5G band allocation: রেল কেন ‘এটা’ পাবে? সরকারি সিদ্ধান্তে খুশি নন মুকেশ অম্বানি
5G band allocation: ৫জি স্পেকট্রামের ৭০০ মেগাহার্টজ ব্যান্ডে ভারতীয় রেল-কে অতিরিক্ত ৫ মেগাহার্টজ স্পেকট্রাম বরাদ্দ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। যার মূল্য প্রায় ১৯,০০০ কোটি টাকা। এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে টেলিকম অপারেটররা। কেন?কী তাদের দাবি?
নয়া দিল্লি: মে মাসে ফের আসছে বড় নিলাম, ৫জি স্পেকট্রামের। কিন্তু, এই নিলামের আগে, সরকারের এক সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট টেলিকম অপারেটররা, বিশেষ করে রিলায়েন্স জিও এবং ভোডাফোন আইডিয়া। ৫জি স্পেকট্রামের ৭০০ মেগাহার্টজ ব্যান্ডে ভারতীয় রেল-কে অতিরিক্ত ৫ মেগাহার্টজ স্পেকট্রাম বরাদ্দ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। যার মূল্য প্রায় ১৯,০০০ কোটি টাকা। এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে টেলিকম অপারেটররা। তাদের দাবি, এর ফলে তারা ৭০০ মেগাহার্টজ ব্যান্ডের জন্য বিড করতে পারবেন না। ৭০০ মেগাহার্টজ ব্যান্ড ৫জি পরিষেবার এক প্রিমিয়াম ব্যান্ড বলে বিবেচনা করা হয়। বিস্তৃত এলাকায় পরিষেবা দিতে পারে, বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকাগুলিতে ৫জি পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
৭০০ব মেগাহার্টজ ব্যান্ডে ১.৭ লক্ষ কোটি টাকা মূল্যের পুরো ৪৫ মেগাহার্টজ স্পেকট্রামই ইতিমধ্যে বরাদ্দ করা হয়ে গিয়েছে। আসন্ন নিলামে এই ব্যান্ডকে বিক্রির জন্য রাখা হয়নি। এই ব্যান্ডটি বিভিন্ন সরকারি মন্ত্রক, বিভাগ ও এজেন্সিগুলির ব্যবহারের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রককে দেওয়া হয়েছে ১০ মেগাহার্টজ, রেলকে ১০ মেগাহার্টজ, ন্যাশনাল ক্যাপিটাল রিজিওন ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশনকে ৫ মেগাহার্টজ এবং বিএসএনএল-কে ১০ মেগাহার্টজ। মজার বিষয় হল, ২০১৬ এবং ২০২১ সালের নিলামে এই ব্যান্ডটি কেউ কেনেনি। রিজার্ভ মূল্য কমানোর পর, ২০২২-এর নিলামে, ৪০,০০০ কোটি টাকায় ১০ মেগাহার্টজ কিনেছিল মুকেশ অম্বানর রিলায়েন্স জিও।
ভারতের টেলিকম নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষকে, সম্প্রতি জিও বলেছে, “স্পেকট্রামের জন্য সরকারি সংস্থাগুলির অ্যাড-হক দাবিগুলি পাবলিক প্রোটেকশন অ্যান্ড ডিজাস্টার রিলিফ বা অন্যান্য নন-আইএমটি ব্যান্ডগুলির জন্য চিহ্নিত স্পেকট্রাম থেকে মেটানো উচিত।” ভোডাফোন আইডিয়া সংস্থা এখনও ৫জি পরিষেবা চালুই করতে পারেনি। তবে, তারাও বলেছে, এই ব্যান্ডের স্পেকট্রামটি টেলিকম অপারেটর ছাড়া অন্য সংস্থাগুলিকে বরাদ্দ করা উচিত নয়। এয়ারটেলের মতে, এই ৫ মেগাহার্টজ পরিমাণে খুব ছোট হলেও, টেলিকম সংস্থাগুলির জন্য তাৎপর্যপূর্ণ। তারা আরও বলেছে, রেল-কে ইন্টারনেট বা ওয়াই-ফাই-এর মতো কোনও বাণিজ্যিক পরিষেবা দেওয়ার অনুমতি দেওয়া উচিত নয়।
বস্তুত, রেলে দুর্ঘটনা এড়াতে যে ‘কবচ’ প্রযুক্তিকে কাজে লাগানো হচ্ছে, তার জন্যই গত মাসে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা রেলকে অতিরিক্ত ৫ মেগাহার্টজ ব্যান্ড বরাদ্দ করেছে। সূত্রের খবর, তার আগে এই বিষয়ে টেলিকম নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পরামর্শও করা হয়নি। টেলিকম সংস্থাগুলির দাবি, সরকারের উচিত ইতিমধ্যেই নির্ধারিত স্পেকট্রামই রেল এবং ন্যাশনাল ক্যাপিটাল রিজিওন ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশনের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া। এছাড়াও, ৫০০ মেগাহার্টজ বা ৬০০ মেগাহার্টজের মতো বিকল্প স্পেকট্রাম ব্যান্ডগুলিও বরাদ্দ করা যেতে পারে। এদিকে, রেল বলছে, যাত্রীদের নিরাপত্তার কারণেই এনসিআরটিসির সঙ্গে স্পেকট্রাম ভাগ করে নেওয়া সম্ভব নয়।