য তৈরি করায়। ফলে দেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড ভাঙার আশঙ্কায় ট্রাম্পের এই কর নিয়ে সোচ্চার হয়েছে ঢাকা।
গত বছর অগস্টে শেখ হাসিনার দেশ ত্যাগের পর থেকেই বিভিন্ন আভ্যন্তরীণ টালমাটালের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। একাধিক বিষয়ে ইতিমধ্যেই মুখ পুড়েছে ইউনূস প্রশাসনের। আর এবার আমেরিকার এই চালে আরও চাপে পড়ল ঢাকা, বলছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু বাংলাদেশের অর্থনীতির হাল আগামীতে কী হয় তার উত্তর অবশ্য লুকিয়ে রয়েছে ভবিষ্যতের গর্ভেই।





