Waiting List: আর থাকবে না ওয়েটিং লিস্ট, বড় সিদ্ধান্ত রেলের

Indian Railways: সংবাদসংস্থা এএনআই সূত্রে দাবি, ভারতীয় রেলের তরফে ওয়েটিং লিস্ট তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী ৪ থেকে ৫ বছরের মধ্যেই এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। ওয়েটিং লিস্টের পরিবর্তে যাত্রীদের ক্রমবর্ধমান ট্রেনের চাহিদা পূরণ করার উপরে জোর দেওয়া হবে। 

Waiting List: আর থাকবে না ওয়েটিং লিস্ট, বড় সিদ্ধান্ত রেলের
ফাইল চিত্রImage Credit source: Twitter
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 19, 2023 | 7:05 AM

নয়া দিল্লি: আধুনিক সড়ক, উড়ানের সংখ্যা বাড়লেও রেলের বিকল্প নেই কোনও। বিশ্বের অন্যতম বড় রেল নেটওয়ার্ক ভারতীয় রেলওয়ের (Indian Railways)। প্রতিদিন লক্ষাধিক মানুষ যাতায়াত করেন রেলে। যাত্রী পরিষেবাকে আরও উন্নত করতে নিত্যদিন নতুন নতুন পদক্ষেপ করছে ভারতীয় রেল। এবার রেলের নয়া লক্ষ্য হল, ওয়েটিং লিস্ট (Waiting List) তুলে দেওয়া। ভারতীয় রেল সূত্রে জানানো হয়েছে, আগামী ৪-৫ বছরের মধ্যে ওয়েটিং লিস্ট সম্পূর্ণরূপে তুলে দেওয়ার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।

সংবাদসংস্থা এএনআই সূত্রে দাবি, ভারতীয় রেলের তরফে ওয়েটিং লিস্ট তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী ৪ থেকে ৫ বছরের মধ্যেই এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। ওয়েটিং লিস্টের পরিবর্তে যাত্রীদের ক্রমবর্ধমান ট্রেনের চাহিদা পূরণ করার উপরে জোর দেওয়া হবে।

ভারতীয় রেলের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে অক্টোবর মাসের মধ্যে যাত্রীদের যাতায়াতের প্যাটার্নে ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ্য করা গিয়েছে। নন-এসি কোচ, অর্থাৎ জেনারেল ও স্লিপার ক্লাসে যাত্রী সংখ্যা ব্যাপক হারে বেড়েছে। গড় যাত্রী সংখ্যা ছিল ৯৫.৩ শতাংশ। গত বছরের তুলনায় যাত্রী সংখ্যা ৩৮০ মিলিয়ন বা ৩৮ কোটির বৃদ্ধি পেয়েছে।

সেখানেই এসি কোচগুলিতে যাত্রীসংখ্যা মাত্র ৪.৭ শতাংশ পূরণ হয়েছে। মাত্র ১৮.২ কোটি যাত্রী এসি কোচে যাতায়াত করেছেন। গত বছরের তুলনায় যাত্রী সংখ্যা মাত্র ৩.১ কোটি বেড়েছে।

নন এসি জেনারেল ও স্লিপার কোচের চাহিদা ক্রমে বৃদ্ধি পাওয়ায় ভারতীয় রেল তাদের পরিষেবা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যাত্রীরা আরামে এসিতে যাতায়াতের বদলে জেনারেল ও স্লিপার ক্লাসেই যাতায়াত করতে বেশি পছন্দ করায়, ট্রেন সংখ্যা এবং সেই ট্রেনগুলিতে জেনারেল ও স্লিপার ক্লাসের সংখ্যা বৃদ্ধির চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।

কোভিড পূর্ববর্তী সময়ের তুলনায় বর্তমানে অতিরিক্ত ৫৬২টি ট্রেন চালানো হয় প্রতিদিন। এই সংখ্যা আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে রেলের। ফলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ওয়েটিং লিস্টের আর প্রয়োজন থাকবে না।