Flipkart Scam: দিওয়ালি সেলে অর্ডার করেছিলেন গেমিং ল্যাপটপ, বাক্স খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ! এ কী এল পার্সেলে…
Diwali Sale Scam: চিন্ময় রামানা নামক ওই ব্যক্তি ফ্লিপকার্ট প্লাস গ্রাহক। দিওয়ালির সেলে, গত ১৫ অক্টোবর তিনি আসুস সংস্থার একটি গেমিং ল্যাপটপ অর্ডার করেছিলেন। গত ২০ অক্টোবর সেই বাক্স আসে। ওই ব্য়ক্তি অভিযোগ করেন, বাক্স খুলতেই তিনি দেখতে পান, ভিতরে কোনও ল্যাপটপ নেই।
নয়া দিল্লি: উৎসবের মরশুমে ব্যাপক ছাড় দিয়েছে অনলাইন বিপণনী সংস্থাগুলি। বিগ বিলিয়ন ডে, দিওয়ালি সেলে কম দামে জিনিস বিক্রি হওয়ায়, তা দেদার অর্ডার করেছেন সাধারণ মানুষ। কিন্তু সেল মিটতেই যখন অর্ডার করা জিনিসপত্র হাতে এসে পৌঁছনো শুরু করেছে, তখনই হতবাক হচ্ছেন গ্রাহকরা। দেখছেন অর্ডার করেছিলেন এক জিনিস, বাক্স খুলতেই দেখছেন ভিতরে রয়েছে অন্য জিনিস। এমনই প্রতারণার শিকার হলেন মেঙ্গালুরুর এক গ্রাহক। ফ্লিপকার্টের বিগ দিওয়ালি সেলে ওই ব্যক্তি অর্ডার করেছিলেন একটি গেমিং ল্যাপটপ। কিন্তু বাড়িতে যখন সেই পার্সেল এসে পৌঁছল, দেখতে পেলেন তাতে ল্য়াপটপ নয়, ভরা রয়েছে একটি পাথর ও কিছু ই-ওয়েস্ট। ফ্লিপকার্ট সংস্থায় অভিযোগ জানাতেই ওই ব্যক্তি সম্পূর্ণ টাকা রিফান্ড পেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
চিন্ময় রামানা নামক ওই ব্যক্তি ফ্লিপকার্ট প্লাস গ্রাহক। দিওয়ালির সেলে, গত ১৫ অক্টোবর তিনি আসুস সংস্থার একটি গেমিং ল্যাপটপ অর্ডার করেছিলেন। গত ২০ অক্টোবর সেই বাক্স আসে। ওই ব্য়ক্তি অভিযোগ করেন, বাক্স খুলতেই তিনি দেখতে পান, ভিতরে কোনও ল্যাপটপ নেই। বরং পাথর ও কিছু আবর্জনা ভরা। সঙ্গে সঙ্গে তিনি পার্সেলের একাধিক ছবি তোলেন এবং প্রমাণ সমেত ফ্লিপকার্টে অভিযোগ জানান।
উল্লেখ্য, সাধারণত ইলেকট্রনিক পণ্য কেনার ক্ষেত্রে ই-কমার্স সাইটগুলি ওপেন বক্স ডেলিভারির অপশন দেয়। এক্ষেত্রে গ্রাহক পার্সেল গ্রহণ করার সময়ই বাক্স খুলে দেখে নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয় যে ঠিকঠাক পণ্য এসেছে কি না। যদি পণ্য সঠিক আসে, তবেই তিনি ডেলিভারি এজেন্টকে ওটিপি দেবেন। সঠিক পণ্য না এলে, তিনি সঙ্গে সঙ্গে পণ্যটি ফেরত দিতে পারেন। তবে চিন্ময় যখন ল্য়াপটপটি অর্ডার করেছিলেন, তখন অপেন বক্স ডেলিভারির অপশন না থাকায়, এমনিই তিনি সেই পার্সেল গ্রহণ করেন। ফ্লিপকার্টে অভিযোগ জানানোর পর প্রথমে ভেন্ডর সেই রিফান্ড অপশন ক্যানসেল করে দেন। ভেন্ডরের তরফে যুক্তি দেওয়া হয়, বাক্সে করে যেহেতু ল্য়াপটপ পাঠানো হয়েছিল, তাই কোনওভাবে রিফান্ড বা রিটার্ন হবে না। পরে ফ্লিপকার্টের কাছে এই বিষয়ে অভিযোগ জানানো হলে, সংস্থার তরফে ল্যাপটপের সম্পূর্ণ টাকা ফেরত দিয়ে দেওয়া হয়। ওই ব্যক্তি অভিযোগ করেন, যে বাক্সে পাথর এসেছিল, তাতে বারকোডের অংশটি ছেঁড়া ও ইনফরমেশন লেবেল তোলা ছিল।