Indian Economy: ১০-২০ বছরে ভারতীয় অর্থনীতি দ্রুত বাড়বে, বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামে মত বিশেষজ্ঞদের
Indian Economy: আগামী ১০ থেকে ২০ বছরে ভারতীয় অর্থনীতি দ্রুত হারে বাড়বে। ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরামের মঞ্চ থেকে বললেন অর্থনীতি বিশেষজ্ঞরা।
দাভোস: দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (World Economic Forum) সম্মেলন শুরু হয়েছে। সেই মঞ্চে ভারতের জয় জয়কার। এই সম্মেলনের একটি সেশনে মার্টিন উলফ বলেছেন, আগামী ১০ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ভারত দ্রুত বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনৈতিক শক্তিতে পরিণত হবে। দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে নিজের বক্তৃতায় মার্টিন উলফ ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনার প্রতি আস্থা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, “আমি দীর্ঘদিন ধরে ভারতের অর্থনৈতিক অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করছি। ভারত দ্রুত উন্নতি করছে। এটা সত্যিই একটি বিস্ময়কর বিষয়।”
তিনি এই মঞ্চ থেকে আরও বলেছেন, “আমি মনে করি এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, আগামী ১০ থেকে ২০ বছরে বড় বড় অর্থনীতিগুলির মধ্যে ভারত অবশ্যই সবথেকে দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশ হিসেবে উঠে আসবে। যাঁরা ব্যবসা এবং অন্যান্য সেক্টরে নেই তাঁরা ভারতের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিতে পারে না। তাঁরা বিশ্বে ভারতের অবস্থান বুঝতে পারবেন না। দেখতে থাকুন। ভারত ভবিষ্যতে বিশ্বের অন্যতম অর্থনৈতিক শক্তি হয়ে উঠবে।’
Exactly right! Over the next 10-20 years, it is overwhelmingly certain that India will be the fastest-growing economy.
– Martin Wolf, Chief economics commentator at the Financial Times
— Erik Solheim (@ErikSolheim) January 20, 2023
প্রসঙ্গত, বিশ্ব ব্যাঙ্ক পূর্বাভাসে জানিয়েছিল ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার থাকবে ৬.৫ শতাংশ। তবে গত ডিসেম্বরেই সেই এই হার সংশোধন করে ৬.৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছিল বিশ্ব ব্যাঙ্ক। বিশ্ব ব্যাঙ্কের বর্ষীয়ান অর্থনীতিবিদ ধ্রুব শর্মার মতে, দেশে বিপুল পরিমাণ অর্থনৈতিক কার্যক্রমের জন্যই এই জিডিপি বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের জন্য অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার আশা করা হচ্ছে ৬.৯ শতাংশ। যেখানে ২০২১-২২ অর্থবর্ষে ছিল ৮.৭ শতাংশ। বিশ্বব্যাঙ্কের বর্ষীয়ান অর্থনীতিবিদ ধ্রুব শর্মা বলেন, “১০ বছর আগের তুলনায় ভারত এখন অনেক বেশি স্থিতিস্থাপক। বিগত ১০ বছরে গৃহীত সমস্ত পদক্ষেপ ভারতকে বিশ্ব অর্থনীতিতে এগিয়ে যেতে সাহায্য করছে।” তিনি আরও বলেছেন, অতিমারির সময় ভারতীয় অর্থনীতিতে যে সংকোচন ঘটেছিল সেখান থেকে ভারত নিজেকে পুনরুদ্ধার করেছে। শর্মা বলেছেন, “প্রতিবর্তের এই গল্পটি মূলত শক্তিশালী অভ্যন্তরীণ চাহিদা দ্বারা চালিত হয়েছে।”