Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

BYJU: বাধ্য করা হচ্ছে একসঙ্গে ১৭০ কর্মীকে ইস্তফা দিতে! BYJU সংস্থার বিরুদ্ধে আদালতে গেলেন কর্মীরা

BYJU Employees: কর্মীদের দাবি, অক্টোবর মাসের বেতন যেন ১ নভেম্বরের মধ্যে দিয়ে দেওয়া হয়। এছাড়া কাজ ছাড়ার সময় তিন মাসের বেতনের এককালীন সেটেলমেন্ট, অব্যবহৃত ছুটির বদলে টাকা (আনর্ড লিভ এনক্যাশমেন্ট) ও ভেরিয়েবল পে সম্পূর্ণ মিটিয়ে দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। 

BYJU: বাধ্য করা হচ্ছে একসঙ্গে ১৭০ কর্মীকে ইস্তফা দিতে! BYJU সংস্থার বিরুদ্ধে আদালতে গেলেন কর্মীরা
একাধিক সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, এড-টেক সংস্থা বাইজুস (Byju's) নিজেদের রিফান্ড পলিসিতে কিছু পরিবর্তন এনেছে। এই মর্মে কোনও পড়ুয়াদের কোর্স অফার করার আগে তাদের বাবা-মাকে নিজেদের সন্তানের পড়াশোনার খরচ বহন করার ক্ষমতা প্রমাণ করতে হবে।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 27, 2022 | 8:35 AM

নয়া দিল্লি: কখনও সংস্থার উন্নতি, কখনও আবার খরচ কমানোর প্রচেষ্টা, একের পর এক যুক্তি দিয়ে ছাঁটাই করা হচ্ছে কর্মী। এমন যুক্তি দেখিয়ে কর্মী ছাঁটাইয়ের বিরোধিতা করেই এবার আদালতের দ্বারস্থ হল বাইজুস সংস্থার কর্মীরা। মঙ্গলবার এডুটেক সংস্থা বাইজুসের বিরুদ্ধেই কেরলের আদালতে গেলেন সংস্থার কর্মীরা। তিরুবনন্তপুরমে বাইজুস সংস্থার যে শাখা রয়েছে, তার কর্মীরাই আদালতে অভিযোগ জানিয়েছেন যে ১৭০ জন কর্মীকে জোর করে কাজ থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য করা হয়েছে।

করোনাকালে অনলাইন এডুকেশন অ্যাপ্লিকেশন বাইজুস ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। কিন্তু গত বছরের শেষ ভাগ থেকে ক্ষতির মুখে পড়ে ইউনিকর্ন সংস্থাটি। বড় কোনও বিনিয়োগ না পাওয়ায় এবং সাবস্ক্রিপশনও তুলনামূলকভাবে কম হওয়ায়, সংস্থাগুলি আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে বলেই জানা গিয়েছে। মালিকানা বদলকেও সংস্থার আর্থিক ক্ষতির কারণ হিসাবে মনে করছেন অনেক কর্মীরা। আর এই আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েই কর্মী ছাঁটাই শুরু করে বাইজুস সংস্থা। এর আগে দুই দফায় কয়েক হাজার কর্মী ছাঁটাই করেছে বাইজুস। এবার কেরলের ১৭০ জন কর্মীকে জোর করে ইস্তফা দিতে বাধ্য করাতেই, মামলা দায়ের হল আদালতে।

আদালতে মামলা দায়ের হতেই তথ্য প্রযুক্তি সংস্থায় কর্মরতদের কমিউনিটি পোর্টাল টেকনোপার্ক টুডে-র তরফে আইটি ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন ‘প্রতিধ্বনি’তে তুলে ধরা হয়। একইসঙ্গে কেরলের শ্রম মন্ত্রী সি শিবানকুট্টির কাছেও অভিযোগ জানানো হয়েছে। প্রতিধ্বনি’র সদস্যরা মঙ্গলবারই রাজ্যের মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন বলে জানা গিয়েছে।

‘প্রতিধ্বনি’-র তরফে মন্ত্রীর কাছে দাবি জানানো হয়েছে, বাইজুস যাতে কর্মীদের ইস্তফা দিতে বাধ্য না করায়, তা নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি সংস্থার এক্সিট পলিসি অর্থাৎ কর্মীদের ইস্তফার নীতিও পুনর্বিবেচনা করে দেখার অনুরোধ করা হয়েছে। কর্মীদের দাবি, অক্টোবর মাসের বেতন যেন ১ নভেম্বরের মধ্যে দিয়ে দেওয়া হয়। এছাড়া কাজ ছাড়ার সময় তিন মাসের বেতনের এককালীন সেটেলমেন্ট, অব্যবহৃত ছুটির বদলে টাকা (আনর্ড লিভ এনক্যাশমেন্ট) ও ভেরিয়েবল পে সম্পূর্ণ মিটিয়ে দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।

তিরুবনন্তপুরমের বাইজুস সংস্থার কর্মীদের দাবি, সংস্থা এখান থেকে পাততাড়ি গোটাতে চাইছে। সেই কারণেই সংস্থার ১৭০ জন কর্মীকে জোর করে ইস্তফা দিতে বলা হয়েছে। রাজ্যের মন্ত্রী শিবানকুট্টি একটি ফেসবুক পোস্টে বলেন, “তিরুবনন্তপুরমের বাইজুস অ্যাপের কর্মীরা আমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। চাকরি খোয়ানো সহ একাধিক অভিযোগ জানিয়েছেন তারা। শ্রম দফতর এই বিষয়টি তদন্ত করে দেখবে।”

উল্লেখ্য, গত ২০২০-২১ অর্থবর্ষে বাইজুসের ৪৫০০ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছিল। সম্প্রতিই তারা জানিয়েছিলেন, খরচ কমাতে ২৫০০ কর্মী ছাঁটাই করা হবে ২০২৩ সালের মার্চ মাসের মধ্যে।