Poor vs Rich: বড়লোকদের জন্য কড়াকড়ি হতে পারে কর ব্যবস্থায়, দেশে ধনী-গরিবের ফারাক মেটাতে চায় মোদী সরকার

Tax System: নরেন্দ্র মোদী যদি তৃতীয় বারের জন্য ক্ষমতায় আসেন, সেক্ষেত্রে দেশের মধ্যে আয়ের ক্ষেত্রে বৈষম্য দূর করার জন্য কাজ করতে পারেন তিনি, সংবাদ সংস্থা সূত্রে এমনই জানা যাচ্ছে। সূত্রের খবর, ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্সের ব্যবস্থাকে আরও সঠিকভাবে কাজে লাগাতে তৎপর হতে পারে মোদী সরকার।

Poor vs Rich: বড়লোকদের জন্য কড়াকড়ি হতে পারে কর ব্যবস্থায়, দেশে ধনী-গরিবের ফারাক মেটাতে চায় মোদী সরকার
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 19, 2023 | 6:30 AM

নয়া দিল্লি: দেশের কাছে এখন অন্যতম একটি বড় চ্যালেঞ্জ হল ধনী ও দরিদ্রের মধ্যে ব্যবধান কমানো। বিশেষ করে করোনা অতিমারির সময়ে লকডাউনে, বহু মানুষ কাজ হারিয়েছেন। আর এই পরিস্থিতিতে ধনী ও দরিদ্রের মধ্যে ব্যবধান কমানো সরকারের কাছে সত্যিই চ্যালেঞ্জের কাজ। কোভিড পরবর্তী সময়ে প্রায় আড়াই বছর ধরে মোদী সরকার প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনা চালিয়ে গিয়েছে। এখনও সেটি আংশিকভাবে চালানো হচ্ছে। ধনী ও দরিদ্রের মধ্যে ব্যবধান কমানোর জন্য সবসময় চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু বড় পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হল দেশের প্রত্যক্ষ কর বা আয়কর ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আনার ভাবনা। সেই কারণেই নতুন কর ব্যবস্থা নিয়ে আসা হয়েছে দেশে। কেন্দ্রের এমন পদক্ষেপগুলি দেখে অনেক অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞই মনে করেন, কোনও না কোনওভাবে মোদী সরকার দেশের ধনী ও দরিদ্রের মধ্যে ব্যবধান কমিয়ে আনার চেষ্টা করছে। এখন দেখার আগামী দিনে এই পদক্ষেপ কতটা ফলপ্রসূ হয়।

সামনের বছরেই দেশে লোকসভা ভোট। ফলে এবার আর পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ হবে না। এমন অবস্থায় সরকার চাইলে বড় কোনও বদল এড়িয়ে যেতেই পারে। কিন্তু নরেন্দ্র মোদী যদি তৃতীয় বারের জন্য ক্ষমতায় আসেন, সেক্ষেত্রে দেশের মধ্যে আয়ের ক্ষেত্রে বৈষম্য দূর করার জন্য কাজ করতে পারেন তিনি, সংবাদ সংস্থা সূত্রে এমনই জানা যাচ্ছে। সূত্রের খবর, ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্সের ব্যবস্থাকে আরও সঠিকভাবে কাজে লাগাতে তৎপর হতে পারে মোদী সরকার। বর্তমানে দেশে আয়ের উপর ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কর রয়েছে। অন্যদিকে ইক্যুইটি ফান্ড বা শেয়ারের মতো অ্যাসেটের ক্ষেত্রে খুব কম হারে কর দেওয়া হয়। অর্থাৎ, এখানে একটি বৈষম্য রয়েছে বলেই মনে করছেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

সূত্র মারফত জনা যাচ্ছে, ২০১৯ সাল থেকেই এই ক্ষেত্রে বদল আনার চিন্তাভাবনা করছে কেন্দ্র। সেই সময়ে অর্থমন্ত্রকের এক বৈঠকে আলোচনা হয়েছিল একটি কমিটি গঠনের বিষয়ে। যে কমিটি দেশের করের নিয়মে বদলের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেবে এবং সেটি ২০২৪ সালের মধ্যে কার্যকর করার ভাবনা রয়েছে কেন্দ্রে। যদিও এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। ET-তে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই বিষয়ে প্রশ্নে অর্থমন্ত্রকের মুখপাত্র কোনও জবাব দেননি।

তবে প্রাইস ওয়াটারহাউজ় অ্যান্ড কোম্পানির পার্টনার রাহুল গর্গ জানাচ্ছেন, ক্যাপিটাল গেইন সংক্রান্ত দিকগুলি আরও সহজ করার প্রয়োজন রয়েছে। এতে সব পক্ষেরই লাভ হবে।

ইনডিরেক্ট কর ব্যবস্থার উপর নির্ভরশীলতা হল দারিদ্রের একটি অন্যতম বড় কারণ। দেশের রাজস্বের একটি বড় অংশ আসে ইনডিরেক্ট কর থেকে। অনেক অর্থনীতিবিদই মনে করেন জিএসটি, ভ্যাট এবং কাস্টম ডিউটির মতো করের উপর নির্ভরশীলতা দেশের জন্য খুব একটা ভাল নয়। দেশের দারিদ্রের সমস্যার একটি অন্যতম কারণ এই ইনডিরেক্ট কর বলেই মনে করেন তাঁরা। অক্সফামের একটি রিপোর্ট বলছে, দেশের মোট সম্পত্তির ৭৭ শতাংশই রয়েছেন দেশের ১০ শতাংশের হাতে। আর সরকারি হিসেব দেখাচ্ছে দেশে মাত্র ৬ শতাংশ মানুষই আয়কর দেন।