লকডাউনেও ‘ধন ধনা ধন’ জিও-র, শেষ ৩ মাসে মুনাফা ৩, ৪৮৯ কোটি টাকা
রিলায়্যান্স ইন্ডাস্ট্রির চেয়ারম্যান মুকেশ অম্বানী জানিয়েছেন, সারা বিশ্বে ডিজিটাল পরিবর্তনে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে ভারত। তাঁর মুখে শোনা গিয়েছে আত্ম-নির্ভর ভারতের কথাও।
নয়া দিল্লি: লকডাউনে ক্রমাগত হ্রাস পেয়েছে উৎপাদন। বন্ধ বাজারে আয় কমেছে বিভিন্ন সংস্থার। তবে এই সময় একের পর এক বিনিয়োগ এসেছিল মুকেশ অম্বানীর (Mukesh Ambani) জিওতে (Jio)। গুগল, ফেসবুক থেকে শুরু করে সিলভার লেক, এহেন আন্তর্জাতিক কোম্পানির বিনিয়োগে ফুলে ফেঁপে উঠেছিল রিলায়্যান্সের টেলিকম সংস্থা। লকডাউনে চরম বিনিয়োগের পর ত্রৈমাসিকগুলিতে তার প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়েছিল জিওর আয়ে। তৃতীয় ত্রৈমাসিক অর্থাৎ ডিসেম্বর মাসের শেষে জিওর লভ্যাংশ বেড়েছে ১৫.৫ শতাংশ। যার ফলে জিওর লাভ হয়েছে ৩ হাজার ৪৮৯ কোটি টাকায়।
চলতি অর্থবর্ষের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে জিওর লাভ হয়েছিল ৫.৯ শতাংশ। কিন্তু দেশজুড়ে কৃষক আন্দোলনের প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়েছে জিওর উপরও। পঞ্জাবে বিক্ষুব্ধ কৃষকরা উপড়ে ফেলেছিলেন জিওর টাওয়ার। সরাসরি ক্ষোভ গিয়েছিল জিওর বিরুদ্ধে। তারপরেও দারুণ আয় করেছে মুকেশ অম্বানীর ডিজিটাল সংস্থা। তৃতীয় ত্রৈমাসিকে জিও ব্যবসা করেছে ১৯ হাজার ৪৭৫ কোটি টাকার। দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে জিওর আয় ছিল ১৮ হাজার ৪৯৬ কোটি টাকা। জিও টেলিকম জানিয়েছে, তৃতীয় ত্রৈমাসিকে অভূতপূর্ব আয়ের জেরে বার্ষিক টার্গেটের হারেও মাইলস্টোন অতিক্রম করেছে তারা। তৃতীয় ত্রৈমাসিকের জিওর লাভ ৫.৩ শতাংশ।
এই ত্রৈমাসিকে জিওর গ্রাহকদের কাছ থেকে গড়ে আয় বেড়েছে ৪ শতাংশ। পরিসংখ্যান বলছে নতুন গ্রাহকের সংখ্যা সে হারে না বাড়লেও পূর্ববর্তী গ্রাহকদের কাছ থেকে আয় বেড়েছে সংস্থার। এই ত্রৈমাসিকে প্রত্যেক জিও গ্রাহকের ডেটা ব্যয় হয়েছে প্রত্যেক মাসে গড়ে ১২.৯ জিবি। প্রত্যেকে মাসে ফোনে কথা বলেছেন ৭৯৬ মিনিট। রিলায়্যান্স ইন্ডাস্ট্রির চেয়ারম্যান মুকেশ অম্বানী জানিয়েছেন, সারা বিশ্বে ডিজিটাল পরিবর্তনে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে ভারত। তাঁর মুখে শোনা গিয়েছে আত্ম-নির্ভর ভারতের কথাও। জিও ক্রমশ ডিজিটাল বিভাগে আরও এগিয়ে ৫জি ভার্সানের মাধ্যমে ২জি মুক্ত ভারত গড়বে, একথাও জানিয়েছেন এশিয়ার অন্যতম ধনী ব্যবসায়ী। তিনি আগেই জানিয়েছিলেন, ২০২১ সালেই ৫জি নেটওয়ার্ক এনে ভারতের দেশীয় প্রযুক্তির মাধ্যমে ৫জি পরিষেবা গড়ে তুলবে জিও।
আরও পড়ুন: পুলিসের হাতে তুলে দিতেই যুবকের সুর বদল, ‘কৃষকরা খুব মেরেছে’
তবে শুধু ৫জি নেটওয়ার্কই নয়, ৫জি মোবাইল ইন্ডাস্ট্রিতে বিপ্লব আনার কথা শোনা গিয়েছে অম্বানীর মুখে। ৫জি কোর নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ইন্টারনেট স্পিড হবে ১ জিবি প্রতি সেকেন্ড। সামগ্রিক ভাবে, গুগল, ফেসবুক-সহ একাধিক আন্তর্জাতিক বিনিয়োগের মাধ্যমে দ্রুত বাড়ছে জিও। যার ফলে ভারতের টেলিকম বিভাগে জোয়ার এসেছে। সেই ধারাকে অব্যাহত রেখেই নতুন অত্যাধুনিক ডিজিটাল পরিষেবার দিকে এগোচ্ছে অম্বানীর সংস্থা।