ফের ধাক্কা মধ্যবিত্তের, বাড়তে শুরু করেছে খাবার তেলের দাম
Edible Oil Price: তেলের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে আর তেলের সরবরাহ বাড়ানোর জন্য ভারত শুল্ক কম করেছে। অন্যদিকে তারপর মালেশিয়াতে রেকর্ড মূল্যবৃদ্ধি করা হয়েছে। যদিও এই কৃত্তিম মূল্যবৃদ্ধির সত্ত্বেও দূর দূর পর্যন্ত চাহিদা দেখা যাচ্ছে না। সূত্রের খবর অনুযায়ী, মালেশিয়া আর ইন্দোনেশিয়ার এই বেহিসেবী মনোভাবে গ্রাহকদের লোকসান হচ্ছে।
নয়া দিল্লি: শনিবার দিল্লির বাজারে ভোজ্য তেলের দামে উন্নতির প্রবণতা দেখা গেছে। অপরিশোধিত পাম তেলের চাহিদা না থাকা সত্ত্বেও মালেশিয়াতে এর দাম রেকর্ড উচ্চতায় রয়েছে। বাজার সূত্র জানিয়েছে, বাজারে সিপিও-র চাহিদা ভীষণই কম কারণ পামোলিন তেলের (রিফাইন্ড) আমদানি শুল্ক কম করার পর এর দাম পিসিওর কাছাকাছি হয়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় কেউই সিপিও আমদানি করছে না, কারণ তাদের উপর সিপিও-র শোধন করার আলাদা খরচের বোঝা চাপবে। অন্যদিকে পামোলিন অনেকটাই সস্তায় বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে কেউই সিপিও কিনতে চাইছে না। সূত্র জানিয়েছে, বাজারে পারস্পরিক গোষ্ঠী তৈরি করে ব্যবসা পরিচালনা করার কথা অস্বীকার করা যাবে না, কারণ তেলের দাম জবরদস্তি বাড়ানো হয়েছে।
সিপিওর দামে বৃদ্ধি
ওই সূত্র জানিয়েছে, মালেশিয়াতে অত্যাধিক সাট্টার পরিস্থিতি তৈরি হয়ে রয়েছে আর সেখানে শুক্রবার সিপিওর দাম ৩.৫ শতাংশ বেড়েছে, অন্যদিকে চাহিদা একদমই কম। তেলের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে আর তেলের সরবরাহ বাড়ানোর জন্য ভারত শুল্ক কম করেছে। অন্যদিকে তারপর মালেশিয়াতে রেকর্ড মূল্যবৃদ্ধি করা হয়েছে। যদিও এই কৃত্তিম মূল্যবৃদ্ধির সত্ত্বেও দূর দূর পর্যন্ত চাহিদা দেখা যাচ্ছে না। সূত্রের খবর অনুযায়ী, মালেশিয়া আর ইন্দোনেশিয়ার এই বেহিসেবী মনোভাবে গ্রাহকদের লোকসান হচ্ছে। ওই সূত্র জানিয়েছে, সিপিওর দাম সোয়াবিন তেল থেকে ১০০-১৫০ ডলার প্রতি টন নীচে থাকত, কিন্তু এখন সিপিওর দাম সোয়াবিন থেকে প্রায় ১০ ডলার প্রতি টন বেশি চলছে। সিপিওর দাম বাড়ার ফলে চাহিদা নেই আর মানুষ হালকা তেলের মধ্যে সোয়াবিন আর বাদাম তেলের দিকে নিজেদের মনোযোগ বাড়িয়েছে।
সর্ষে তেলের দামে চড়াই উৎরাই
সূত্রের খবর অনুযায়ী, সর্ষের তেলের দাম এই মরশুমে এমনই চড়াই উৎরাই থাকে আর এই পরিস্থিতি নতুন ফসলের বাজারে আসা পর্যন্ত বজায় থাকবে। সূত্রের তরফে সাবধান করা হয়েছে, এবার সরকারের তরফে সহযোগী সংস্থাগুলিকে সর্ষে কিনে তা মজুত করা উচিৎ, যাতে অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে এটা আমাদের কাজে লাগতে পারে। তিনি বলেন, যখন আমদানিকৃত তেল এই মুহূর্তে যথেষ্ট বেড়েছে তো সর্ষে সমর্থনযোগ্য মূল্যে কীভাবে পাওয়া যাবে। সরকারের উচিৎ সর্ষে কিনে মজুত করা, অন্যথায় আগামী বছর আরও সমস্যা তৈরি হতে পারে। কারণ আমাদের পাইপলাইন একেবারে খালি আর সর্ষের কোনও বিকল্প নেই যা আমরা আমদানি করতে পারি। ওই সূত্র আরও জানিয়েছে, সর্ষের তেলের চাহিদা লাগাতার বাড়ছে আর এর দামে আগামী ফসল আসা পর্যন্ত এখনও এক দেড় মাস চড়াই উৎরাই বজায় থাকবে। চাহিদা বাড়ার মধ্যে সর্ষের তেলের বীজের দাম পর্যাপ্ত উন্নতির সঙ্গে বন্ধ হয়েছে।
আরও পড়ুন: Budget 2022: বাজেটে আয়কর আর জ্বালানি তেলের কর ছাড়ের প্রত্যাশা পূরণ করবেন নির্মলা!