১৪ বছর পর বাড়তে চলেছে দেশলাইয়ের দাম, এক ঝটকায় হল দ্বিগুন
দেশলাইয়ের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত অল ইন্ডিয়া চেম্বার অফ ম্যাচবক্সের তরফে নেওয়া হয়েছে। এই ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে যুক্ত মানুষদের বক্তব্য কাঁচা মালের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশলাইয়ের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাদের কথায় একটি দেশলাই বানানোর জন্য আলাদা আলাদা ১৪ রকমের কাঁচা মাল লাগে। এদের মধ্যে এমন বেশকিছু জিনিস রয়েছে যাদের দাম দ্বিগুন হয়ে গিয়েছে।
কলকাতা: মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব চারদিকে দেখা যাচ্ছে। ১৪ বছর পর বাড়ল দেশলাইয়ের দাম। ১টাকার দেশলাই এবার থেকে মিলবে ২ টাকায়। দেশলাই প্রস্তুতকার কোম্পানির প্রতিনিধিরা এক যোগে মিলে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। প্রসঙ্গত এর আগে ২০০৭ এ দাম বেড়েছিল দেশলাইয়ের। সেই সময় ৫০ পয়সা থেকে বেড়ে দাম হয়েছিল ১ টাকা। জানা গিয়েছে এই নতুন দাম ১ ডিসেম্বর থেকে চালু হবে।
দেশলাইয়ের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত অল ইন্ডিয়া চেম্বার অফ ম্যাচবক্সের তরফে নেওয়া হয়েছে। এই ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে যুক্ত মানুষদের বক্তব্য কাঁচা মালের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশলাইয়ের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাদের কথায় একটি দেশলাই বানানোর জন্য আলাদা আলাদা ১৪ রকমের কাঁচা মাল লাগে। এদের মধ্যে এমন বেশকিছু জিনিস রয়েছে যাদের দাম দ্বিগুন হয়ে গিয়েছে।
দ্বিগুনের বেশি বেড়েছে দাম
রেড ফসফরাসের দাম ৪২৫ টাকা থেকে বেড়ে ৮১০ টাকা হয়ে গিয়েছে। আউটার বক্স বোর্ডের দাম ৩৬ টাকা থেকে বেড়ে ৫৫ টাকা হয়ে গিয়েছে। ইনার বক্স বোর্ডের দাম ৩২ টাকা থেকে বেড়ে ৫৮ টাকা হয়ে গিয়েছে। এছাড়া পেপার, স্প্লিন্ট, পটাশিয়াম ক্লোরাইট, সালফারের মতো পদার্থের দামও অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহে বেড়েছে। এই সমস্ত জিনিসের জাম বাড়ার কারণে দেশলাইয়ের দামও বাড়ানো হচ্ছে।
প্রতি বান্ডিলের দামে ৬০ শতাংশ বৃদ্ধি
ন্যাশনাল স্মল ম্যাচবক্স ম্যানুফ্যাকচার অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি ভিএস সেতুরথিনম টাইমস অব ইন্ডিয়ার সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে জানিয়েছেন, দেশলাই প্রস্তুতকারকেরা এই মুহূর্তে ৬০০ দেশলাইয়ের বান্ডিল ২৭০-৩০০ টাকায় বিক্রি করছেন। প্রত্যেকটি দেশলাইয়ে ৫০টি করে কাঠি থাকে। আমরা দাম ৬০ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এখন আমরা ৪৩০-৪৮০ টাকায় প্রতি বান্ডিল দেশলাই বিক্রি করব। এর মধ্যে ১২ শতাংশ জিএসটি এব ট্রান্সপোর্টেশন কস্ট আলাদা।
পাওয়া যাচ্ছে কম মজুরি
তামিলনাড়ুতে দেশলাইয়ের ব্যবসায় চার লাখ মানুষ প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে যুক্ত রয়েছেন। সরাসরি যুক্ত মানুষের মধ্যে ৯০ শতাংশ মহিলা। এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত মানুষদের বক্তব্য, যখন আমরা কাজের মানুষদের বেশি টাকা দেব তো তাদের জীবনও উন্নত হবে। এখানে কম টাকা পাওয়ার কারণে এই কর্মীরা এখন মনরেগা যোজনায় কাজ করার জন্য বেশি আগ্রহী। সেখানে তারা অনেক বেশি টাকা পাবেন।
আরও পড়ুন: Pm Modi: ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারকদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী