AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Plastic notes: ভারতে কি এবার ছাপা হবে প্লাস্টিকের নোট?

Plastic notes: অনেক দেশেই নোট তৈরি করতে ব্যবহার করা হচ্ছে প্লাস্টিক। এমনকি প্রতিবেশি বাংলাদেশেও প্লাস্টিকের তৈরি নোট রয়েছে। সকলেই জানেন, প্লাস্টক এমন এক উপাদান, যা সহজে নষ্ট হয় না। বস্তুত, সহজে প্রকৃতির সঙ্গে মিশে যায় না বলেই, দূষণ প্রতিরোধে বিশ্বব্যাপী প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। প্লাস্টিকের এই দোষ বা গুণই মুদ্রা নোটের স্থায়িত্ব বাড়াতে সহায়ক হয়।

Plastic notes: ভারতে কি এবার ছাপা হবে প্লাস্টিকের নোট?
ভারতীয় মুদ্রা নোটImage Credit: Twitter
| Updated on: Feb 08, 2024 | 3:53 PM
Share

নয়া দিল্লি: ভারতে কাগজেই ছাপা হয় মুদ্রানোট। তবে, অতি ব্যবহারে অল্প দিনের মধ্য়েই নোটগুলি নষ্ট হয়ে যায়। এই কারণে অনেক দেশেই নোট তৈরি করতে ব্যবহার করা হচ্ছে প্লাস্টিক। অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, কানাডা, ব্রিটেন, ভিয়েতনামের মতো দেশে প্লাস্টিকের তৈরি নোট রয়েছে। সকলেই জানেন, প্লাস্টক এমন এক উপাদান, যা সহজে নষ্ট হয় না। বস্তুত, সহজে প্রকৃতির সঙ্গে মিশে যায় না বলেই, দূষণ প্রতিরোধে বিশ্বব্যাপী প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। প্লাস্টিকের এই দোষ বা গুণই মুদ্রা নোটের স্থায়িত্ব বাড়াতে সহায়ক হয়। এবার কি ভারতেও দেখা যাবে প্লাস্টিকে তৈরি মুদ্রা নোট?

মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) এই সম্ভাবনা পুরোপুরি নাকচ করে দিয়েছেন অর্থ দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধরী। রাজ্যসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে এক লিখিত উত্তরে তিনি বলেছেন, প্লাস্টিকের নোট চালু করার বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি সরকার। ভারতীয় মুদ্রানোটগুলির স্থায়িত্ব বাড়ানো এবং নোট জাল প্রতিরোধ করার লক্ষ্য়ে নোটে সুরক্ষা ব্যবস্থা বৃদ্ধির প্রচেষ্টা একটি চলমান প্রক্রিয়া বলে জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু এখনও প্লাস্টিকের নোট ছাপার সিন্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

তিনি আরও জানিয়েছেন, রিজর্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের বার্ষিক রিপোর্ট অনুযায়ী, এই বছর নোট ছাপার পিছনে মোট খরচ হয়েছে ৪,৬৮২.৮০ কোটি টাকা। এর মধ্যে প্লাস্টিকের নোট ছাপানোর জন্য কোনও খরচ করা হয়নি। পঙ্কজ চৌধরী বলেছেন, “১৯৩৪ সালের ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক আইনের ২৫ নম্বর ধারা অনুযায়ী সরকার প্লাস্টিকের নোট চালু করার কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। ভারতীয় নোটের স্থায়িত্ব এবং জাল প্রতিরোধ বৃদ্ধির প্রচেষ্টা একটি চলমান প্রক্রিয়া।”

অন্য এক প্রশ্নের উত্তরে, পঙ্কজ চৌধরী জানিয়েছেন, ক্রিপ্টো সম্পদ-সহ যেকোনও ধরনের সম্পদ ব্যবহার করে অবৈধ পণ্যের ব্যবসা করা অপরাধ। এর জন্য শাস্তির বিধানও রয়েছে। বেআইনি অর্থ পাচার প্রতিরোধ আইনের আওতায়, অ্যান্টি-মানি লন্ডারিং বা কাউন্টার ফাইন্যান্সিং অফ টেররিজমের যে বিধানগুলি রয়েছে, তাতেই এই শাস্তির কথা বলা আছে।