জনপ্রিয় হচ্ছে ‘Work From Home’ কর্ম সংস্কৃতি, অফিসে ফিরতে চায় না ৮২ শতাংশ কর্মী
Work From Home: পরিবর্তিত পরিবেশে বাড়ি থেকে কাজ করা এখন বিকল্প না থেকে নতুন ট্রেন্ড হয়ে গিয়েছে আর প্রযুক্তি ক্ষেত্রে কাজ করা কর্মীরা নিজেদের নিযুক্তকারীদের থেকেও এই আশা রাখেন। যে নিয়োগকারী কোম্পানিগুলি এই ব্যবস্থা গ্রহণ করতে রাজি নয়, তাদের নতুন প্রতিভাদের নিযুক্ত করতে আর আগে থেকে কাজ করা কর্মীদের নিজেদের নিজেদের কোম্পানিতে ধরে রাখতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হচ্ছে।
নয়া দিল্লি: বিশ্বজোড়া মহামারী কোভিড-১৯-র কারণে কর্মজীবনে আসা অভূতপূর্ব পরিবর্তনের মধ্যে একটি সমীক্ষা জানাচ্ছে যে এখন মানুষ অফিসে যাওয়া বদলে বাড়িতে থেকেই কাজ করাকে গুরুত্ব দিচ্ছে। রোজগার সম্পর্কিত ওয়াবসাইট সাইকির ‘টেক ট্যালেন্ট আউটলুক’ রিপোর্ট অনুযায়ী, মহামারীর কারণে প্রথমে কর্মচারীদের উপর দূরত্ব বজায় রেখে অফিসের কাজ করার ব্যবস্থা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন দু বছর পর ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ এখন নতুন ট্রেন্ড হয়ে গিয়েছে। আর এই নতুন অভ্যাস মানুষের জীবনে নিজের জায়গা তৈরি করে ফেলেছে। এই সমীক্ষায় সামিল হওয়া মানুষের মধ্যে ৮২ শতাংশ মানুষ অফিসে যেতে চান না আর তারা বাড়িতে বসেই কাজ করতে চান। ট্যালেন্ট টেক আউটলুক ২০২২ এ চার মহাদ্বীপের ১০০র বেশি কার্যকরি আধিকারিক এবং মানব সম্পদ আধিকারিকদের থেকে পাওয়া প্রতিক্রিয়ার বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এই সমীক্ষা সোশ্যাল মিডিয়া, সাক্ষাৎকার আর প্যানেল আলোচনার মাধ্যমে করা হয়েছে।
সমীক্ষায় সামিল ৬৪ শতাংশ কর্মচারীরা বলেছেন যে বাড়িতে থেকে কাজ করায় তাদের উৎপাদন ক্ষমতা বেশি থাকে আর টেনশনও কম হয়। এর মধ্যে ৮০ শতাংশের বেশি মানব সম্পদ ম্যানেজাররা বলেছেন পূর্ণকালীনভাবে অফিসে গিয়ে কাজ করা কর্মচারী খোঁজা এখন তাদের জন্য মুশকিল হচ্ছে। অন্যদিকে ৬৭ শতাংশের বেশি কোম্পানিও জানিয়েছে যে অফিসে গিয়ে কাজ করা কর্মী খোঁজা তাদের জন্য মুশকিল হচ্ছে।
বিশেষ করে আইটি ক্ষেত্রের কর্মীরা বজায় রাখতে চান ওয়ার্ক ফ্রম হোম
পরিবর্তিত পরিবেশে বাড়ি থেকে কাজ করা এখন বিকল্প না থেকে নতুন ট্রেন্ড হয়ে গিয়েছে আর প্রযুক্তি ক্ষেত্রে কাজ করা কর্মীরা নিজেদের নিযুক্তকারীদের থেকেও এই আশা রাখেন। যে নিয়োগকারী কোম্পানিগুলি এই ব্যবস্থা গ্রহণ করতে রাজি নয়, তাদের নতুন প্রতিভাদের নিযুক্ত করতে আর আগে থেকে কাজ করা কর্মীদের নিজেদের নিজেদের কোম্পানিতে ধরে রাখতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হচ্ছে।
কর্মী আর নিয়োগকর্তা দুজনেই পেয়েছে নমনীয়তা
সাইকির প্রতিষ্ঠাতা আর সিইও করুণজিত কুমার ধীর বলেন, ‘দূরবর্তী কাজের জগতে স্বাগতম।’ সমীক্ষায় বলা হয়েছে যে দূরে থেকে কাজ করার দু বছর কেটে যাওয়ার পর এক নতুন ধরনের নমনীয়তা পাওয়া গিয়েছে যা কর্মচারী আর নিয়োগকর্তা দুজনের জন্যই লাভদায়ক।