Mukesh Ambani: ঘানায় মুকেশ অম্বানির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ, কীভাবে পেলেন ৫জি চুক্তি?
Mukesh Ambani Ghana: আফ্রিকার দেশ ঘানায় ৫জি ওয়্যারলেস পরিষেবা স্থাপনের পেয়েছেন তিনি। কিন্তু ঘানার বিরোধী দল, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক কংগ্রেস, এই নিয়ে আপত্তি তুলেছে। সেই দেশের সরকার তাদের সুবিধা অনুযায়ী এই চুক্তি করেছে বলে অভিযোগ তাদের।
নয়া দিল্লি: সম্প্রতি এশিয়ার ধনীতম ব্যক্তির তকমা খুইয়েছেন মুকেশ অম্বানি। তাঁকে ছাপিয়ে গিয়েছেন গৌতম আদানি। এরই মধ্যে বড় সমস্যায় পড়লেন মুকেশ। আফ্রিকার দেশ ঘানায় ৫জি ওয়্যারলেস পরিষেবা স্থাপনের পেয়েছেন তিনি। কিন্তু ঘানার বিরোধী দল, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক কংগ্রেস, এই নিয়ে আপত্তি তুলেছে। সেই দেশের সরকার তাদের সুবিধা অনুযায়ী এই চুক্তি করেছে বলে অভিযোগ তাদের। সোমবার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক কংগ্রেস বলেছে, এমনিতেই তাদের দেশ ঋণের দায়ে ডুবে আছে। তাদের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের তহবিল প্রয়োজন। কিন্তু, দেশের সরকার ৫জি নেটওয়ার্ক চালুর জন্য মুকেশ অম্বানির সঙ্গে চুক্তি করছে। এই চুক্তি ঘানার জন্য অত্যন্ত খারাপ বলে দাবি করেছে তারা।
ঘানার বিরোধী দল আরও জানিয়েছে, সরকার যদি আনুষ্ঠানিক নিলাম প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এই চুক্তি করত, তাহলে তাদের দেশের ৪০ থেকে ৫০ কোটি ডলার আয় হত। কিন্তু তার পরিবর্তে, ১২ কোটি ৫০ লক্ষ ডলারে ঘানা সরকার এই চুক্তি করেছে ‘নেক্সট জেন ইনফ্রাকো’ নামে এক সংস্থার সঙ্গে। চুক্তি অনুযায়ী, এই অর্থ তারা ১০ বছর ধরে বার্ষিক কিস্তিতে দেবে। বিরোধী দলের আরও অভিযোগ, তাদের দেশের এই মুহূর্তে বৈদেশিক মুদ্রা এবং কর-বহির্ভূত রাজস্বের অত্যন্ত প্রয়োজন। ৫জি স্পেকট্রাম স্থাপন করার চুক্তি তাদের দেশের পক্ষে অত্যন্ত মূল্যবান। অনেক সংস্থাই এই চুক্তি করতে আগ্রহী হত। কিন্তু, ঘানার সরকার সামান্য কিছু অর্থের বিনিময়ে, ‘নেক্সট জেন ইনফ্রাকো’ নামে ভুয়ো সংস্থাটিকে এই চুক্তির বরাত দিয়েছে।
এই চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, ‘নেক্সট জেন ইনফ্রাকো’-র সঙ্গে যৌথ উদ্যেগে, ঘানায় ৫জি নেটওয়ার্কের পরিকাঠামো, অ্যাপ্লিকেশন এবং স্মার্টফোন সরবরাহ করবে অম্বানীর ‘রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডে’র শাখা সংস্থা ‘রেডিসিস কর্প’। এর ফলে, আগামী এক দশকের জন্য ঘানার ৫জি লাইসেন্সের উপর একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ পেয়েছে ‘নেক্সট জেন ইনফ্রাকো’ এবং তার অংশীদাররা। অম্বানির সংস্থা ছাড়াও, তাদের অংশীদারদের মধ্যে আছে নোকিয়া, টেক মাহিন্দ্রা লিমিটেড এবং মাইক্রোসফ্ট কর্পোরেশন। এছাড়া রয়েছে, দুটি স্বল্প পরিচিত আফ্রিকান টেলিকম সংস্থা – অ্যাসেন্ড ডিজিটাল সলিউশন লিমিটেড এবং কে-নেট।