Lighter Ban: ধূমপায়ীদের জন্য বড় খবর, পকেটে থাকা লাইটার আর ব্যবহার করতে পারবেন না! কেন জানুন
Cigarette Lighter: পকেট লাইটার, গ্যাস ভরা লাইটার, রিফিলেবল লা নন-রিফিলেবল লাইটারের আমদানির উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ২০ টাকার নীচের কোনও লাইটার আমদানি করা যাবে না আর।
নয়া দিল্লি: সারাদিন সুখটান দেন? তবে আপনার জন্য রয়েছে বড় খবর। পকেটে যদি ১০ বা ২০ টাকার লাইটার থাকে, তবে দুঃখের খবর। সরকারের তরফে নিষিদ্ধ করে দেওয়া হল ২০ টাকার কম দামি লাইটারের আমদানি। ডিরেক্টর জেনারেল অব ফরেন ট্রেডের তরফে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এবার থেকে আর ২০ টাকার থেকে কম দামি কোনও লাইটার আমদানি করা যাবে না। তবে যদি লাইটারের মূল্য, বিমা ও ফ্রেইট চার্জ ২০ টাকার বেশি হয়, তবে আমদানির উপরে কোনও শুল্ক লাগবে না। বিনামূল্যেই লাইটার আমদানি করা যাবে।
কেন্দ্রের তরফে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, পকেট লাইটার, গ্যাস ভরা লাইটার, রিফিলেবল লা নন-রিফিলেবল লাইটারের আমদানির উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ২০ টাকার নীচের কোনও লাইটার আমদানি করা যাবে না আর। আগে এই লাইটারগুলি ‘নিঃশুল্ক’ বিভাগে ছিল। কেন্দ্রের তরফে তা ‘নিষিদ্ধ’ বিভাগে আনা হয়েছে।
কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে দেশে আমদানি করা পকেট লাইটার, গ্যাস ভরা লাইটার, নন-রিফিলেবল লাইটারের মূল্য ছিল ০.৬৬ মিলিয়ন ডলার। এই বছরের এপ্রিল মাসে ০.১৩ মিলিয়ন ডলারের লাইটার আমদানি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন কেন্দ্রের কাছে চিঠি লিখে সিঙ্গল ইউজ প্লাস্টিক লাইটারের ব্যবহারের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করার আবেদন জানানো হয়। তবে তাঁর এই আবেদনের পিছনে ছিল অন্য কারণ। তিনি দেশলাই শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য এই আবেদন করেছিলেন। প্রসঙ্গত, দক্ষিণ ভারতের একটা বড় অংশের মানুষের পেশা দেশলাই উৎপাদন। মূলত তামিলনাড়ুর মহিলারাই দেশলাই কারখানায় কাজ তকেন।
কেন্দ্রের তরফে চলতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবার ২০ টাকার কম দামি লাইটারের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারির পরই তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গয়ালকে ধন্যবাদ জানান।