EPFO: কোম্পানিতে মাত্র ১০ বছর কাজ করেও কত পেনশন পাবেন, জানুন
EPFO: এই প্রকল্পের অধীনে কমপক্ষে ১০০০ টাকা মাসিক পেনশন পাওয়া যায়। এই স্কিমের সুবিধা ৫৮ বছর বয়সের পরেই পাওয়া যায়। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল এই পেনশন পেতে গেলে কর্মীর একটি পিএফ অ্যাকাউন্ট থাকা উচিত।
নয়া দিল্লি : অবসর গ্রহণের পর আর্থিক পরিস্থিতি কেমন থাকবে, তা নিয়ে চিন্তিত থাকেন অনেকেই। বয়স বাড়ার সঙ্গে ওষুধ ও চিকিৎসার খরচ নিয়েও চিন্তা বাড়ে। সরকারি চাকরি হলে পেনশন নিয়ে নিশ্চিন্তে জীবন চালানো যায়, কিন্তু বেসরকারি সংস্থা হলেই সমস্যা। অনেকেই জানেন না যে ১০ বছর ধরে কোনও কোম্পানিতে কাজ করলে, অবসর গ্রহণের পর সেখান থেকে পেনশন পাওয়া যায়। EPFO থেকে পাওয়া যায় সেই নির্দিষ্ট পেনশন।
১৯৯৫ সালের ১৬ নভেম্বর EPFO একটি পেনশন প্রকল্প চালু করেছিল। সেই ক্ষেত্রে সংগঠিত খাতের কর্মরত কর্মীদের মাসিক পেনশন দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়। এই প্রকল্পের অধীনে, কর্মীরা কতদিন কাজ করেন, তার উপর ভিত্তি করে পেনশন ঠিক করা হয়।
এই প্রকল্পের অধীনে কমপক্ষে ১০০০ টাকা মাসিক পেনশন পাওয়া যায়। এই স্কিমের সুবিধা ৫৮ বছর বয়সের পরেই পাওয়া যায়। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল এই পেনশন পেতে গেলে কর্মীর একটি পিএফ অ্যাকাউন্ট থাকা উচিত।
ইপিএফও-র সদস্যরা তাদের মূল বেতনের ১২ শতাংশ ইপিএফও-র মাধ্যমে জমা দেন। সংস্থারও একই পরিমাণ টাকা জমা করে। কোম্পানির জমা করা টাকা দুটি ভাগে ভাগ হয়ে যায়। যার মধ্যে ৮.৩৩ শতাংশ যায় ইপিএসে এবং ৩.৬৭ শতাংশ যায় পিএফ-এ।
ইপিএসের অধীনে, কর্মীদের পেনশন তাদের কাজ করা সময় এবং তাদের বেতনের ভিত্তিতে নির্ধারিত হয়। ধরা যাক, একজন কর্মী ১০ বছর ধরে একই সংস্থায় কাজ করেছেন এবং তাঁর মাসিক বেতন ১৫ হাজার টাকা। এই ক্ষেত্রে পেনশনযোগ্য বেতনের সঙ্গে পেনশনযোগ্য সার্ভিস গুন করে, তা ৭০ দিয়ে ভাগ করতে হবে।
আপনি যদি ১০ বছর ধরে কোনও কোম্পানিতে কাজ করে থাকেন এবং আপনার পেনশনযোগ্য বেতন যদি ১৫,০০০ টাকা হয়, তাহলে আপনি মাসিক ২,১৪৩ টাকা পেনশন পাবেন, যা ৫৮ বছর বয়স থেকে শুরু হবে।