One Nation, One Election: টগবগিয়ে ছুটবে অর্থনীতি, কীভাবে খরচ কমাবে ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’?
Economic Boost: কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রিজের তরফে এক দেশ, এক নির্বাচনের প্রস্তাবনাকে সমর্থন জানানো হয়। সিআইআই-র প্রতিনিধিরা জানান, একসঙ্গে পঞ্চায়েত, বিধানসভা ও লোকসভা নির্বাচন করানো নিয়ে কিছুটা সমস্যা থাকলেও, এটি বাস্তবায়ন সম্ভব হলে বিপুল অর্থ সঞ্চয় হবে এবং দেশের অর্থনীতির জন্য লাভজনক হবে।
নয়া দিল্লি: ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ হোক। এমনটাই চায় কেন্দ্রীয় সরকার। গত বছরই সেপ্টেম্বর মাসে বিশেষ অধিবেশন ডেকে এই প্রস্তাবনা এনেছে সরকার। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বে গঠন করা হয়েছে বিশেষ কমিটিও। এই কমিটিই ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ বাস্তবায়ন সম্ভব কি না এবং এর জন্য় কী কী করতে হবে, তা পর্যালোচনা করে দেখছে। এবার এক দেশ, এক নির্বাচনের পক্ষে সওয়াল করলেন দেশের শিল্পপতিরাও। তাদের দাবি, এক দেশ, এক নির্বাচন করা হলে, দেশের অর্থনীতির উন্নতি হবে। উন্নয়নেও গতি আসবে।
গত শনিবারই দিল্লিতে কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রিজের তরফে এক দেশ, এক নির্বাচনের প্রস্তাবনাকে সমর্থন জানানো হয়। সিআইআই-র প্রতিনিধিরা জানান, একসঙ্গে পঞ্চায়েত, বিধানসভা ও লোকসভা নির্বাচন করানো নিয়ে কিছুটা সমস্যা থাকলেও, এটি বাস্তবায়ন সম্ভব হলে বিপুল অর্থ সঞ্চয় হবে এবং দেশের অর্থনীতির জন্য লাভজনক হবে। রাজ্য ও কেন্দ্রীয় স্তরে নির্বাচন একসঙ্গে হলে, অর্থ সঞ্চয়ের পাশাপাশি উন্নয়নেও গতি আসবে।
এক দেশ, এক নির্বাচনের লাভ কী?
দেশে যদি ঘনঘন নির্বাচন হয়, তবে প্রশাসনিক কাজে যেমন ব্যাঘাত ঘটে, তেমনই বিপুল অর্থ ব্যয় হয়। সরকারি কর্মীদের নির্বাচনের ডিউটিতে মোতায়েন করায়, সরকারের কার্যকারিতাতেও প্রভাব পড়ে। নির্বাচনের আগে আদর্শ আচরণ বিধি লাগু হওয়ায় সরকারি প্রকল্প বাস্তবায়নেও দেরি হয়।
নির্বাচনের খরচ সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের জন্য মোট খরচ হয়েছিল ৬০ হাজার কোটি টাকা। প্রতিটি রাজনৈতিক দলই পঞ্চায়েত, বিধানসভা ও লোকসভা নির্বাচনের জন্য বিপুল পরিমাণ খরচ করে। এই টাকা প্রত্য়ক্ষ বা পরোক্ষে সাধারণ মানুষের পকেট থেকেই ব্যয় হয়। এক দেশ, এক নির্বাচন কার্যকর হলে এই খরচ অনেকটাই কমে যাবে। সব নির্বাচন মিলিয়ে যা খরচ হত, তার প্রায় এক তৃতীয়াংশ কম খরচ হবে এক দেশ, এক নির্বাচনে।