AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

৪৩,০০০ কোটির সাবমেরিন কিনছে ভারত! চিনকে টক্কর দিতে জলপথে এবার কোন রণসজ্জা

Submarine Deal: জার্মানির টিকেএমএস (TKMS) ও স্পেনের নাভানতিয়ার সঙ্গে চলছে আলোচনা। আপাতত দরাদরি চলছে বলে জানা গিয়েছে। পি-৭৫এল প্রায় ৪৩,০০০ কোটি টাকার প্রজেক্ট।

৪৩,০০০ কোটির সাবমেরিন কিনছে ভারত! চিনকে টক্কর দিতে জলপথে এবার কোন রণসজ্জা
ফাইল ছবিImage Credit: PTI
| Updated on: Oct 24, 2024 | 3:52 PM
Share

নয়া দিল্লি: ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধের কারণে রাশিয়ার ওপর চাপানো হয়েছে অনেক নিষেধাজ্ঞা। আর এই রাশিয়া থেকেই সামরিক সরঞ্জাম আমদানি করে থাকে ভারত। তবে এই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সেই সব সরঞ্জামের ক্ষেত্রে অন্যান্য দেশের ওপর ভরসা করতে শুরু করেছে নয়া দিল্লি। এবার জার্মানির সঙ্গে কয়েক’শ কোটির ডলারের চুক্তি হতে চলেছে বলে সূত্রের খবর। এবার অস্ত্র তথা সামরিক সরঞ্জাম রফতানির ক্ষেত্রে ভারতকে স্পেশাল স্টেটাস দিল জার্মানি।

চলতি সপ্তাহেই ভারতে আসছেন জার্মান চান্সেলর ওলাফ স্কোলজ। তাঁর এই সফরে জার্মানির সঙ্গে সাবমেরিন সম্পর্কিত চুক্তি নিয়ে হতে পারে আলোচনা। পি-৭৫এল সাবমেরিন নিয়ে চুক্তি হতে পারে জার্মানি ও ভারতের। এই বিষয়ে এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি দিল্লি। সপ্তাহান্তে দিল্লিতে পৌঁছনোর কথা স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেড্রো স্যানচেজেরও।

ভারতীয় নৌসেনাকে সাবমেরিন দেওয়ার জন্য় দুই সংস্থা রয়েছে প্রতিযোগিতায়। একটি জার্মানির টিকেএমএস (TKMS) ও অপরটি হল স্পেনের নাভানতিয়া। আপাতত দরাদরি চলছে বলে জানা গিয়েছে। পি-৭৫এল প্রায় ৪৩,০০০ কোটি টাকার প্রজেক্ট।

জার্মানিতে এই ডিফেন্স ইন্ডাস্ট্রি মূলত বেসরকারি। তবে ভারত যদি সেখান থেকে সরঞ্জাম কিনতে চায়, তাহলে যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, তার জন্য বিশেষ ফোকাস পেপার ইস্যু করেছে জার্মানি। রাষ্ট্রদূত অ্যাকারম্যান জানিয়েছেন, কম সময়ের মধ্যে যাতে সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়, সেই ব্যবস্থা করেছে জার্মানি।

দ্য হিন্দু-তে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, TKMS শিপইয়ার্ডে ফিল্ড ট্রায়াল করেছে ভারত। অন্যদিকে, আর এক সংস্থা নাভান্তিয়ার সঙ্গে আলোচনা শেষ হয়েছে গত মার্চ মাসে। এই চুক্তি করে ভারত ৬টি সাবমেরিন কেনার চেষ্টা করছে। চিন যেভাবে জলপথে অধিকার বিস্তার করার চেষ্টা করছে, তা প্রতিহত করতেই এই সাবমেরিন হাতে পেতে চায় নয়া দিল্লি।