Medinipur: সিজার হয়, সুস্থ কন্যাসন্তানের জন্ম দেন নাসরিন, তারপরও দ্বিতীয়বার অপারেশন! কেন? এখন ২০ শতাংশ আশার আলো দেখাচ্ছেন চিকিৎসকরা

Medinipur: বেডে নাসরিনের কাছে মেয়েকে দিলেও নাসরিনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। বন্ধ হয়ে যায় প্রস্রাব, তাঁকে স্থানাতরিত করা হয় আইসিইউতে। বৃহস্পতিবার বিকালে দ্বিতীয়বার অপারেশন হয়।

Medinipur: সিজার হয়, সুস্থ কন্যাসন্তানের জন্ম দেন নাসরিন, তারপরও দ্বিতীয়বার অপারেশন! কেন? এখন ২০ শতাংশ আশার আলো দেখাচ্ছেন চিকিৎসকরা
নাসরিন খাতুনImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 12, 2025 | 2:07 PM

মেদিনীপুর:  এক প্রসূতির মৃত্যু! তাতে উঠছে স্যালাইন বিভ্রাটের অভিযোগ! নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা শহর। এখনও আশঙ্কাজনক অবস্থায় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি তিন জন। তাঁদের মধ্যে ২ জন ভেন্টিলেশনে ভর্তি। তাঁদের মধ্যে সবথেকে কম বয়স ১৯ বছরের নাসরিন খাতুন। ৭২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও  এখনও পর্যন্ত সঙ্কট কাটেনি। পরিবারের দাবি, ২০ শতাংশ আশার আলো দেখাচ্ছেন চিকিৎসকরা। চিকিৎসকরাও তেমন কিছু জোর দিতে বলতে ভয় পাচ্ছেন। ভেঙে পড়েছেন নাসরিনের পরিবারের সদস্যরা।

পরিবারের দাবি, সিজার হওয়ার পর আবার অপারেশন করা হয় নাসরিন খাতুনের। দ্বিতীয়বার কেন অপারেশন হল, তা নিয়েও চিন্তিত নাসরিনের পরিবার। বর্তমানে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউ ওয়ার্ডে ভেন্টিলেশনে রয়েছে। এখনও পর্যন্ত ২০ শতাংশ ভাল রয়েছে, জানান তাঁর আত্মীয় । তিনি বলেন, বুধবার মাতৃমা ইউনিটে ভর্তির পর সিজার হয়। কন্যা সন্তানের জন্ম দেন নাসরিন।

বেডে নাসরিনের কাছে মেয়েকে দিলেও নাসরিনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। বন্ধ হয়ে যায় প্রস্রাব, তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় আইসিইউতে। বৃহস্পতিবার বিকালে দ্বিতীয়বার অপারেশন হয়। তারপর থেকে ভেন্টিলেশনে রয়েছে। মাঝে মধ্যে সেখানে গিয়ে দেখে আসতে দিচ্ছে পরিবারের লোকেদের। কিন্তু এখনও সুস্থ নয়। শিশু কন্যাকে পরিবারের হাতে তুলে দেয় হাসপাতাল। তাকে কেশপুরে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

বাড়ির পাশে এক মহিলার দুমাসের সন্তান রয়েছে। তারই দুগ্ধ পান করছে কন্যা সন্তান। অসহায় হয়ে রয়েছে। নাসরিন কবে সুস্থ হবে, চরম সঙ্কটে দিন কাটাচ্ছেন পরিবারের সদস্যরা। কেশপুরের বাসিন্দা শেখ আজিদ আলির অভিযোগ, চিকিৎসায় গাফিলতি ছাড়াও স্যালাইনের সমস্যা রয়েছে। আজিদের প্রশ্ন, ‘‘নাসরিনের সন্তান কেন তার মায়ের কাছে থাকতে পারছে না? কেন সদ্যোজাতের সঙ্গে বাড়ি ফিরতে পারলেন না নাসরিন? এর দায় কার?’’

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঁচ প্রসূতি সন্তান প্রসব করেন। তারপরই তাঁদের স্যালাইন দেওয়া হয়। অভিযোগ, স্যালাইন দেওয়ার পরই এক প্রসূতির মৃত্যু হয়। বাকি চারজন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। অভিযোগ ওঠে, ‘ব্ল্যাক লিস্টেড’ স্যালাইন ব্যবহারের কারণেই এই ঘটনা। গোটা রাজ্যে এই ঘটনা হইচই ফেলে দিয়েছে। প্রতিবাদে আজ বিক্ষোভে সামিল হয়েছে বামেরা। মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখান বাম কর্মী সমর্থকরা।