Sensex Fall: এক দিনে ৩১ লক্ষ কোটি টাকার ক্ষতি! সেনসেক্সে রেকর্ড অস্থিরতা
Lok Sabha Election 2024 Results: শেয়ার কেনার জন্য লগ্নিকারীদের বার বার আহ্বান করতে দেখা গিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মুখেরও শোনা গিয়েছে একই কথা। এত কিছু সত্ত্বেও শেয়ার বাজারের এই পতন দেখে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ভোটের ফল নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল বলেই বাজারের পরিস্থিতি অস্থির হয়েছে।
৪ জুন লোকসভা ভোটের ফল প্রকাশ হতেই যেমন বিজেপি-র পতনের ছবি সামনে এসেছে। তেমনই হু হু করে নেমেছে সেনসেক্স। ভোটগণনার বেলা যত গড়িয়েছে ততই শেয়ার বাজার ধসেছে। যদি এক্সিট পোলের ফল সামনে আসার পর সোমবার বেশ চাঙ্গা হয়েছিল বাজার। কিন্তু এক দিন পরই তা পড়েছে মুখ থুবড়ে।
শেয়ার কেনার জন্য লগ্নিকারীদের বার বার আহ্বান করতে দেখা গিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মুখেরও শোনা গিয়েছে একই কথা। এত কিছু সত্ত্বেও শেয়ার বাজারের এই পতন দেখে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ভোটের ফল নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল বলেই বাজারের পরিস্থিতি অস্থির হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিজেপি-র একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়া বাজারে অস্থিরতা তৈরি হওয়ার অন্যতম কারণ। একার ক্ষমতায় বিজেপি সরকার গড়তে পারবে না। এনডিএ-র শরিক দলের উপর নির্ভর করতে হবে তাদের। সে ক্ষেত্রে সংস্কারের কাজ আটকে যেতে পারে বলেও আতঙ্কিত লগ্নিকারীরা।
ভারতের বাজারে গত চার বছরে এত বড় ধস নামেনি। ৩১ লক্ষ কোটি টাকার শেয়ার সম্পদ হারিয়েছেন লগ্নিকারীরা। তবে এই ক্ষতির পিছনে বিজেপির শীর্ষনেতৃত্বের দিকে যেমন একাংশ আঙুল তুলছেন, তেমনই বুথ ফেরত সমীক্ষা সংস্থাগুলিকেও কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে। ২০০৪ সাল থেকে নির্বাচনী ফল প্রকাশের দিন যদি সেনসেক্সের অবস্থা তুলনা করা হয়, তাহলে দেখা যাবে সবথেকে খারাপ অবস্থা হয়েছে ২০২৪ সালে। ২০০৪, ২০০৯ এবং ২০১৪ সালে ভোটের ফল প্রকাশের পর সেনসেক্সের সূচকে বৃদ্ধি হয়েছিল। ২০১৯ সালে পতন হয়েছিল মাত্র ২৯৮.৮২ পয়েন্ট। ২০২৪ সালে সেই পতন হল ৪৩৮৯.৭৩ পয়েন্ট।