ভাল কভারেজও পাবেন, আবার প্রিমিয়ামও পড়বে সস্তা! দরকারি বিমা করেই ফেলুন এবার
Insurance: বিনিয়োগ বাড়লে দীর্ঘ মেয়াদি ক্যাপিটাল যেমন নিশ্চিত হবে, তেমনই বিদেশি ইনসুরেন্স ফার্মগুলিও ভারতে আসবে, তেমন কর্মসংস্থানও হবে।

নয়া দিল্লি: প্রত্য়েকের জীবনেই এখন বিমা দরকার। কিন্তু প্রিমিয়ামের চাপ হোক বা জটিলতার কারণে বিমার ঝুঁকি অনেকেই নিতে চান না। বিমা শিল্পেই এবার অর্থের জোয়ার আনতে বড় পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। বিমা ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ বিদেশি বিনিয়োগের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বাজেটে, যা আগে ৭৪ শতাংশ ছিল।
বাজেটে বিমায় ১০০ শতাংশ বিদেশি বিনিয়োগের ঘোষণার পর অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বলেন, “যে সকল কোম্পানিরা ভারতে বিনিয়োগ করতে চায়, তাদের বিনিয়োগের সুযোগ আরও বাড়বে। বর্তমানে বিমা ক্ষেত্রে বিনিয়োগে জটিলতাও দূর করা হবে। যা যা শর্ত রয়েছে, তা পর্যালোচনা করে সরলীকরণ করা হবে।”
বিগত দশকে ভারতে বিমা ক্ষেত্রের ধীর উন্নতি হয়েছে। ২০২৪ সালের নভেম্বরে ম্যাককিনসি অ্যান্ড কোম্পানির রিপোর্টে ভারতের বিমা ইন্ডাস্ট্রিকে “অর্ধেক ভর্তি গ্লাস” বলেই উল্লেখ করা হয়েছিল। ২০০১ সাল থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে দেশে বিমা ১১.৫ ডলার থেকে বেড়ে ৯৫ ডলারে পৌঁছেছে। কোভিডকালে বিমা করানোর হার কিছুটা বাড়লেও ২০২২-২৩ ও ২০২৩-২৪ সালে সেই সংখ্যাটা আবার কমে যায়।
১০০ শতাংশ বিদেশি বিনিয়োগে কী প্রভাব পড়বে?
২০০০ সালে দেশে বিদেশি বিনিয়োগ শুরু হয়। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভারতের বিমা ক্ষেত্রে বিদেশি বিনিয়োগ হয়েছে ৮২ হাজার ৮৪৭ কোটি। বাজেটে সরকারের এই ঘোষণাক পর বিমা ক্ষেত্রের সামনে আরও বিনিয়োগ পাওয়ার রাস্তা খুলে গেল। দীর্ঘমেয়াদী বিদেশি বিনিয়োগ যেমন হবে, তেমনই প্রতিযোগিতাও বাড়লে, প্রযুক্তিগতভাবে আধুনিকীকরণ হবে। আগামী ৫ বছরের মধ্যে বিমা ক্ষেত্রে বার্ষিক বৃদ্ধি ৭.১ শতাংশে পৌঁছতে পারে।
বিনিয়োগ বাড়লে দীর্ঘ মেয়াদি ক্যাপিটাল যেমন নিশ্চিত হবে, তেমনই বিদেশি ইনসুরেন্স ফার্মগুলিও ভারতে আসবে, তেমন কর্মসংস্থানও হবে।
কানাডা, ব্রাজিল, অস্ট্রেলিয়া, চিনের মতো দেশও ১০০ শতাংশ বিদেশি বিনিয়োগে অনুমোদন দিয়েছে।
গ্রাহকদের কী লাভ হবে?
বিমা ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ বিদেশি বিনিয়োগের ফলে গ্রাহকদের কাছে একাধিক অপশন থাকবে। প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে সংস্থাগুলিও নিজেদের পরিষেবা আরও ভাল করবে এবং অতিরিক্ত সুযোগ-সুবিধা দেবে। কম দামে বিমা কেনা যাবে।





