Google: ইনকগনিটো মোড কি সত্যিই গোপন? ৪১ হাজার কোটি টাকা খেসারত দিতে রাজি গুগল
Incognito Mode: ২০০০ সাল থেকে এই মামলা চলছিল। মামলাকারীর অভিযোগ ছিল, ইনকগনিটো মোডের মাধ্যমে ব্রাউজ়িং করার সময় ব্যবহারকারীদের মধ্যে একটি ভ্রান্ত ধারণা তৈরি হয়েছিল যে তাঁরা কী সার্চ করছেন, তা গোপন থাকছে।
ক্যালিফোর্নিয়া: ৪১ হাজার কোটি টাকার খেসারত দিতে রাজি হয়েছে গুগল। গুগল সার্চ ইঞ্জিনে ‘ইনকগনিটো’ মোডে ব্রাউজ়িং সংক্রান্ত একটি মামলায় এই সমস্যার মধ্যে পড়েছে সংস্থা। ওই মামলায় গুগলের থেকে অন্তত ৫ বিলিয়ন ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় ৪১ হাজার কোটি টাকারও বেশি) আর্থিক ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়েছিল। জানা যাচ্ছে, ওই মামলার নিষ্পত্তি করতে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে রাজি হয়েছে গুগল। যদিও গোটা বিষয়টি এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। এখনও পর্যন্ত কোনও ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি। জানা যাচ্ছে, আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি আদালতের অনুমোদনক্রমে এই মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হতে পারে।
২০০০ সাল থেকে এই মামলা চলছিল। মামলাকারীর অভিযোগ ছিল, ইনকগনিটো মোডের মাধ্যমে ব্রাউজ়িং করার সময় ব্যবহারকারীদের মধ্যে একটি ভ্রান্ত ধারণা তৈরি হয়েছিল যে তাঁরা কী সার্চ করছেন, তা গোপন থাকছে। ইনকগটিনো মোডে ব্রাউজ় করা তথ্য সিলিকন ভ্যালিতে গুগলের অফিসে পৌঁছাচ্ছে না, এমন একটি ধারণা মানুষের মধ্যে তৈরি হয়েছিল।
কিন্তু গুগলের অভ্যন্তরীণ ইমেল তুলে ধরে মামলাকারীর বক্তব্য ছিল, এই ধারণা একেবারেই ঠিক নয়। ইনকগনিটো মোডে সার্চ করা তথ্যের উপর নজর রাখছে গুগল। কোন ওয়েবসাইটের কীরকম ট্র্যাফিক তা পরিমাপ করতে এবং বিজ্ঞাপন বিক্রি করতে ওই তথ্যের উপর নজর রাখছে সংস্থা, অভিযোগ ছিল তেমনই। মামলাকারীর অভিযোগ ছিল, এর ফলে লাখ লাখ ব্যবহারকারীর ক্ষতি হয়েছে এবং প্রত্যেকের জন্য অন্তত পাঁচ হাজার ডলার করে ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়েছিল।
সংবাদসংস্থা এএফপি-র তরফে গুগল ও তার আইনজীবীদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও, তারা কোনও প্রতিক্রিয়া পায়নি এই বিষয়ে। ক্যালিফোর্নিয়া আদালতে দায়ের করা ওই মামলায় অভিযোগ করা হয়েছিল গুগল ‘ইচ্ছাকৃতভাবে’ ব্যবহারকারীদের ভুল বুঝিয়ে তাদের গোপনীয়তা লঙ্ঘন করছে।