EPFO Investment: শুধুমাত্র PF অ্যাকাউন্টে টাকা জমা রেখেই হয়ে যেতে পারেন কোটিপতি! জেনে নিন হিসাবের অঙ্ক…
EPFO Investment: যে সংস্থায় আপনি কাজ করেন, তাদের তরফে যে ১২ শতাংশ অর্থ বিনিয়োগ করা হয়, তারমধ্যে ৮.৩৩ শতাংশ পেনশন স্কিমে জমা পড়ে, বাকি ৩.৬৭ শতাংশ ইপিএফ বিনিয়োগে জমা হয়। তবে চলতি বছরই কেন্দ্রের তরফে ইপিএফও অ্যাকাউন্টে সুদের হার কমিয়ে ৮,১ শতাংশ করে দিয়েছে।
নয়া দিল্লি: প্রত্য়েক বেতনভুক্ত চাকুরিজীবীরই ভবিষ্যতের যাবতীয় সঞ্চয় জমা থাকে প্রভিডেন্ট ফান্ডে। সেই কারণেই সকলের কাছে প্রভিডেন্ট ফান্ডের গুরুত্ব এতটা বেশি। কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ম অনুযায়ী, প্রতি মাসেই কর্মীর বেতনের একটি অংশ কেটে নিয়ে প্রভিডেন্ট ফান্ড অ্যাকাউন্টে জমা রাখা হয়। সমপরিমাণ অর্থ দেয় নিয়োগকারী সংস্থাও। অবসরকালীন আর্থিক তহবিল হিসাবেই প্রভিডেন্ট ফান্ড পরিচিত হলেও, এই ফান্ডে বিনিয়োগ করেই আপনি কোটি টাকা উপার্জন করতে পারেন, তা কী জানেন? অবিশ্বাস্য মনে হলেও, এটি একদম সত্যি। প্রতি বছর যদি ইপিএফ অ্যাকাউন্টে দেড় লক্ষ টাকা করে জমা রাখা হয়, তবে তা আয়কর আইনে ৮০ সি ধারায় কর ছাড়ের আওতায় পড়ে। আপনার ইপিএফ অ্যাকাউন্ট ম্যাচিয়র হয়ে গেলেও তা কর ছাড়ের অধীনে পড়ে। এভাবে ছাড়প্রাপ্ত অর্থ ও জমা অর্থ মিলিয়ে আপনি অবসরকালে কোটিপতি হয়ে যেতে পারেন।
যদি কোনও কর্মী পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে ইপিএফ অ্যাকাউন্টে বিনিয়োগ করেন, তবে তিনি কর ছাড়ের আওতায় পড়েন। ধরা যাক, কোনও ব্যক্তি ২১ বছর বয়স থেকে কাজ করতে শুরু করলেন। বেসিক বেতন ও মহার্ঘ ভাতা মিলিয়ে তাঁর মাসিক আয় যদি ২৫ হাজার টাকা হয়, তবে তিনি যদি নিয়মিত ইপিএফ অ্যাকাউন্টে টাকা জমা রাখেন, তাহলে অবসরের সময় জমা অর্থের পরিমাণ এক কোটি ছাড়িয়ে যাবে।
ইপিএফও-র নিয়ম অনুযায়ী,কর্মী ও নিয়োগকারী সংস্থা- উভয়ই বেতন ও মহার্ঘ ভাতা মিলিয়ে ১২ শতাংশ করে বিনিয়োগ করে ইপিএফ অ্যাকাউন্টে। প্রতি মাসে কর্মীদের বেতন থেকে যে নির্দিষ্ট অর্থ কেটে নেওয়া হয়, তা এই প্রভিডেন্ট ফান্ডেই জমা পড়ে। যে সংস্থায় আপনি কাজ করেন, তাদের তরফে যে ১২ শতাংশ অর্থ বিনিয়োগ করা হয়, তারমধ্যে ৮.৩৩ শতাংশ পেনশন স্কিমে জমা পড়ে, বাকি ৩.৬৭ শতাংশ ইপিএফ বিনিয়োগে জমা হয়। তবে চলতি বছরই কেন্দ্রের তরফে ইপিএফও অ্যাকাউন্টে সুদের হার কমিয়ে ৮,১ শতাংশ করে দিয়েছে।
যদি আপনি ২১ বছর বয়সে কাজ শুরু করে ৬০ বছর বয়সে অবসর গ্রহণ করেন, তবে আপনার ইপিএফও অ্যাকাউন্টে ৩৯ বছর ধরে টাকা জমা পড়বে। মাসিক ২৫ হাজার টাকার বেতনেই হিসাব করলেও অবসরকালে এই অর্থ ১ কোটি ৩৫ লক্ষে পৌঁছচ্ছে। এর উপরে যদি প্রতি বছরে আপনার বেতন গড়ে ৫ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পায়, তবে অবসরের সময় জমা অর্থের পরিমাণ ২.৫৪ কোটি টাকায় পৌঁছবে।