Go First: ৯ মে পর্যন্ত বন্ধ Go First-র উড়ান পরিষেবা, যাত্রীদের টিকিটের টাকা ফেরতের নির্দেশ DGCA-র
Go First Bankruptcy: আর্থিক মন্দায় ডুবেছে দেশের তৃতীয় বৃহত্তম উড়ান সংস্থা গো ফার্স্ট। ৯ মে পর্যন্ত উড়ান পরিষেবা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে এই সংস্থা। এছাড়াও ১৫ মে পর্যন্ত টিকিট বুকিংও বাতিল করেছে এই সংস্থা।
নয়া দিল্লি: উভয় সঙ্কটে দেশের অসামরিক উড়ান সংস্থা গো ফার্স্ট (Go First)। ইতিমধ্যেই মঙ্গলবার নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করেছে এই সংস্থা। সেই কারণে আপাতত উড়ান পরিষেবাও বন্ধ রেখেছে গো ফার্স্ট। এর মধ্যেই চলতি সপ্তাহে যেসব যাত্রীদের উড়ান বাতিল হয়েছে তাঁদের টিকিটের টাকা ফেরত দিতে বলেছে উড়ান নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিজিসিএ। এরপরই বৃহস্পতিবার গো ফার্স্ট ঘোষণা করেছে, আগামী মঙ্গলবার (৯ মে) পর্যন্ত সমস্ত উড়ান পরিষেবা স্থগিত করা হল। আর ১৫ মে পর্যন্ত উড়ানের সমস্ত টিকিট বিক্রিও বন্ধ করল গো ফার্স্ট।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবারই গো ফার্স্ট জানায়, নগদ টাকার অভাবে উড়ান পরিষেবা দেওয়া সম্ভব নয় সংস্থার। দেউলিয়া ঘোষণার পর বুধবার আচমকাই নিজেদের পরিষেবা বন্ধ করে দেয় গো ফার্স্ট। এই ঘোষণায় মাথায় হাত পরে দেশের হাজার হাজার গো ফার্স্টের যাত্রীদের। ইতিমধ্যেই অনেকেরই গো ফার্স্টের টিকিট কাটা রয়েছে। অনেকেই বিমানবন্দরে আটকে পড়ে হতাশ হয়ে পড়েন অনেক যাত্রীই। যে সমস্ত যাত্রীদের ইতিমধ্যেই গো ফার্স্টের টিকিট কাটা ছিল তাঁদের অন্য বিমানে যাত্রার কোনও ব্যবস্থা করা হয়েছে কি না সেই বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।
প্র্যাট অ্য়ান্ড হুইটনি সংস্থার ইঞ্জিন ব্যবহৃত হয় দেশের তৃতীয় বৃহত্তম এই উড়ান সংস্থার বিমানে। আর গো ফার্স্ট এই দেউলিয়া পরিস্থিতির জন্য সংস্থার ত্রুটিপূর্ণ ইঞ্জিনকেই দায়ী করেছে। গো ফার্স্ট এয়ারলাইন্সের তরফে বিবৃতি জারি করে বলা হয়, এই সংস্থা প্রদত্ত ইঞ্জিনে বারংবার যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা যায়। তাই এয়ার ইন্ডিয়া ও ইন্ডিগোর সঙ্গে প্রতিযোগিতামূলক বাজারে পিছিয়ে পড়ছে গো ফার্স্ট। তাই সাময়িকভাবে গো ফার্স্টের অপারেশনও স্থগিত রাখা হয়েছে। যাঁরা আগের থেকে টিকিট কেটে রেখেছিলেন, তাঁদের টাকা ফিরিয়ে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। তবে যাত্রীদের আবার অভিযোগ, বিমান বাতিল হওয়ার বিষয়ে তাঁদের কোনও কিছু জানানো হয়নি। প্রিয়াঙ্কা আগরবাল নামের এক যাত্রী জানান, বুধবার তাঁর নয়া দিল্লি থেকে পটনা যাওয়ার কথা ছিল। তবে গো ফার্স্টের এইু হঠকারি সিদ্ধান্তের জন্য তাঁকে মিটিং বাতিল করে ফিরতে হয়েছে। পাশাপাশি রিটার্ন ফ্লাইটও তাঁকে বাতিল করতে হয়েছে। তিনি তাদের জিরো সাপোর্ট সিস্টেম রয়েছে। পাটনায় আমার সভা ছিল।” তিনি বলেন, “পটনাগামী ইন্ডিগোর ফ্লাইটের ভাড়া বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৯ হাজার টাকা। এখন কে ক্ষতিপূরণ দেবে?”