AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Textile stocks: বাংলাদেশের ‘সর্বনাশ’, ভারতের ‘পৌষ মাস’, চড় চড় করে বাড়ল এই শেয়ারগুলি

Textile stocks: বিনিয়োগকারীদের আশা, বাংলাদেশের এই অশান্ত পরিস্থিতিতে ভারতের বস্ত্র কোম্পানিগুলির চাহিদা বিশ্ব বাজারে বাড়বে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই অশান্ত পরিবেশের জন্য আমেরিকা ও ইউরোপের বাজারে বাংলাদেশের ব্র্যান্ড ভ্যালু ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এর ফলে ভারতের বস্ত্রশিল্প লাভবান হবে।

Textile stocks: বাংলাদেশের 'সর্বনাশ', ভারতের 'পৌষ মাস', চড় চড় করে বাড়ল এই শেয়ারগুলি
প্রতীকী ছবি
| Updated on: Aug 09, 2024 | 7:27 PM
Share

নয়াদিল্লি: আন্তর্জাতিক বাজারে বিপুল চাহিদা বাংলাদেশের কাপড়ের। বস্ত্র রফতানিতে চিন ও ভারতকে টক্কর দেয় পদ্মাপারের দেশ। কিন্তু, সেই বাংলাদেশ বর্তমানে অশান্ত। কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে উত্তপ্ত পরিস্থিতি সেদেশে। প্রধানমন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ শাহবুদ্দিন। কিন্তু, বাংলাদেশে এই জিইয়ে রয়েছে অশান্তি। যার প্রভাব পড়েছে সেদেশের বস্ত্র শিল্পে। আর এর ফলে ভারতের বস্ত্র শিল্পের চাহিদা বাড়ার সম্ভাবনা বিশ্ব বাজারে। যার আগাম আঁচ পাওয়া গেল শেয়ার বাজারে। মঙ্গলবার চড় চড় করে বাড়ল ভারতের একাধিক বস্ত্র কোম্পানির শেয়ার দর।

মঙ্গলবার গোকলদাস এক্সপোর্টের শেয়ার দর ১৮ শতাংশ বাড়ল। গত ৫২ সপ্তাহে সর্বোচ্চ হল তাদের শেয়ার দর। পৌঁছল ১০৮৯.৪০ পয়েন্টে। কেপিআর মিলের শেয়ার দর বাড়ল ১৬ শতাংশ। অরবিন্দ লিমিটেডের শেয়ার দর বাড়ল ১১ শতাংশ। এসপি অ্যাপারেলসের শেয়ার দর ১৮ শতাংশ, সেঞ্চুরি এনকার শেয়ার দর ২০ শতাংশ বাড়ল। আবার কিটেক্স গারমেন্টসের শেয়ার দর ১৬ শতাংশ ও নাহার স্পিনিংয়ের শেয়ার দর ১৪ শতাংশ বাড়ল।

বিনিয়োগকারীদের আশা, বাংলাদেশের এই অশান্ত পরিস্থিতিতে ভারতের বস্ত্র কোম্পানিগুলির চাহিদা বিশ্ব বাজারে বাড়বে। প্রভুদাস লীলাধেরের প্রধান উপদেষ্টা বিক্রম কাসাত বলেন, “এই অশান্ত পরিবেশের জন্য আমেরিকা ও ইউরোপের বাজারে বাংলাদেশের ব্র্যান্ড ভ্যালু নিশ্চিতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। পোশাক আমদানিতে বাংলাদেশকেই বেশি গুরুত্ব দেয় আমেরিকা ও ইউরোপ। এর ফলে ভারতের বস্ত্রশিল্প লাভবান হবে।” তবে ভারতের তন্তু রফতানি কিছুটা ধাক্কা খাবে। কারণ, ভারতের থেকে সবচেয়ে বেশি তন্তু কেনে বাংলাদেশ।

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে বেশ কিছুদিন ধরেই অশান্ত বাংলাদেশ। সোমবার শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী পদে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন। তারপরও অশান্তি জিইয়ে রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে পদ্মাপারের দেশে বস্ত্র শিল্পে প্রভাব পড়ছে। পোশাক রফতানিতে বিশ্বের ২ নম্বর স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। চিনের পরই। ২০২৩ সালে বাংলাদেশ ৪৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেডিমেড পোশাক রফতানি করেছে বিশ্ব বাজারে। আমেরিকা, ব্রিটেন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলিতে বাংলাদেশের পোশাকে বিপুল চাহিদা। সেখানেই এবার বাড়তে পারে ভারতে তৈরি পোশাকের চাহিদা।

আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)