Basudeo Singh: ৫ লক্ষ দিয়ে শুরু করে কয়েক হাজার কোটির সম্পত্তি, বাসুদেওর সম্পত্তি তাক লাগাবে
ফোর্বসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বাসুদেও জানিয়েছিলেন, নতুন সংস্থা খোলার জন্য মাত্র ৫ লক্ষ টাকা নিয়ে মুম্বইয়ে গিয়েছিলেন তিনি। সংস্থা খোলার জন্য প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র পাওয়ার পর ১৯৭৩ সালে নিজের সংস্থা তৈরি করেন। সেই সংস্থার নাম দেন অ্যালকেম ল্যাবরেটরিজ।
নয়াদিল্লি: বিশ্বের বিভিন্ন সফল মানুষেরদের ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যাবে, জীবনের কোনও না কোনও সময় তাঁরা বড় ঝুঁকি নিয়েছেন। সেই ঝুঁকি বদলে দিয়েছে তাঁদের জীবনের গতিপথ। এ রকমই এক সফল ব্যবসায়ীর কথা আমরা জানাব। যিনি নিজের যাত্রা শুরু করেছিলেন মাত্র ৫ লক্ষ টাকা দিয়ে। এখন তাঁর সংস্থার মূল্য কয়েক হাজার কোটি টাকা।
ওষুধ শিল্পের এক জনপ্রিয় নাম বাসুদেও সিং। তিনি অ্যালকেম ল্যাবরেটরিজের এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান। বাসুদেও আদতে বিহারের বাসিন্দা। রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর পাশ করেন তিনি। তার পর প্রফেসর হিসাবে কাজ করেছেন। কম বয়স থেকেই শিল্পপতি হওয়ার ইচ্ছা ছিল তাঁর। কিন্তু চাইলেই তো আর রাতারাতি শিল্পপতি হওয়া যায় না। তুতো ভাইয়ের সহযোগিতায় ফার্মা ডিসট্রিবিউশনের ব্যবসা খোলেন তিনি। সেই ব্যবসায় সাফল্য আসে। এর পর নিজের ওষুধ তৈরির কারখানা তৈরির সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
ফোর্বসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বাসুদেও জানিয়েছিলেন, নতুন সংস্থা খোলার জন্য মাত্র ৫ লক্ষ টাকা নিয়ে মুম্বইয়ে গিয়েছিলেন তিনি। সংস্থা খোলার জন্য প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র পাওয়ার পর ১৯৭৩ সালে নিজের সংস্থা তৈরি করেন। সেই সংস্থার নাম দেন অ্যালকেম ল্যাবরেটরিজ। কিন্তু নতুন সংস্থা খোলার পর নিজেদের ডিসট্রিবিউশন ব্যবসা বন্ধ করেননি তিনি। ১৯৮৪ সালের মধ্যে বাসুদেওর তৈরি সংস্থা ১০ কোটির রেভিনিউ তৈরি করতে সক্ষম হয়।
তবে অ্যালকেমের নাম গোটা ভারতে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে ওঠে একটি ওষুধ বাজারে আনার পর। ট্যাক্সিম নামের একটি ওষুধ ব্যাক্টেরিয়াজনিত সংক্রমণ কমাতে ব্যবহৃত হয়। এই ওষুধ বদলে দেয় অ্যালকেমের ভবিষ্যত। এই ওষুধে ভর করেই ১০০ কোটির সীমা পার করে অ্যালকেম। ২০০৮ সালে অ্যালকেমের রেভিনিউর পরিমাণ দাঁড়ায় ১০০০ কোটি টাকা। ২০১৯ সালে তা ১০০ কোটি ডলারের সীমা পার করে। যা ভারতীয় মুদ্রায় ৮ হাজার ৩৩৭ কোটি টাকা।