TV9 Bangla Explained: বিশাল চ্যালেঞ্জ নিয়ে ফের ইস্তাম্বুল যাত্রা শুরু করছে ইন্ডিগো, এবার কি আসবে সাফল্য?

Indigo: ফের ইস্তানবুল পর্যন্ত উড়ান চালু করছে ইন্ডিগো এয়ারলাইন্স। সামনে যদিও রয়েছে বড় চ্যালেঞ্জ। এর আগে বারবার দাক্কা খেতে হয়েছে তাদের। এবার কি হবে?

TV9 Bangla Explained: বিশাল চ্যালেঞ্জ নিয়ে ফের ইস্তাম্বুল যাত্রা শুরু করছে ইন্ডিগো, এবার কি আসবে সাফল্য?
ফের ইস্তানবুল উড়ান শুরু করছে ইন্ডিগো
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 14, 2022 | 10:23 AM

নয়া দিল্লি: দীর্ঘদিন ধরেই আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণের দিকে নজর ছিল ইন্ডিগো সংস্থার। সম্প্রতি তারা ভারত থেকে ইস্তাম্বুলে ফের উড়ান পরিচালনা করার কথা ঘোষণা করেছে। সবকিছু পরিকল্পনামাফিক চললে আগামী বছরের ১ জানুয়ারি থেকেই দিল্লি ও মুম্বই শহর থেকে ইস্তাম্বুল পর্যন্ত দৈনিক উড়ান পরিচালনা করবে ইন্ডিগো। এই উড়ানের জন্য ব্যবহার করা হবে ইন্ডিগোর বহরের বৃহত্তম বিমান, এ৩২১নিও (A321neo)।

চ্যালেঞ্জ

তবে, তুরস্কে তাদের কার্যক্রম বিস্তার করার ক্ষেত্রে ইন্ডিগোর সামনে বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে। বস্তুত ২০১৮ সালের ডিসেম্বরেই তুর্কি এয়ারলাইন্সের সঙ্গে দুই দেশের মধ্যে উড়ান পরিচালনার জন্য একটি ‘কোডশেয়ার’ অংশীদারিত্ব ঘোষণা করেছিল ইন্ডিগো। ২০১৯ সালের জানুয়ারি সংস্থা জানিয়েছিল, ওই বছরের মার্চ মাস থেকেই দিল্লি থেকে ইস্তাম্বুলে প্রতিদিন দুটি করে উড়ান পরিচালনা করা হবে।

সেই ঘোষণা কার্যকর করার আগেই ঘটে গিয়েছিল বালাকোট এয়ারস্ট্রাইক। যার জেরে পাকিস্তান তাদের আকাশসীমায় ভারতীয় উড়ান সংস্থাগুলির বিমান এবং ভারত থেকে আসা এবং ভারতের উদ্দেশে আসা বিমানগুলির প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছিল। ফলে, ইন্ডিগোকে দোহায় একবার থেমে ইস্তানবুলে যেতে হচ্ছিল। ২০২০ সালের গোড়ায় যখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করেছিল, সেই সময় আবার ইন্ডিগোর পরিকল্পনায় জল ঢেলেছিল কোভিড-১৯ মহামারি। সমস্ত উড়ান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।

দ্বিপাক্ষিক বিমান পরিষেবা চুক্তি

ভারত ও তুরস্কের মধ্যে যে দ্বিপাক্ষিক বিমান পরিষেবা চুক্তি হয়েছিল, সেই চুক্তি অনুযায়ী দুই দেশের মধ্যে সপ্তাহে মোট ১৪টি উড়ান পরিচালনা করা যাবে। ভূ-রাজনৈতিক-সহ বহু কারণে, এই সংখ্যা বাড়ানো যায়নি। এই চুক্তিতে লাভ বেশি তুর্কি এয়ারলাইন্সেরই। ইন্ডিগো যে যাত্রীদের ইস্তাম্বুলে নিয়ে আসে, তাঁদের তুর্কির অন্যান্য গন্তব্যে নিয়ে যাওয়ার অতিরিক্ত ক্ষমতা তাদের হাতেই রয়েছে।

ইন্ডিগো তাদের ইস্তাম্বুলের উড়ান শুধুমাত্র দিল্লি থেকে পরিচালনা করার বদলে, একটি উড়ান মুম্বই থেকে করা ফলে, আগের থেকে যাত্রী সংখ্যা বেশি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিশেষ করে দক্ষিণ এবং পশ্চিম ভারতের শহরগুলির বাসিন্দাদের পক্ষে দিল্লি হয়ে যাওয়ার বদলে মুম্বই হয়ে যাওয়াটা অনেক সহজ।

উড়ান সম্পদের অপর্যাপ্ত ব্যবহার

তবে, এই পথে উড়ান পরিচালনায় ইন্ডিগোর বিমানগুলির পর্যাপ্ত ব্যবহার হবে কি না, সেই বিষয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। দুটি উড়ানের সময় থেকেই স্পষ্ট হয়েছে যে, বিমানগুলি ভারতে ফেরার ফিরতি যাত্রা শুরু করার আগে, সারা দিন ইস্তাম্বুলে বসে থাকবে। বিদেশের মাটিতে দীর্ঘ সময় ধরে বিমানগুলি বসে থাকলে উড়ান-সম্পদের পর্যাপ্ত ব্যবহার হবে না বলে মনে করা হচ্ছে। যেমনটা ঘটেছিল হংকং-এ জেট এয়ারওয়েজের এবং সিঙ্গাপুরে কিংফিশার এয়ারলাইন্সের ক্ষেত্রে। পাল্টা যুক্তি হিসেবে বলা হচ্ছে, মাটিতে থাকাকালীন বিমানগুলির রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করা হয়। তবে এ৩২০ পরিবারের যে কোনও বিমানেরই রক্ষণাবেক্ষণের জন্যঅনেক কম সময় লাগে।

দীর্ঘ সময়ের রুটে আরো বেশি বিমান পরিচালনার উচ্চাকাঙ্ক্ষা রয়েছে ইন্ডিগোর। যার জন্য বেশ কয়েকটি এ৩২১এক্সএলআর বিমানের অর্ডার দিয়েছে তারা, যা ২০২৪-২৫ সালের মধ্যে সংস্থার হাতে চলে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে ভূ-রাজনৈতিক পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে হবে তাদের। ইউক্রেন এবং রাশিয়ার মধ্যে দ্বন্দ্ব ইউরোপের একটা বড় অংশের আকাশসীমাকে অকেজো করে দিয়েছে। একইভাবে, আফগানিস্তানের আকাশপথে বেসামরিক উড়ান সংস্থার বিমানগুলিকে সীমিত সংখ্যায় প্রবেশাধিকার দেওয়া হয়। তাই, আগে কোনও নির্দিষ্ট সময়ে যে দূরত্ব অতিক্রম করা যেত, এখন সেই তুলনায় ওই দূরত্ব অতিক্রম করতে অনেক বেশি সময় লাগতে পারে। ফলে উড়ান পরিকল্পনা করা অনেক কঠিন হয়ে গিয়েছে।